a
সংগৃহীত ছবি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ৫০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
যেসব মডেল মসজিদ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা মসজিদ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে কমই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন।
ফাইল ছবি
১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবেনা। জরুরি সেবা ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা অবহিত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থানে না যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা সারা দেশের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনে দেখছি দেশের একটা বড় অংশ করোনা সংক্রমণের রেড, অরেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারছি না।
তবে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হবে। এবার আমরা খুবই কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বিজিবি। তারা টহলে থাকবে। তাদের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কারও বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা বিদ্যুৎ, পানি এসব জরুরি সেবা সেগুলো চলবে। তিনি বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি চাঁপাইনবাবগঞ্জে লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায়ও পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে যেখানে আমরা আইসোলেটেড করে দিয়েছি মুভমেন্ট রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছি সেখানেই কমেছে।
এখন ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই এরপর সরকার যদি মনে করে আরও সাত দিন দিতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে। পোশাকশিল্প বা রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আবার বসা হবে। বিস্তারিত নোটিস দিয়ে জানানো হবে।
বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেট বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যথাসম্ভব গত বছর যেটা করা হয়েছে সেটা চালু রাখতে।
বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেটাকে নজরদারিতে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব থাকবে। আর্মি, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ তারা সবাই টহলে থাকবে। তাদের যতটুকু সম্ভব যা দরকার, সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অথরিটি দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে যাতে কোনোভাবেই বেশি মানুষ বের হতে না পারে। কেউ কথা না শুনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকছে কি না জানতে চাইলে বলেন, থাকবে না। এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না। সাত দিন সবাই ঘরে থাকবে।
সংগৃহীত ছবি
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
---- আশরাফুল মান্নান
আঙ্গ বাড়ি মেলান্দহে
ফুলকোচাতে ঘর
চাকরি আছিল পত্রিকাতে
এহন অবসর ।
বাপ-মাও আছিল, মইরা গেছে
ফাফুর করে মন
বাড়িত গেলে বাল্লাগে না
কমছে মানুষ জন।
চুয়ান্নতে নানার বাড়িত
জম্ম আমার অয়
দিনে দিনে লুপ পাইতাছে
আঙ্গ পরিচয়।
ফুলকোচাতে করছি কত
আনন্দে হই চই
আমার হঙ্গে পড়ছে যারা
এহন তারা কই ?
অয় না দেহা কারোর হঙ্গে
চিন্ত্যা করি তাই;
আছে কেডা, মরছে কেডা
খবরডা না পাই।
আগের কতা বইয়্যা বইয়্যা
চিন্ত্যা করি খুব
ঘাইম্যা গেলে ডাঙ্গার বিলে
দেইন্যা এহন ডুব ।