ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী আবারও সৌদি আরবের দক্ষিণের 'কিং খালিদ' বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা করেছে। আজ রবিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার কথা নিশ্চিত করেন।
সৌদির খামিস মুশাইত এলাকায় অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে কে-টু ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা করা হয়।
সৌদির গণমাধ্যম দাবি করছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেনি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর আগে, গত কয়েক সপ্তাহে কিং খালিদ বিমানঘাঁটিতে এ নিয়ে কয়েক দফা হামলা চালায় ইয়েমেনি বাহিনী। কয়েক দিন আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আরামকো তেল স্থাপনায় ছয়টি ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালায় ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ইয়েমেনের জনপ্রিয় সংগঠন হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত ইয়েমেনি সেনারা সৌদি আরবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ও তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। হুদিতের দাবি- সৌদি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে হলে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করতে হবে। ইহুদি বসতি চালিয়ে গেলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
আজ শুক্রবার আল-আকসা টিভিতে প্রকাশিত এক খবর এমনটাই জানানো হয়েছে। খলিল আল-হাইয়া আরও বলেছেন, গাজার পুনর্গঠনের সাথে সম্পর্কিত হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস এবং এব্যাপারে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আপস করা হবে না।
জেরুজালেম এবং আল-আকসা মসজিদে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুমকি দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে এবং এ জাতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এটি কার্যকর করা গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।
সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
উত্তোলনযোগ্য মজুদ ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট, দৈনিক ১০ মিলিয়ন করে যুক্ত হবে গ্রিডে। ১০ থেকে বারো বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব, যার দাম ১২৭৬ কোটি টাকা।
এর আগে জুনে জকিগঞ্জে আরেকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছিল বাপেক্স।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ। আরও ৬ টিসিএফ সম্ভাব্য মজুত রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে আরও ৭ টিএসএফর মতো।
১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফর মতো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর