a
ফাইল ছবি
আমেরিকার হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র। ফলে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে আমেরিকা বলে দাবি করেছে চীন। এ অবস্থায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করার জন্য আমেরিকাকে আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকা ও জাপান ‘চীনের ক্রমবর্ধমান পরমাণু সক্ষমতার জন্য’ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানায়। এর জবাবে শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই দাবি করেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমেরিকার হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র এবং তারাই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এছাড়া, তাদের হাতে সর্বাধুনিক এবং সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র থাকার পরেও তারা পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, বেইজিংয়ের সমালোচনা করার আগে আমেরিকার উচিত তার নিজের দিকে ফিরে তাকানো এবং নিজে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ তৈরি করা। সূত্র: প্রেস টিভি/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্ক বিজলেভেল্ড। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগ্রিড কাগ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অভিযোগ করে বলেছে, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ডাচ সরকারের ধীরগতির প্রতিক্রিয়ার জন্য উভয় মন্ত্রীই (অঙ্ক বিজলেভেল্ড ও সিগ্রিড কাগ) দায়ী। নেদারল্যান্ডে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য, এমন হাজার হাজার আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এই দুই মন্ত্রী।
অবশ্য বিজলেভেল্ড প্রথমে বলেছিলেন যে, তিনি থাকবেন। কিন্তু তার নিজের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটস পার্টির সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে একদিন পরই পদত্যাগ করার নিদ্ধান্ত নিলেন।
অঙ্ক বিজলেভেল্ড বলেন, যারা আফগানিস্তানে এখনো আছেন এবং আমাদের নিরাপত্তার উপর নির্ভর করেন, তাদের আনার জন্য আমি আমাদের মিশন শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার অবস্থান এখন আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেছে। ফলে যারা আমার জন্য কাজ করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি বাধা দিতে চাই না। তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
গত মাসে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিশন শেষ করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে উগ্রপন্থী তালেবান। এমতাবস্থায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও ঝুঁকিকে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এ কারণে কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসব দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন এই দুই ডাচ মন্ত্রী।
ফাইল ছবি
প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে। রোববার তালেবান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কান্দাহারে জনসম্মুখে ভাষণও দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
পাঁচ বছর আগে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাকে কখনই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করার পরও তিনি আড়ালেই থেকে যান। এর ফলে তালেবান সরকারে তার কী ভূমিকা হতে পারে তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়। এমনকি তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়েও গুজব রটেছিল।
কান্দাহারের দারুল উলুম হিকমাহ্ মাদ্রাসায় শনিবার তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন তার কোন ছবি বা ভিডিও পাওয়া না পাওয়া গেলেও ১০ মিনিটের ভাষণের একটি অিডও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যায়।
এই ভাষণে, তার মতে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যারা ২০ বছর ধরে লড়াই করেছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
২০১৬ সালে তালেবানের তৎকালীন প্রধান মুল্লাহ্ আখতার মনসুর যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর হায়বাতুল্লাহ্ আখুনজাদা শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনটি আল কায়দা নেতা আইমান আল জোয়াহিরিরও সমর্থন দেন।