ঢাকা শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৩
শিক্ষা সংস্কৃতির মাইলফলক- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমির  দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতার কারণে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিল না। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন  করতো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্মত বলে বিবেচিত হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এই পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের মেধার অপচয় করছিল  অন্যদিকে তেমনি দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বের হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করে এবং এই লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন। তখন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করে।  কিন্তু সেই সময় যে কয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল  তাতে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা একটি বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ।   এরকম ধারণার কারণ ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অত্যন্ত ব্যয়বহুল  টিউশন ফি স্ট্রাকচার।  যে কারণে  শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি ধারণার জন্ম হয় যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ স্বল্প আয়ের লোকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এরকম একটি অবস্থার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা দ্বৈত পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি লাভ করে। অর্থাৎ দূরশিক্ষণ এবং অন ক্যাম্পাস ভিত্তিক  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুভূতি লাভ করে| বিশ্ববিদ্যালয়টি সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিউশন ফি স্ট্রাকচার , পাঠ্যসূচি নির্ধারণ  এবং বিষয়সমূহ চালু করে যা স্বল্পমূল্যে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ  প্রশস্ত করে। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সাধারণের নাগালের বাইরে’- বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই অচলায়তন ভেঙে দেয়| এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত বিভিন্ন পেশাজীবীদের স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তবতা। প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানও যোগ হচ্ছে। ৩৪তম বিসিএসে মেধা তালিকায় সবার সেরা হয়েছিলেন ওয়ালিদ। এই ওয়ালিদ কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিসিএসের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম হওয়ার গৌরবও এই ওয়ালিদের হাতে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর  পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালোমানের শিক্ষার্থী তৈরির ব্যাপারে ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে   উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়     গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারমধ্যে অন্যতম হলো এশিয়ান ইউনিভারিসিটি অব বাংলাদেশ। আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যাপীঠ রজত জয়ন্তী উৎসব পালন করবে নব চেতনায়, তার সুবিশাল নিজস্ব ক্যাম্পাসে।

বাংলাদেশের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও  সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য এটিই প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে  বাংলা বিভাগ চালু করা হয় |এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, কলা ও মানবিক বিষয় সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে|  এইউবি শুরু থেকেই শিক্ষাক্রম এমনভাবে নির্ধারণ ও চালু করেছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে দেশে ও বিদেশে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

রজতজয়ন্তী তথা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে অব্যাহত রাখবে।

গবেষক ও  লেখক

সহযোগী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব  বাংলাদেশ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ০২:৫৫
টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন

টঙ্গীর মিলগেট এলাকার কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটে বৃহস্পতিবার সকালে এক ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ টি তুলার গুদাম পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। 

খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় উল্লেখিত এলাকার জনৈক মাসুদের তুলা ভাঙ্গানোর মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ওই গোডাউনসহ আশপাশের গোডাউনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরার ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

এ সময় ওই এলাকায় পানি সংকট দেখা দিলে আশপাশের বিল্ডিং থেকে পানির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। 

ততক্ষনে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, রক্ষিত মালামাল ও আসবাব পত্র পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

তবে ক্ষতিগ্রস্থ তুলা ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাত আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি। 

এব্যাপারে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. ইকবাল হাসান জানান, তুলা ভাঙ্গানোর মেশিনে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / saiful

সৌদি আরব ৪২০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তানকে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:২০
সৌদি আরব ৪২০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তানকে

ফাইল ছবি


 
পাকিস্তান সরকারকে ৪২০ কোটি ডলার সহয়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খবর ব্লুমবার্গের।

তিন দিনের পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে বুধবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাংকে ৩০০ কোটি ডলার আমানতের প্রস্তাব দেন সৌদি যুবরাজ।

পাশাপাশি ১২০ কোটি ডলারের পেট্রলজাত পণ্য দেওয়ার কথাও জানান তিনি। সৌদি সরকারের এই সহায়তা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইমরান খান।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন সালমান। সেই সময় করোনার কারণে বিধ্বস্ত পাক অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের জন্য অর্থ সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বোচ্চ পঠিত - ফটো গ্যালারি

ফটো গ্যালারি এর সব খবর