a
ফাইল ছবি
করোনা মহামারীর কারনে ৪২ তম বিসিএস (বিশেষ) এর ভাইভা স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন নিশ্চিত করেছে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারনে এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা পরিবর্তিত তারিখ জানানো হবে।
৪২ তম বিসিএস বিশেষ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ২২ জন। ২৩ মে থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা হওয়ার কথা ছিল। ২৩ মে সকাল ১০টায় ২২০ জনের ভাইভা হওয়ার কথা ছিল। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৬ হাজার ২২ জনের ভাইভা অনুষ্ঠিত হতো।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২ তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (লিখিত টাইপ) অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয় ৬ হাজার ২২ জন।
বিকাশে চাকরির সুযোগ দিচ্ছে
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিকাশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পিআর এবং মিডিয়া রিলেশনস বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম- বিকাশ লিমিটেড
পদের নাম- সিনিয়র অফিসার
পদের সংখ্যা- নির্ধারিত না
কাজের ধরন- পূর্ণকালীন
কর্মস্থল- ঢাকা
আবেদন যোগ্যতা
১। যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস।
২। সংশ্লিষ্ট কাজে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৩। বহুজাতিক সংস্থা, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞাপন এজেন্সি, পাবলিক রিলেশন সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।
৫। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
৬। অফিস অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে
আবেদন যেভাবে
আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন বিডি জবসের মাধ্যমে।
বেতন ও সুযোগ সুবিধা
১। বেতন আলোচনা সাপেক্ষে
২। কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ
১৭ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম। এসময় বিচারক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসামি আকতারুল বলেন, 'আমি ছোট ভাইকে পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলাম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ছোট ভাইকে ঢুকাতে গেলে গেট থেকে ধরে নিয়ে যায় প্রক্টর অফিস। তারপর তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।'
পরে বিচারক এজাহার পড়ে আসামিকে বলেন, 'আপনি মিথ্যা বলছেন কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মামলাটি করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পর আপনাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।' এসময় মিথ্যা বলার বিষয়টি স্বীকার করেন আসামির আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নেই, তাই রিমান্ড নেয়ার প্রয়োজন নেই বলেন এই আইনজীবী। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বড় চক্রের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিলে বাকি আসামিদের ধরা সহজ হতো। তবে আমাদের তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে আবার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন তিনি।
গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বাদী হয়ে আসামি আকতারুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মূলহোতা মো. রাব্বি ও মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।
এসময় আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমরা আজকে অবগত হলাম রিমান্ড না মঞ্জুর হয়েছে আবার এটাকে ডিফেন্ড করবে যাতে রিমান্ডে নেয়া ও এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ চলছে, যদি পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে মামলা সিআইডির হাতে হস্তান্তর করা হবে।