a প্রধানমন্ত্রী ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
ঢাকা বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২, ১২ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রধানমন্ত্রী ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ১১:৪৩
প্রধানমন্ত্রী ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন

সংগৃহীত ছবি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ৫০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। 

যেসব মডেল মসজিদ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ। 

এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা মসজিদ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে কমই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শেখ হাসিনা গণভবন থেকে পালাতে ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৬ আগষ্ট, ২০২৪, ০২:৩৯
শেখ হাসিনা গণভবন থেকে পালাতে ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন

ছবি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ থেকে পালাতে তাকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় বেধে দিয়েছিল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বাহিনীর সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন—এর পরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আপনাদের বিশ্বাস করেই শীর্ষ পদে বসিয়েছিলাম।

একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। এ সময় আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।

এরপর বৈঠকে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। পরবর্তীতে তারা শেখ রেহানার সঙ্গে অন্য কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তাতেও তিনি ক্ষমতা দূঢ়ভাবে আকড়ে ধরে রাখার ব্যাপারে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে পদত্যাগে রাজি করান। শেখ হাসিনা তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য।

কিন্তু ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা পৌঁছে যেতে পারে। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয় গণভবন ছাড়তে।

এরপর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। এরপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেন শেখ হাসিনা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ড. ইউনূসকে আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের দাবি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:২০
ড. ইউনূসকে আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের দাবি

ফাইল ছবি

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দুই নেতা এবং বাংলাদেশে কাজ করা মানবাধিকার কর্মীদের আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

এক বিবৃতিতে তিনি মানবাধিকারকর্মী ও অন্যান্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ও মার্তা হুরতাদো গণমাধ্যমকে এ উদ্বেগের কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় এক দশক ধরে ড. ইউনূস হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি।  বর্তমানে তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির দু’টি অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। যেগুলোতে তার কারাদণ্ড হতে পারে।

হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের আইনি প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য এ মামলাগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য অধ্যাপক ইউনূস সুপরিচিত। তিনি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, অধিকারের নেতা আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে মামলা জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যেগুলোর রায় ৭ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে ১০ বছর আগের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সম্পর্ক রয়েছে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অনেক সময়ই মানহানিকর প্রচারণা আসছে। আমরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এতে তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যালোচনা নিশ্চিতের আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

বাংলাদেশের নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে ভলকার তুর্ক বলেন, নতুন আইনটিতে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি অপরাধের জন্য জামিনের সুযোগ থাকবে। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আটকাতে আইনের স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার রোধ করতে সব উদ্বেগের সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়