কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের অভাবে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৩০ জন রোগী আউটডোর সেবা নিয়ে থাকেন। ভর্তি হয়েও প্রতিদিন প্রায় ১৫/১৬ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। প্রতিমাসে এখানে ৮/১০ টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। কিন্তু জনবলের অভাবে অনেক সময় রোগীদেরকে সঠিক সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ জালাল হোসেন জানান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) এই সবক'টি পদই এখানে শুন্য। যার ফলে জরুরী প্রয়োজনে এখানে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করানো সম্ভব হচ্ছে না।
মঞ্জুরীকৃত ৯৮ টি পদের মধ্যে এখানে ৪৩ টি পদই শুন্য রয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ সালে ডাঃ জালাল হোসেন এই হাসপাতালে যোগদানের পর রোগীরা অনেকটা এই হাসপাতালমূখী হয়েছেন। এর আগে এখানে একটা ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজমান ছিলো। এখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রোগীরা ঔষধ পাচ্ছে সেবা পাচ্ছে যা আগে মানুষ পায়নি।
একুশে সংবাদ/ কা.চ / এস
আপনার মতামত লিখুন :