a
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো জটিল বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অমানবিক। এটা নিয়ে সরকার রাজনীতি করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং তার বিদেশ যাওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখা করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের ঘোষিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার বলছে- অনুমতি দিতে পারছে না। এজন্য যে যুক্তিগুলো দেয়া হয়েছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, খোঁড়া যুক্তি। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।
সাজাপ্রাপ্তদের বিদেশে চিকিৎসার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে এই আইনে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিলো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিলো। অত্যন্ত উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই সহোদর ভাই ৪০১ ধারায় ক্ষমা করে বাইরে পাঠানো হয়েছিলো। সুতরাং কেনো এই সমস্ত খোঁড়া যুক্তি? সোজা বলেন যে, আমরা খালেদা জিয়াকে যেতে দেবো না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আবেদন করার পরপর সরকার এমনভাবে কথা বলল এবং জনগণসহ সকলেই মনে করেছিলো- অনুমতি দিয়ে দেবে। একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে কেউ রাজনীতি করবে না বলেই সবাই বিশ্বাস করেছিলো জনগন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হঠাৎ করে সরকারের সুর বদলে গেল। তারা বলে দিল যে, আমরা দিতে পারছি না।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর পূর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একাত্তরের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে। আমরা এমনই একটি সময় এই বিজয় র্যালি করছি। তাই এই র্যালি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাবো। আমরা কথা বলার অধিকার পাবো, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাবো। কিন্তু এই সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার চেপে বসে আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সকল অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।’
এর আগে রোববার দুপুর ২ টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিলাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মী দিয়ে ভরে যায়।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা 'স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান', 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম', ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে পুরো নয়া পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছেন।
বিজয় র্যালিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার বিপক্ষে রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে সূচনা জয় পায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
এদিন খেলার ১৩ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ব্রাজিল। নেইমার সরাসরি গোলপোস্টে শট করেছিলেন। সার্বিয়ার গোলরক্ষক ভানজা মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচ দারুণভাবে বলটা প্রতিহত করেন।
২১ মিনিটে আবারও নেইমার প্রথম গোলমুখে শট করেন। সেই শটটিও রুখে দেন ভানজার। আবার ২৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।
৩৫ মিনিটে রাফিনিয়া বক্সের একটু ভেতরে সুযোগ পেয়েও জোড়ালো শট নিতে না পারায় প্রথমার্ধে গোল শূন্যভাবে খেলা শেষ হয়।
বিরতির পর ৬২ মিনিটে নেইমারের হারানো বলটা বক্সের ভেতর পান ভিনিসিয়াস। তার শটটা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচ, তবে রিচার্লিসনের ফিরতি শটটা আর ফেরাতে পারেননি। তার গোলে ব্রাজিল শিবিরে প্রথম গোল এনে দেয়।
এরপর ৭৩ মিনিটে আবারও দ্বিতীয় গোলটি করেন রিচার্লিসন। বাম প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়াস বলটা বাড়ান তাকে। হেভি টাচে বলটা আয়ত্বে নিয়ে পরিপূর্ণ গোল করেন রিচার্লিসন।
দ্বিতীয় গোলের পর ব্রাজিল শিবিরে জয়ের সুবাস বয়ে যায়। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। সূত্র: যুগান্তর