a
ছবি সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, “সরকারের সঙ্গে প্রথমে নিজেদের পছন্দের লোকদের সমঝোতা করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বাকিদের ‘নগ্ন’ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন তারা। যার প্রতিফলন সারাদেশে দলের ব্যাপক ভরাডুবি।”
রবিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা এসব কথা বলেন। এসময় তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। পরাজিত প্রার্থীরা বলেন, ‘লোভ-লালসার রাজনীতি কর্মীরা করেন না, করেন নেতারা। তাদের বলির পাঁঠা আমরা। অনেকে পাশে থাকার আশা দিলেও পরে আর থাকেননি। দেখা পর্যন্ত করেননি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবুও নির্বাচনে ভালো কিছু করতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক ও মানসিক সাহায্য পাইনি। তবে ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সামনে এগুতে হবে। জনগণের আস্থার দাম দিতে হবে।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মহাসচিবের প্রতি আহ্বান দলকে বাঁচান। বহিষ্কার অব্যাহতি বাদ দিয়ে সবাই দলের হয়ে কাজ করবো। দলকে সুসংগঠিত করুন। দল কেউ ভাঙতে পারবে না। আপনাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবো।’
শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘ভয়াবহ অবস্থা দলের। এজন্য দায়ী চেয়ারম্যান-মহাসচিব। ভিক্ষা নিয়েও সেটার মধ্যে জালিয়াতি করেছেন তারা। আপনাদের পোস্টার দেখে আওয়ামী লীগও লজ্জা পায়। আপনাদের ভেলকিবাজি সবাই বুঝে গেছে। তবে ক্ষতি হয়েছে দলের। সব দায় চেয়ারম্যান-মহাসচিবের। আঘাতপ্রাপ্ত আর বহিষ্কার লোক একা হয়ে গেছে।’
সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি হিরো হতো। জিএম কাদের অনেক কিছু করেছেন দলের জন্য। তার সব শ্রম বৃথা হয়ে যাবে। আপনার বিকল্প নেই। সঠিক নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানাই।’
ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের
কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব আওয়ামী লীগ করে না উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে বিএনপির চারদিকে অন্ধকার। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, মানবতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এখান থেকে বের হতে পারছে না। আজকে তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন দেশ সে কথাও তারা ভুলে গেছে। নির্বাচনের আগে কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল। নির্বাচন যখন হয়ে গেছে, সরকার ক্ষমতা দখল করেছে, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব দেশ সংকট উত্তরণ করে ভালোর দিকে যাচ্ছে, সুসময় আসতে সময় লাগে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্বে সংকট তার প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। তুলনামূলক অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আমরা আছি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সৌদি সাংবাদিক এবং মার্কিন বাসিন্দা জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও ওয়াশিংটন পোস্ট পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ওয়াশিংটনের আদালতে জামাল খাগোসি হত্যা নিয়ে চলমান মামলায় অভিযুক্তদের তালিকা থেকে প্রিন্স সালমানের নাম বাদ দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় খাসোগিকে। এজেন্টদের দিয়ে এই হত্যা স্বয়ং সৌদি যুবরাজ করিয়েছেন বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
এদিকে, হত্যা থেকে সৌদি যুবরাজকে দায়মুক্তির খবরে জামাল খাসোগির বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস টুইটারে লিখেছেন, 'আজ জামালের আবারও মৃত্যু হলো!'
তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'আমরা ভেবেছিলাম হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ন্যায়বিচারের একটি আলো আসবে, কিন্তু আবারও অর্থেরই জয় হলো। জামাল এই বিশ্বকে জানে না এবং আমি...!'
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী এবং সুপ্রতিষ্ঠিত নীতির অধীনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই আইনগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জামাল খাগোসি সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে আরবের শাসকগোষ্ঠী নিয়ে কলাম লিখতেন। সূত্র: ইত্তেফাক