ঢাকা শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৫ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৪৮
ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন

সংগৃহীত ছবি

জমি বিক্রি নয় বা এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণও নয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও ঋণ নেওয়ার দরকার নেই। কাজের জন্য বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বসে আছে ব্যাংক। একটি-দুটি ব্যাংক নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্তত সাতটি ব্যাংক বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দিচ্ছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, ঋণের টাকার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে কোনো জায়গা-জমিও বন্ধক রাখতে হবে না। তবে বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। ২০১১ সালে ব্যাংকটি গঠনই করা হয় এ উদ্দেশ্যে।

এ ব্যাংকের পাশাপাশি যেসব ব্যাংক বিদেশে যেতে ঋণ দিচ্ছে, তাদের মধ্যে সোনালী, অগ্রণী, পূবালী ও এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও সম্প্রতি বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশে ১ কোটি ২৫ লাখ বাংলাদেশি লোক রয়েছেন।

প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ, ৬২ শতাংশ অদক্ষ এবং ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ। এক শ্রেণির আদম ব্যাপারী নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠান। অনেক সময় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শ্রমিকদের পাঠানো হয়,

যাঁরা বিদেশে গিয়ে পরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে তাই ঋণ আবেদনের দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

কারা ঋণ পাবেন: ভিসা পাওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর আবেদন করতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য যাঁরা ভিসা পেয়েছেন,

তাঁরাই পাবেন এ ঋণ। অর্থাৎ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণও দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণ ও সুদ: সরকারি ব্যাংকগুলো ১ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে আসছে। আর ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর।

গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলো অবশ্য ঋণ দিচ্ছে ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকগুলো সুদ নেয় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিদেশে গিয়ে পৌঁছানোর তিন মাস পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু করে। অবশ্য সব ব্যাংকেরই ঋণের শর্ত ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।

ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ওমান, কাতার, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া—এসব দেশের ক্ষেত্রে দুই বছর, শুধু সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে,

সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র লাগবে। লাগবে আবেদনকারীর সত্যায়িত তিন কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানাসংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আরও লাগবে স্থানীয় বা ঘনিষ্ঠ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জামিননামা। এই জামিননামা সম্পত্তি বন্ধকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। আবেদনকারীর মতো জামিনদারদের ছবি, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হয়। এ ছাড়া যে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসবে, সেই ব্যাংকের সঙ্গে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

ঋণ পরিশোধ: সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে দুই বছরে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে একটি করে। এ ব্যাংক এক অঙ্কের সরল সুদ নেয়। অগ্রণী ব্যাংকও এক অঙ্ক সুদ নেয়, তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয় দেড় বছরে। পূবালী ব্যাংক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিলেও পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকসহ অন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে তা পরিশোধের ব্যবস্থা রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি শুরু হয় এ ব্যাংকের।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিয়েছে মার্কিন আইনপ্রণেতা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২৩, ০৭:০১
রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিয়েছে মার্কিন আইনপ্রণেতা

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র গরিব ও রাশিয়া ধনী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য মার্জোরি টেলর গ্রিন (আর-জিএ)।

বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার) পেজে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর তাস নিউজের। তিনি ইউক্রেনে অর্থ প্রদান বন্ধ করার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্জোরি টেলর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ১১৩ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এবং ইউক্রেনের সরকারকে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার পাঠায় এবং বাইডেন আরও ২০ বিলিয়ন ডলার দিতে চান।

ফলে রাশিয়া আরও ধনী হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র অর্থ প্রদান করে গরীব হচ্ছে, এতে করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য আর অর্থ বরাদ্দ করা হবে না।

এর আগে, সুইজারল্যান্ডের ইউবিএস ব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে, ২০২২ সালে, মার্কিন সম্পদ ৫৯০ হাজার কোটি ডলার কমেছে, যেখানে রাশিয়ার ৬০ হাজার কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

এ যেন এক অন্য সদরঘাট


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১, ০৭:০০
এ যেন এক অন্য সদরঘাট

ছবি: এম.এস.প্রতিদিন

সদরঘাটের সাথে পরিচিত নন এমন লোক বাংলাদেশে হয়ত খুজেই পাওয়া যাবে না। সদরঘাট হলো দক্ষিণবঙ্গগামী সকল মানুষের জন্য নদীপথে ঢাকা ত্যাগের প্রধান ফটক। ২২টি জেলার মানুষের কাছে প্রধান চলাচল মাধ্যম সদরঘাট। পূর্বে সদরঘাটের নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসতো এদিক সেদিক ময়লার ভাগাড় কিন্তু বর্তমান সদরঘাটের চিত্র দেখে অনেকেই বিশ্বাস কর‍তে পারবে না তারা কোথায় চলে এসেছে।

বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিআইর সাবেক যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে দখলদারদের থেকে সদরঘাটের বিভিন্ন যায়গা উদ্ধার করে গ্রিন সদরঘাট করা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন তার সেই পদক্ষেপ আজ মানুষের সামনে দৃশ্যমান। 

বর্তমানে দেশের এই নদী বন্দরকে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩২টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেকোনো সময় যাত্রী সেবা দিতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। দখলি স্থান উদ্ধার করে সেখানে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ, ঝাউ গাছ, বট গাছ, কৃষ্ণচূড়া গাছ উল্লেখযোগ্যভাবে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে। একেবারে লালকুঠি ঘাট থেকে পশ্চিমের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার পাশে ড্রামের ভিতর লাগানো হয়েছে ঝাউ গাছ এছাড়া লালকুঠি ঘাট থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত ইট দিয়ে গোলা করে মাটি উচু করে বট গাছ লাগানো হয়েছে। যা টার্মিনালের সামনের সড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে। 

টার্মিনালের সামনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা যা খুব প্রয়োজন ছিল এমন গুরুত্বপূর্ণ যায়গায়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত প্রত্যেক গেট দিয়ে ঢুকার সময়ই মন কেড়ে নিবে বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্যে।
বর্তমানে যাত্রীর চাপ হালকা করতে বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাট আলাদা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, পূর্বে সদরঘাটে পন্টুন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি উচ্ছেদ অভিযানের পর পন্টুনের সংখ্যা এখন ৩০টি। ঘাটে কমেছে কুলি ও দালালদের দৌরাত্ব।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

সর্বোচ্চ পঠিত - অর্থনীতি

অর্থনীতি এর সব খবর