বাংলা নাটকের ছোটপর্দার বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। নিজের সফল ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকবার শিরোনাম হয়েছেন। এবার তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় এ অভিনেতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আমেরিকা প্রবাসী শাম্মা দেওয়ানের সঙ্গে অপূর্ব তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন । এ সময় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপূর্ব’র তৃতীয় বিয়ের ছবি প্রকাশিত হওয়া মাত্রই মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের পর ভক্ত ও সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন অপূর্ব। তিনি বলেন, আলহামদুল্লিাহ, ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হলো। আপনার সবাই আমাদরে নতুন সম্পর্কের জন্য দোয়া করবেন।
বিয়ে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান উল্লেখ করে অপূর্ব বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করতে যাচ্ছি না যে, আমাকে লুকিয়ে বা চুপিসারে করতে হবে। এটা জানবেই। স্বাভাবিকভাবে এটা জানাতেই হবে। যেভাবে প্রথমে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে সেটা করতে চাইনি। আমি সুন্দর করে সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম।’ আলাপকালে জনপ্রিয় এ অভিনেতা জানান, শাম্মা দেওয়ানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। শাম্মা বিবিএ সম্পন্ন করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন।
পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রায় ২৫ দিন আগে বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করা হয়েছে। আরও পড়ুন: অপূর্ব ‘পরকীয়া’ করে বিয়ে করছেন: সাবেক স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে শোবিজের সবাইকে দাওয়াত করার পরিকল্পনা ছিল অপূর্ব। কিন্তু করোনার কারণে তা বাতিল করতে হয়েছে। অভিনেতার ইচ্ছা ছিল, বিয়ের পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর মিডিয়ার বন্ধুদের পুরো খবরটি জানাবেন। কিন্তু সেটাও এখন আর হচ্ছে না।
আলাপের শেষে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, ‘কানাঘুষা শুরু হওয়ায় বিষয়টি আর চাপিয়ে রাখতে চাইনি। আমি খুব পজিটিভ মনোভাব নিয়ে থাকি। কিছু লুকাতে চাই না। আমি একটি পবিত্র সম্পর্কে জড়াচ্ছি। এই সময়ে আসলে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালে অভিনেত্রী প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বিচ্ছেদ হয় তাদের। ওই বছরই ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন এ অভিনেতা। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৯ বছরের সংসারে ইতি টানেন অপূর্ব-অদিতি। প্রায় দেড় বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন অদিতি। অপূর্ব-অদিতি দম্পতির আয়াশ নামের একটি পুত্রসন্তান আছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশান-২ এ অভিযান চালিয়ে তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনের মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বার থেকে গতকাল ১৮ মে ১১ জনকে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ। অভিযানে সিসা ও সিসা সেবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। মন্টানা লাউঞ্জ নামে সিসা বারের মালিক তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক অনলাইন গণমাধ্যমের কাছে স্বয়ং এ তথ্য স্বীকার করেন ওমর সানি।
তিনি জানান, মন্টানা লাউঞ্জ আসলে একটি খাবারের রেস্তোরাঁ। এর মালিক আমার ছেলে এবং তার দুই বন্ধু। খাবারের পাশাপাশি এখানে সিসা সেবনের ব্যবস্থা ছিল। এখানে কোনো বেআইনি বা অবৈধ কিছু ঘটছিল না। আমরা দেশের আইন অনুযায়ী চলেছি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ জানিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানা ওসি আবুল হাসান। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ তাই রেস্তোরাঁয় সিসা সেবনের ব্যবস্থা কেন ছিল? এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বাংলা সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েন, সিগারেট অবৈধ না হলে সিসা কেন অবৈধ?
তিনি যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, গুলশান বনানীতে প্রায় ৪০টির মতো সিসা লাউঞ্জ আছে। যদি সরকার ঐগুলোসহ আমার ছেলেরটা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের রেস্তোরাঁয় শুধু খাবারের ব্যবস্থাই থাকবে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে এ সময় সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। আজ রবিবার ঈদের ছুটি শেষে গ্রাহক চাহিদামতো শাখা খোলা থাকবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে) বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।