উল্টাপাল্টা কথার জন্য প্রায় সময়ই বিতর্কিত হন রাখি সাওয়ান্ত। বিভিন্ন আলোচিত ইস্যু নিয়ে নিজের মনগড়া কথা বলে খবরের শিরোনামে চলে আসেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। এজন্য তাকে নানা আলোচনা-সমালোচনার শিকারও হতে হয়। কিন্তু তাতে তার কিছুই আসে যায়না। সে চলে তার নিজের গতিতেই।
এবার সুপারস্টার আমির খান ও কিরণ রাওয়ের বিবাহবিচ্ছেদের খবরে মন্তব্য করে ফের আলোচনায় আসলেন রাখি।
এ বিষয়ে রাখি বলন, ‘আমার সংসারই হচ্ছে না, আর ওদিকে মানুষের ডিভোর্স হচ্ছে’।
এর আগে বেশ কয়েকবারই রাখি নিজেকে বিবাহিত দাবি করে জানান, তার স্বামীর নাম ঋতেশ। যিনি প্রবাসী। কিন্তু কে সেই ঋতেশ, দেখতেও বা কেমন তিনি, সেটা আজ অব্দি প্রকাশ্যে আসেনি। তাই প্রশ্ন থেকে যায়, আদৌ কি বিয়ে করেছেন রাখি?
প্রসঙ্গত, সালমান খান সঞ্চালিত টিভি শো ‘বিগ বস’-এ অংশ নিয়ে রাখি বলেছিলেন, ‘আমার স্বামী ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছে না। বর্তমানে ইউরোপে রয়েছে সে। আমার বিয়ে যে এভাবে ট্র্যাজেডি হয়ে যাবে, তা আগে বুঝতে পারিনি।’
দেশবরেণ্য গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত অন্যান্য বছরের ন্যায় বইমেলা-২০২৩ নিয়ে এলেন নতুন বই। বইটির নাম ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’।
তার লেখালেখি প্রসঙ্গে হানিফ সংকেত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটাই লেখালেখি দিয়ে। আর সেটা সত্তুর দশকের শুরু থেকেই। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ইত্যাদিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩৪ বছর ধরেই আমাকে একটা সিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইত্যাদি প্রচার হয় বলে আমাকে সেই তারিখের আগে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। তবে যত ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্ততঃ একটি হলেও বই প্রকাশ করতে।’
তিনি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদি নির্মাণ করে আসছেন গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। সামাজিক অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি লেখালেখিতেও তার গভীর পর্যবেক্ষণ অনুকরনীয়।
বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে তিনি যেমন নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন তেমনি আমাদের নাগরিক সচেতনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। তার এবারের গ্রন্থেও সেই বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানান।
‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত বলেন, আবেগ ও বিবেকের মধ্যে পার্থক্য হলো, বিবেক উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর আবেগ ভাবাবেগে কাজ করে। আবেগের বেগ বেশি হলে মানুষ ভুল করে বসে, বিবেকও কাজ করে না। ফলে মানুষ হয়ে পড়ে বিবেকহীন। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, দেখার চোখই শুধু চোখ নয়। বিবেকেরও চোখ আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই চোখ থাকতেও অন্ধ। যে কারণে অসংগতি, দূর্গতি, ভোগান্তি এবং অশান্তি লেগেই থাকে। কারণ বিবেকহীন মানুষ কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ গ্রন্থটি। বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুধু গতকাল রোববারই পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রায় ৪০০টি অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। এসব সেনার কিছু অংশকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়। শিল্পাঞ্চলটি দনবাস হিসেবে পরিচিত।
জেলেনস্কি বলেন, ‘দোনেৎস্ক অঞ্চলে আগের মতো ভয়াবহ লড়াই চলছে। যদিও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আজ তুলনামূলক কম হামলা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো রুশ গোলাবর্ষণের পরিমাণ অনেক বেশিই হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ের সময় আমরা ধীরে এগোচ্ছি। আজ দিন শুরুর পর পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪০০ গোলা হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দখলদারদের সম্ভাবনাকে অব্যাহত ও খুব সুচিন্তিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গতকাল দিনের শেষ দিকে জেলেনস্কি প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ বাহিনী সরে গেলে সম্প্রতি আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহরের ফের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে সেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শীতে ঘর গরম রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আগের দিন কিয়েভ দাবি করেছিল, দক্ষিণাঞ্চলে দূরপাল্লার গোলা হামলায় প্রায় ৬০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার একক হামলায় রুশ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের এমন দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সূত্র: প্রথম আলো