ঢাকা শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১০ মে, ২০২১, ০৪:৩৯
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ফাইল ছবি

বেতন বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। আজ ১০মে সোমবার সকাল থেকে গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, সোমবার ফুয়াং ফুড লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের চলতি মে মাসের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। বেতন ছাড়াও তাদেরকে  আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদ বোনাস দেওয়ার কথাও ছিল মালিকপক্ষের। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ নানা আজুহাত দেখাতে শুরু করলে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস এবং চলতি মাসের বেতন চাইলে তারা বেতন ও বোনাস দিবে কি দিবে না সে বিষয়ে শ্রমিকরা মালিক পক্ষ থেকে আশ্বাস না পেয়ে এই বিক্ষোভ করেন।

শ্রমিকরা জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে তারা কর্মবিরতি পালন করেন, পরে তাদের কথা তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন।

মহাসড়ক অবরোধের ফলে সেখানে উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ওসি মামুন আল রশিদ জানান, শ্রমিকদের অবরোধ চলাকালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বেতন ও ঈদ বোনাসের আশ্বাস দিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হয়। পরে শ্রমিকরা কাজে যোগদেন। 

কারখানার ম্যানেজার শুক্কুর মাহবুব বলেন, শ্রমিকদের কোনো বেতন বকেয়া রাখা হবে না। নির্ধারিত সময়েই তাদের বেতন, বোনাস পরিশোধ করবে মালিকপক্ষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের দাবির মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ ঈদ বোনাস দিতেও একমত হয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ই-ভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনা


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৫০
ই-ভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনা

ফাইল ছবি

বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একজন গ্রাহক গত ৫ মাস আগে ইভ্যালিতে ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসেও তাকে অর্ডার বুঝিয়ে না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি ইভ্যালির বিলুপ্তি চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাওছার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি’। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৩
শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমির  দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতার কারণে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিল না। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন  করতো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্মত বলে বিবেচিত হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এই পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের মেধার অপচয় করছিল  অন্যদিকে তেমনি দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বের হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করে এবং এই লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন। তখন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করে।  কিন্তু সেই সময় যে কয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল  তাতে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা একটি বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ।   এরকম ধারণার কারণ ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অত্যন্ত ব্যয়বহুল  টিউশন ফি স্ট্রাকচার।  যে কারণে  শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি ধারণার জন্ম হয় যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ স্বল্প আয়ের লোকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এরকম একটি অবস্থার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা দ্বৈত পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি লাভ করে। অর্থাৎ দূরশিক্ষণ এবং অন ক্যাম্পাস ভিত্তিক  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুভূতি লাভ করে| বিশ্ববিদ্যালয়টি সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিউশন ফি স্ট্রাকচার , পাঠ্যসূচি নির্ধারণ  এবং বিষয়সমূহ চালু করে যা স্বল্পমূল্যে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ  প্রশস্ত করে। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সাধারণের নাগালের বাইরে’- বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই অচলায়তন ভেঙে দেয়| এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত বিভিন্ন পেশাজীবীদের স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তবতা। প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানও যোগ হচ্ছে। ৩৪তম বিসিএসে মেধা তালিকায় সবার সেরা হয়েছিলেন ওয়ালিদ। এই ওয়ালিদ কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিসিএসের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম হওয়ার গৌরবও এই ওয়ালিদের হাতে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর  পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালোমানের শিক্ষার্থী তৈরির ব্যাপারে ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে   উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়     গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারমধ্যে অন্যতম হলো এশিয়ান ইউনিভারিসিটি অব বাংলাদেশ। আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যাপীঠ রজত জয়ন্তী উৎসব পালন করবে নব চেতনায়, তার সুবিশাল নিজস্ব ক্যাম্পাসে।

বাংলাদেশের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও  সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য এটিই প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে  বাংলা বিভাগ চালু করা হয় |এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, কলা ও মানবিক বিষয় সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে|  এইউবি শুরু থেকেই শিক্ষাক্রম এমনভাবে নির্ধারণ ও চালু করেছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে দেশে ও বিদেশে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

রজতজয়ন্তী তথা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে অব্যাহত রাখবে।

গবেষক ও  লেখক

সহযোগী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব  বাংলাদেশ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook