a
ফাইল ছবি
অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের যে অনুকূল পরিবেশের প্রত্যাশা করা হয়েছিলো সেটি এখনো হয়ে উঠেনি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যমের সম্পাদকদের বরাবর পাঠানো এক ধারণাপত্রে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদ নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ ও বাহন। নির্বাচন আয়োজনে যদি সংকট নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
আগামী ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম সম্পাদকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে ইসি।
‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য ধারণাপত্রটিও পাঠানো হয়েছে। ৩৮ জন সম্পাদক ওই কর্মশালার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক দ্য মিরর এশিয়া (টিএমএ) কে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ‘বাংলাদেশ নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে পিটার হাস বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই সময় জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর একটি অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু ডিসেম্বরে পরিস্থিতি বদলে যায়। তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে তার ‘নীতি’ পরিবর্তন করে। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের বিরক্তির কারণ হতে চায়নি। ফলস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংস্কার নিয়ে তার কর্মকাণ্ডে লাগাম টানে।
শাসক দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করেছে এমন অভিযোগ উঠলেও বাংলাদেশ কিংবা কোনো ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি পরিবর্তনের কারণে কিছু ভারতীয় কূটনীতিকের ঠাট্টা এবং সমালোচনার শিকার হন পিটার ডি হাস।
দ্য মিরর এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি নীতি পরিবর্তনের কারণে দেশটির কূটনীতিকদের পদত্যাগের ঘটনা নতুন নয়। উদাহরণস্বরূপ, মার্চ মাসে ইউক্রেন সম্পর্কিত আমেরিকান নীতির প্রতিবাদে রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড তার পদ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন। গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আরব ভাষার মুখপাত্র হালা হারারিট আরেকটি উদাহরণ। কংগ্রেসের শুনানি শেষে শিগগিরই ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হবে। সূত্র : দ্য মিরর এশিয়া
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর প্রতিদিন হবে এইচএসসি, এসএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। তবে বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না আসার অনুরোধ জানান তিনি।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০২১ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।
তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারে।