কুমিল্লার দাউদকান্দি উত্তর গাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ (৬৭)। তার এক ছেলে ৩ মেয়ে এবং স্ত্রী কে নিয়ে সংসার বেশ ভালোভাবেই চলছিল। ২ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন একমেয়ে মুন্নি আক্তার কে বি.এ(পাস) করিয়েছেন। আর একমাত্র ছেলে দিনমজুরি কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাবার ক্ষুদ্র দোকানে সময় দেন।
কিন্তু করোনার প্রভাবে এক্সপিড সিএনজি পাম্পের পাশে অবস্থিত হানিফের দোকানটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হয়। এতে তিনি সংসার চালাতে গিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার উপরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঘরের জায়গাটি ছাড়া আর কোন জমিজমাও তার নেই।
পান-সিগারেট এবং মুড়ি চানাচুরের এই দোকানটিতে আগে প্রতিদিন ৩/৪ হাজার টাকা বিক্রি হতো। এখন প্রতিদিনে ১ হাজার দেড়হাজার টাকা বিক্রি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। লাভ যা হয় তা দিয়ে সংসারের ভরণপোষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে মাঝে পাম্পের মালিক আবদুস সাত্তার তাকে আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। এতেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই বৃদ্ধ বয়সে কাজ করতেও তার ভালো লাগেনা কিন্তু তারপরও নিরুপায় হয়ে কাজ করে চলেছেন।
একদিকে লাখ লাখ টাকা ঋণের চিন্তা অন্যদিকে শিক্ষিত বিবাহযোগ্যা কন্যার বিয়ে দেয়ার চিন্তা। এসব কারণে তাকে প্রায়শই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। সকালে আবার এই ক্লান্ত শরীরে দোকানে বসতে হয়। দোকানদার আবু হানিফ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, একসময় আমাদের সবকিছুই ছিলো, কোন অভাব অনুযোগ ছিলো না। কিন্তু এখন অভাবের কারণে আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
একুশেসংবাদ/কামরুল/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :