a বিশ্বের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি আমেরিকা: চীন
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিশ্বের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি আমেরিকা: চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:৪৬
বিশ্বের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি আমেরিকা: চীন

ফাইল ছবি

আমেরিকার হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র। ফলে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে আমেরিকা বলে দাবি করেছে চীন। এ অবস্থায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করার জন্য আমেরিকাকে আহ্বান জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকা ও জাপান ‘চীনের ক্রমবর্ধমান পরমাণু সক্ষমতার জন্য’ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানায়। এর জবাবে শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই দাবি করেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমেরিকার হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র এবং তারাই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এছাড়া, তাদের হাতে সর্বাধুনিক এবং সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র থাকার পরেও তারা পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, বেইজিংয়ের সমালোচনা করার আগে আমেরিকার উচিত তার নিজের দিকে ফিরে তাকানো এবং নিজে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ তৈরি করা। সূত্র: প্রেস টিভি/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ করছে ইহুদিরা: গ্রেফতার ৫০০


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:২৭
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ করছে ইহুদিরা: গ্রেফতার ৫০০

ফাইল ছবি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ ইহুদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদিদের সংগঠন ‘জিউইশ ভয়েস ফর পিস’ এই বিভেক্ষের আয়োজন করে। খবর আল-জাজিরার।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় অনবরত হামলার বিরুদ্ধে গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এক বিক্ষোভ আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদিরা। তাদের পরনে ছিল যুদ্ধ বিরোধী টিশার্ট, যেখানে লেখা ‘নট ইন আওয়ার নেম’(আমাদের নামে নয়)।

মার্কিন কংগ্রেস ভবনের লবির মেঝেতে বসে পড়েন সংগঠনের শত শত সদস্য। হাতে ছিল যুদ্ধবিরতি লেখা সম্বলিত ব্যানার। তাদের দাবি, গাজায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে।

জিউইশ ভয়েস ফর পিস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যুদ্ধবিরোধী এক মিছিলে অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ইহুদি। আমরা কংগ্রেসে বসে আন্দোলন করেছি যেন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা ইসরায়েলি নিপীড়নের দিকে দৃষ্টি দেয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আগষ্ট অভ্যুত্থানে ভারতের আসল চেহারা বেরিয়ে এলো: কর্নেল (অব.) আকরাম


কর্নেল আকরাম, কলাম লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৪০
আগষ্ট অভ্যুত্থানে ভারতের আসল চেহারা বেরিয়ে এলো: কর্নেল (অব.) আকরাম

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমরা সবাই জানি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য যে, তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনের কারণে মাত্র নয় মাসের মধ্যেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেকেই মনে করেন, ভারত আমাদের পাশে না থাকলে বাংলাদেশ কখনোই সৃষ্টি হতো না।  

তবে আমরা কি কখনো ভেবেছি, ভারত কেন আমাদের সাহায্য করেছিল? অনেকেই বলবেন, ভারত একটি দুর্বল পাকিস্তান দেখতে চেয়েছিল। যখন সুযোগ তাদের হাতে আসে, তখন তারা তা লুফে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। এটি ভারতীয় স্বার্থের একটি সাধারণ উপলব্ধি। যখন মুক্তিযোদ্ধারা ভালো অবস্থানে ছিল, তখন ভারত পাকিস্তানের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে বিজয় অর্জন করে। বলা হয়ে থাকে, ভারত আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে সেটিকে তাদের বিজয় হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এটি আমাদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।  

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লে. জেনারেল নিয়াজি ভারতীয় সেনাবাহিনীর লে. জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের চুক্তিতে সই করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওসমানীকে আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় বিজয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল।  

গত ৫৩ বছর ধরে ভারতীয় মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী এবং ভারত সরকার এই ঘটনাকে তাদের ইতিহাসের এক মহান বিজয় হিসেবে তুলে ধরেছে। কিন্তু আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে কখনোই এই দাবির বিরোধিতা করতে পারিনি। বরং, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ করে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েও তাদের সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করেছি।  

শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের সময়েই বাংলাদেশ সফলভাবে ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল। তবে এজন্য তাকে নিজের জীবন দিতে হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং চীনপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল, যেমন ভাসানীর ন্যাপ, ভারতীয় সমর্থনের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন ছিল।  

ভারত ১৯৪৭ সালের বিভাজন মেনে নিতে পারেনি এবং পাকিস্তানের জন্মের প্রথম দিন থেকেই তারা এর বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, যার সত্যতা শেখ মুজিব স্বাধীনতার পরে স্বীকার করেছিলেন, এর একটি স্পষ্ট প্রমাণ।  

ভারত পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভালো বন্ধু হিসেবে ভান করেছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানকে ভেঙে ফেলার এবং একটি উপনিবেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি করার জন্য। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এক সময়ে এটি ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে একীভূত করা।  

আজ এটি আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য থেকে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিল। মোদি আরও বলেন, এটি ছিল ভারতের যুদ্ধ, যেখানে ভারতীয় সেনারা সাহসিকতা এবং বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল এবং ভারতের জন্য এক গৌরবময় বিজয় এনেছিল। এটি বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করে।  

সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ২০২৪-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু ভারত এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনি এবং বাংলাদেশকে পুনরায় তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া। ভবিষ্যতে তারা বিভিন্ন কার্ড দেখাতে পারে, বিশেষত সংখ্যালঘু কার্ড, খেলার চেষ্টা করবে। এমনো হতে পারে যে কোন একটি ইস্যু ধরে বাংলাদেশের একটি অংশ দাবি করে আক্রমণ করতে পারে।  

যদি বাংলাদেশের জনগণ ভারতের স্বার্থের এই সরল সমীকরণটি বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে তা হবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয়তাবাদী শক্তির পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অবশ্যই ড. ইউনুস সরকারকে সফলতার সাথে কাজ করার জন্য সহযোগিতা করে যেতে হবে। বর্তমানের অর্ন্তবর্তী সরকারকেও সব দল ও মতকে বিবেচনা রেখে সবাইকে একসাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের পরও রাজনৈতিক সরকারগুলোকেও ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করলে কোন বহি:শত্রু এদেশে হুমকি হিসেবে দাঁড়াতে পারবেনা।

আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, এটি কাজে লাগাতে হবে। আর আমরা যদি এসব সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হই, তাহলে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের আকাশে কালো মেঘ ঘনিয়ে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।


লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক