a
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। আপনাদের আটঘাট বেঁধে নামতে হবে। অনেক অপশক্তি এবার মাঠে নামবে, চ্যালেঞ্জ করবে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ অনেক ভালো কাজের সঙ্গে আছে ছাত্রলীগ।’ এছাড়া তুচ্ছ ঘটনায় খারাপ খবরের শিরোনাম না হতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি ছিল হিউমার। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও...তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’ সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহায় ফের শতভাগ উৎসব ভাতা হতে বঞ্চিত করা হলে প্রতিবাদস্বরূপ প্রতীকী মোরগ কোরবানির ঘোষণা দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৩ সংগঠনের জোট শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি। ঈদের তৃতীয় দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এবং কমিটির সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (বামাশিকফো) সভাপতি উপাধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০০৪ সাল হতে ১৭ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। এমপিওভুক্ত এন্ট্রি লেভেলের একজন মাধ্যমিক শিক্ষক ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে মাত্র তিন হাজার ১২৫ টাকা পান। মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা আরও কম। এই সামান্য উৎসব ভাতা দিয়ে কোনো অবস্থায়ই উৎসব পালন করা সম্ভব নয়।
শতভাগ উৎসব ভাতা হতে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করে গত ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদায় করে মানববন্ধন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।