a
ফাইল ছবি
বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন রূপ ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত সংখ্যা। ইউরোপ ও আমেরিকায় আশঙ্কাজনক হারেই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ওমিক্রন।
অনেক মানুষের কাছে ওমিক্রন সাধারণ ঠাণ্ডার মতো মনে হবে। অনেকে বলেছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের গলা শুকিয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা বা মাথা ব্যথার উপসর্গ।
এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুনশি বলেছেন, “ওমিক্রনের লক্ষণগুলো খুবই হালকা ধরনের। ডেলটা বা অন্য ধরনগুলোর মতো অতোটা প্রকট নয়। অনেকের ফুসফুসের ওপরের দিকে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত সিকোয়েন্সিং করে এটা শনাক্ত করা যায়।”
তবে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলেই যেসব সতর্কতা নেওয়ার কথা বারবার বলা হয়েছে, সবাইকে সেগুলো নিতে হবে। শুধু ওমিক্রনের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই।
এর আগের করোনাভাইরাসের ধরনগুলোয় আক্রান্ত হলে স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। এছাড়া কাশি এবং উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর হতো। এখনও করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এই তিনটি প্রধান লক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে অনেক সময় হালকা ঠাণ্ডা বা সাধারণ অসুস্থতার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া আরও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
•বুকের ওপরের অংশে ব্যথা
•মাথাব্যথা, জ্বর
•ক্লান্ত লাগা
•শরীরে ব্যথা
•গলা শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তৌফিক আহমেদ বলেছেন, “যদিও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তে জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন একটু হালকা ধরনের, আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম।”
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. আব্দি মাহামুদ বলেছেন, “ওমিক্রন যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম ক্ষতিকর, সেটি বলার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সুতরাং মুল বার্তা হল- আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলেই আপনি নিরাপদ।”
যে দেশে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়, সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় রোগটি পিক অবস্থায় চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ উপাধিতে ভূষিত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।
“২০৩০” সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর সময় ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স। অধিবেশনে জেফ্রি স্যাক্স বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে এক হতে পেরে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত।
আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এই জন্যে যে, আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।
ফাইল ছবি
ইউরোপজুড়ে একাধিক তেল পরিবহণ ও মজুদকারী প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের মুখে পড়েছে। খবর বিবিসি জার্মানির ‘অয়েলট্যাঙ্কিং’, বেলজিয়ামে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’ এবং নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’ কোম্পানির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা সাইবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, বিশ্বজুড়ে তেল মজুদকারী, পরিবহণ প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক ডজন টার্মিনাল সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে—সপ্তাহ শেষে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি বলছে—উল্লিখিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা বলছেন—তাঁরা ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর টার্মিনালগুলোকে বাধাগ্রস্ত করা সাইবার-আক্রমণের তদন্ত করছেন।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত রোববার ইউরোপ ও আফ্রিকায় তাদের প্রতিটি পোর্ট সাইবার-হামলার শিকার হয় এবং ক্ষতিগ্রসথ হয়। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে বিকল্প তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর মুখপাত্র আরও জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান অন্যান্য কোম্পানিতেও সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে অবহিত। তবে, সেসব হামলার সঙ্গে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এ হামলার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’-এর এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানায়—সাইবার-হামলায় টারনিউজেন, ঘেন্ট ও মাল্টার টার্মিনালগুলোতে তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা ‘দিতে কিছুটা সময় লাগছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত