পরিবেশবাদী সংগঠন তীর’র সহায়তায় বগুড়া বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ৩৫টি সুন্ধি কাছিম উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ সময় কাছিম বিক্রির সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়।
সোমবার সকালে বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তীরের সদস্যরা জানান, বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় একটি মাছের আড়তে সোমবার সকালে বস্তায় ভরে কাছিমগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়। সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল।
এ সময় সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন রহমান বিষয়টি জানতে পারেন।
তিনি বিষয়টি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করার পাশাপাশি বগুড়া বন বিভাগকে জানান।
পরে তীরের সদস্যদের নিয়ে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক সেখানে হাজির হন।
তিনি কাছিমগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি কাছিম কেনাবেচায় যুক্ত দু’জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার পালশা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকার গোবিন্দ চন্দ্র রায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন তীর’র সাবেক সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিকের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত দুই বস্তা কাছিম তিনমাথা রেলগেট সংলগ্ন যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে গণনা করে ৩৫টি কাছিম পাওয়া যায়, যার ওজন ৩৭ কেজি।
উদ্ধারকৃত কাছিম গুলো দেশীয় সুন্ধী প্রজাতির। উদ্ধার অভিযানে তীর সভাপতি রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হাসান, সহসভাপতি মুকিম মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীবসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃত রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, তারা নোয়াখালী, ভৈরব ও মুন্সিগঞ্জ থেকে বিক্রির জন্য কাছিমগুলো সংগ্রহ করেছেন। প্রতি মাসে তারা এ রকম দু’তিন চালান কাছিম এনে বিক্রি করেন।
বগুড়ার বন্য প্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, প্রতি কেজি কাছিম প্রায় দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। অথচ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী কাছিম ধরা, শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো বাংলায় সুন্ধী কাছিম হিসেবে পরিচিত। এক সময় সারা দেশেই এই প্রজাতির কাছিম পাওয়া যেতো। কিন্তু অতি আহরণের কারণে এই প্রজাতি এখন বিলুপ্ত প্রায়।
একুশে সংবাদ/এসএম
আপনার মতামত লিখুন :