চলতি মাসের শেষে অর্থাৎ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে কোভ্যাক্স থেকে আরও ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার (১০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। চিঠিতে তারা জানিয়েছে চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগস্ট মাসের শুরুতেই ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা আমাদেরকে দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩ জুলাই ও ৪ জুলাই দেশে সর্বমোট ৪৫ লাখ টিকা পৌঁছেছে। মোট চার ধাপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ২৫ লাখ ও চীন থেকে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
এ সময় আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার ৭ তলা ভবনে। এ ঘটনায় মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
হতাহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিকের বেশি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালেও আড়াই ঘণ্টার মধ্যেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ওই কারখানায় ৭-৮ হাজার লোক কর্মরত আছেন বলে শ্রমিকদের মাধ্যমে জানা যায়।
এদিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানার হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ২ জন নিহত হয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে কারখানায় আগুন লাগে।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। এদিন থেকে শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
প্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল রবিবার মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০টি নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন।
এগুলো হলো-
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে শিক্ষার্থীরা কোডিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারা সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোভিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোন উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।
৪. পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।
৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।
৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।
৯. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া আসা করবে, সে বিষয়ে তাদের শিক্ষনীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা।
১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।
১১. প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ ও আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।
১২. প্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।
১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।
১৪. প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্যদের সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।
১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক তিন ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।
১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা।
১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। সূত্র: বিডি প্রতিদিন