a
ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা বলেন জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী। যারা বলে জিয়াউর রহমান গুলি করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী, তারাই স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। যদি স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে হয় না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যাদের ভোট চোরের সরকার বলি তারা আজ কয়েকদিন যাবৎ দলবদ্ধভাবে কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি বলবো ওরা (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘ ১২ বছর কখনো পাপিয়া, কখনো পরীমনি একেক সময় একেকটা ইস্যু দাঁড় করায়। এখন আমাদের মনে হয় গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে একটা ইস্যু দেওয়া দরকার। সেই ইস্যু হলো জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এর বিকল্প কিছু নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি যুদ্ধ করেছেন?। তিনি ৯ মাস না, ১০ মাস যুদ্ধ করেছেন। এই দশ মাসের ফসলই। তবুও দোয়া করি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনাকে তো দেখতে হবে আপনি কি কি করেছেন। মানুষকে অকারণে ব্যাথা দিলে কতটা ব্যাথা লাগে সেটা আপনার উপভোগ করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সংগ্রাম আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, আমরা জেল জুলুম অত্যাচারের শিকার, আমরা অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে যদি ব্যর্থ হই তাহলে সব কাজই কিন্তু বৃথা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে তাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আমাদের জন্য অবশিষ্ট নেই।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কালের কন্ঠ
ফাইল ছবি
ঢাকায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আজ সোমবার চিঠি দেয় বিএনপি। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান—যেকোনো একটি স্থানে দলটি মহাসমাবেশ করতে চায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির সমাবেশের আবেদনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ।
ইতিপূর্বে ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১৮ ও ১৯ জুলাই গাবতলী থেকে রায় সাহেব বাজার ও আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে দলটি।
এছাড়া ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হচ্ছে। অনেক রাজ্যে ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। তবে কোনো কোনো রাজ্যে এখনো ভোট চলছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকানরা বেশ এগিয়ে রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বলা যায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ সমস্যায় পড়বে। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এডিসন রিসার্চের সমীক্ষায় বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতি ও অপরাধ দমনে ভোটাররা ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানদের ওপর ভরসা রাখছে অনেক বেশি। তবে গর্ভপাতের অধিকার প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওহাইও-এর এক রাজনৈতিক সমাবেশে নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৫ নভেম্বর ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগোর বাসভবনে তিনি ‘খুব বড় বিবৃতি‘ দেবেন।
ট্রাম্প বলেন, আমি মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোর পাম বিচে ১৫ নভেম্বর একটি খুব বড় ধরণের ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, তিনি সমালোচনামূলক হওয়া সত্ত্বেও আগামীকালের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে চান না। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।
এর আগে প্রতিবেদনসমূহে বলা হয় যে, ট্রাম্প মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনের পরে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পূর্বাভাস অনুসারে, রিপাবলিকান পার্টি মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তার প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পারে, যা বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রশাসনের কিছু উদ্যোগকে বাধা দেয়ার সুযোগ করে দেবে। সূত্র : সিএনএন ও এএফপি