ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পার হতে না হতেই লিজ ট্রাসের ক্ষমতা টালমাটাল অবস্থায় পড়েছেন। এবার লড়ছেন গদি রক্ষার লড়াইয়ে। গুঞ্জন চাউর হচ্ছে ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেন লিজ। এরই মধ্যে খবর এলো ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান পদত্যাগ করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
লিজ ট্রাস ইতোমধ্যে নিজ দলের এমপিদের ব্যাপক অসন্তোষের মুখে রয়েছেন। এমন সঙ্কটময় সময়ে সুয়েলা ব্রাভারম্যানের পদত্যাগ দেশটির সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আরও অশান্তি বাড়াবে।
এর আগে, ট্যাক্স ইস্যুতে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং। এরপরই গুঞ্জন ওঠে প্রধানমন্ত্রীকেও শিগগির পদত্যাগ করতে হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুয়েলা মন্ত্রিপরিষদের দুটি নীতি ভঙ্গ করেন। প্রথমত সরকারি কাজে তিনি ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেন। দ্বিতীয়ত তিনি এমন একজন ব্যক্তিকে সরকারি নথি প্রদান করেন, যার কাছে এ নথি দেওয়ার কথা নয়।
পদত্যাগপত্রে সুয়েলা ব্রাভারম্যান প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ট্রাসের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ট্রাসকে তিনি লেখেন, ‘এই সরকারের নির্দেশনা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমাদের ভোটারদেরকে প্রধান প্রধান যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আমরা শুধু তা ভঙ্গই করিনি বরং নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলোকে, যেমন সামগ্রিক অভিবাসন সংখ্যা হ্রাস করা, অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা, বিশেষ করে ছোট ছোট নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের আসা বন্ধা করার মতো প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান রাখার বিষয়ে এই সরকারের স্বদিচ্ছা নিয়েও আমার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সরকারের ভুলের দায় স্বীকার করতে হবে এবং সরকারকে জনগণের উপর নির্ভর করতে হবে। আমরা ভুল করিনি এমন ভান করা এবং জিনিসগুলো জাদুকরিভাবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করাও ঠিক নয়।’
এদিকে, এতো কিছুর পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই লিজ ট্রাসের। তার রাজনৈতিক মুখপাত্র বুধবার (১৯ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ মাসের শেষের দিকেও লিজ ট্রাস ক্ষমতায় থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন না। সূত্র: ইত্তেফাক
যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম কনটেইনার বন্দর পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীরা গতকাল রোববার থেকে আট দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তাঁরা। খবর আল জাজিরার।
পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়েতে প্রায় দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত আছেন। এ বন্দরে বছরে ২ হাজার জাহাজ থেকে প্রায় ৪০ লাখ কনটেইনারের চালান খালাস করা হয়ে থাকে, যা দেশটিতে সমুদ্রপথে আসা মোট চালানের অর্ধেকের বেশি।
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন খাতের কর্মীদের ধর্মঘট চলার মধ্যে বন্দরের কর্মীরাও ধর্মঘট শুরু করায় সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে রেলওয়ে কর্মীরা ধর্মঘট করার কারণে প্রতি পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে মাত্র একটি করে ট্রেন চলাচল করছে।
পোস্টাল কর্মীরাও চলতি মাসের শেষের দিকে চার দিনের ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছেন। টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিও সম্প্রতি কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কর্মবিরতি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অ্যামাজনের গুদামের কর্মী, আইনজীবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।
ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ইউনাইট ইউনিয়নের ডকে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা ববি মর্টন বলেন, ধর্মঘটের কারণে কাজে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটবে এবং তা যুক্তরাজ্যজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে কোম্পানিরই তৈরি করা।
ববি মর্টন আরও বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের ন্যায্য প্রস্তাব দেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ কোম্পানির ছিল, তবে তারা তা করেনি।’
পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের মালিক প্রতিষ্ঠান সিকে হাসিসন হোল্ডিং লিমিটেড এক বিবৃতিতে কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া আট শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ন্যায্য বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ বন্দরে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের ভালো পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। অযথা এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কেউই লাভবান হবেন না।
গত মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ অতিক্রম করে গেছে, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আভাস দিয়েছে, চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৩ ছাড়িয়ে যাবে। আর তা ব্রিটিশ অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। সূত্র: প্রথম আলো
‘বরফ কলের গল্প’ নামের ছবিতে থ্রিলার গল্পের ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। তাকে দেখা যাবে খুনির চরিত্রে।
গত রোববার ফেসবুকে নিজের লুকসহ একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন মিলন।
সহিদ-উন-নবী সিরিজটি পরিচালনা করছেন । ছবিটি প্রকাশ পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে। খুলনায় চলছে সিরিজের শুটিং। আর এখানে মিলনের চরিত্রের নাম নওশাদ।
মিলন বলেন, ‘একটি শহরের ছেলে নওশাদ। তার রাজত্ব, নোংরামির গল্প উঠে আসবে এই ওয়েব সিরিজে। আমরা ছবির অনেক কিছুই রূপক অর্থে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’ এ চরিত্রটি খুলনার এক সময়ের ত্রাস এরশাদ শিকদারের চরিত্র অবলম্বনে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, মিলনের রাগান্বিত চোখ। মাঝখান দিয়ে রক্তভেজা একটি হাতুড়ি। সিরিজের নাম বরফ কল এবং খুলনায় শুটিংয়ে ধারণা করা হয় যে, এরশাদ শিকদারের ঘটনা থেকেই এটি নেওয়া হয়েছে।