a
ফাইল ছবি
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। গতকাল ২৪ মে সোমবার ভিভো অফিসিয়াল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ চুক্তিটির বিষয়ে ঘোষণা করে। চুক্তির নিয়মানুযায়ী ভিভোর প্রিমিয়াম ভি সিরিজের প্রচারণা করতে দেখা যাবে মীমকে।
বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে ভিভোর ভি সিরিজের মান বৃদ্ধি করতে এবং এ সর্ম্পকে গ্রাহকদের কাছে ভিভোর জনপ্রিয়তা পৌছে দিতে এই চুক্তি করেছে ভিভো। জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীম যুব সমাজের কাছে তার অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের দ্বারা তুলে ধরবেন ভিভো ফোন। গত বছর ভি২০ সিরিজ বাজারে আসার পর থেকেই ভিভো পরিবারের অংশে পরিণত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রাহকদের সাথে ভিভো’র সর্ম্পক আরো শক্তিশালী করতে এই চুক্তি করা হয়েছে।
চুক্তির বিষয়ে বিদ্যা সিনহা মীম বলেন, তারুণ্যের ব্র্যান্ড ভিভো’র প্রিমিয়াম র্স্মাটফোন ভি সিরিজের অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সেই সাথে আমি বেশ আগে থেকেই ভিভো’র একজন ভক্ত। ইতোমধ্যেই আমি ভিভো’র আরো কিছু পণ্যের মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের পছন্দ এমন একটি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য বড় সম্মানের বলে মনে করি।
ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহামেদ বলেন, আমাদের ফ্ল্যাগশিপ র্স্মাটফোন ভি -সিরিজের জন্য বিদ্যা সিনহা মীমের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ভি -সিরিজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর স্নিগ্ধ ডিজাইন; আর প্রাণবন্ত গ্রাহকদের জন্য এর ক্যামেরার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি। বিদ্যা সিনহা মীম র্স্মাটফোন ব্যবহারকারী নতুন প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত একজন প্রতিনিধি।
ফাইল ছবি
সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরী। করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে মারা যান এই অভিনেত্রী ও রাজনীতিক।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও পরে সিনেমায়।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সারাহ বেগম কবরীর অভিনয় জীবন শুরু। চট্টগ্রামের মেয়ে মিনা পাল চলচ্চিত্রের লাল-নীল জগতে পা দিয়েই নতুন নাম পান ‘কবরী’। পরিচালক সুভাষ দত্তই তাকে এই নাম দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
দক্ষ অভিনয় শৈলী দিয়ে ‘মিষ্টি মেয়ে’ হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। তারপর জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কবরীর শুধুই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা।
এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়সহ অসংখ্য সিনেমায়। আগন্তুকসহ জহির রায়হান নির্মিত উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
কবরী বিয়ে প্রথম করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
হঠাৎ খুসখুসে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান কবরী। ৫ এপ্রিল ফলাফল পজিটিভ আসে। ওই রাতেই তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিলেন নায়িকা।
ফাইল ছবি
ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট চলছে। অক্সিজেন না পেয়ে অনেকে হাসপাতালে কোভিড রোগী মারা যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় #wecan’tbreathe আন্দোলনে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব আন্দোলনে সামিল হয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান।
বৃহস্পতিবার টুইটারে এক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের কষ্ট ও দুর্দশার কথা বলেছেন। ভিডিওটি দেখে নুসরাত নিজেও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বলে জানান।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগীর আত্মীয়-স্বজন। কারো বাবা হাসপাতালের বিছানা থেকে লড়ছেন, আবার কারো মা, ভাই-বোন। সবাই নিঃশ্বাস নিতে চাইছেন। কিন্তু অক্সিজেন না থাকার কারণে পারছেন না।
এসব পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই দায়ী করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
তিনি লেখেন, আজ আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে নিঃশাস নিতে পারছি না। তার দেশের মানুষ যখন নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য কাতরাচ্ছেন, তখন তিনি দেশের বাইরে অক্সিজেন রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বড় বড় অক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘এটা অপরাধ’।
অন্য আরেক টুইট বার্তায় নুসরাত আরও লিখেছেন, অক্সিজেনের এই তীব্র ঘাটতির জন্য দায়ী কে? দেশের জন্য সঠিক মজুত না রেখে ৬৫ শতাংশ টিকা কেন রফতানি করা হলো? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মোতাবেক দেশের মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা দেয়াও সম্ভব বলে তিনি জানান।