a
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোন এখন সবারই নিত্যসঙ্গী। যেখানেই যাওয়া হয় এবং কোন কাজ করা হয় তা প্রায় সবই ফ্রেমবন্দি করা হয়।
পছন্দের ছবির পাশাপাশি মোবাইল ভরে উঠছে অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও। ফোনের স্টোরেজ ভরে গিয়ে হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। জরুরি মুহূর্তে কোনো ছবি রাখা যায় না। এমতাবস্থায় কোন ছবি রাখব, আর কোন ছবি ডিলিট করা হবে তা নিয়েও দোটানা। এ পরিস্থিতিতে জেনে নেওয়া যাক— কীভাবে ফোনকে ঠিক রেখে হাজার হাজার অপ্রয়োজনীয় ছবি ডিলিট করা যায়।
মোবাইলের ছবি নিরাপদে গুছিয়ে রাখার সহজ উপায় হলো— ফটো স্টোরেজ সফটওয়্যারের ব্যবহার। আইফোন হলে অ্যাপল ফটো এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল ফটোঅ্যাপ। দুই অ্যাপেই ছবি সুরক্ষিত রাখা যায় এবং অনলাইনে আদানপ্রদানও করা যায়। ফলে ফোনে থাকা ছবি অনায়াসে মুছে ফেলতে পারা যাবে এবং এখানে জমা করা যাবে। এক্ষেত্রে অ্যাপেলে ৫ জিবি আইক্লাউড স্পেস থাকে বিনামূল্যে, এরপরে বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হলে টাকা দিয়ে তা কিনতে হয়। গুগল ড্রাইভে ১৫ জিবি ফটো জমিয়েও রাখা যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মোবাইলে অটো ডাউনলোড হতে থাকে অপ্রয়োজনীয় ছবি ভিডিও। ফলে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘অটো-ডাউনলোড’ অপশন বন্ধ করে এই ধরনের সব অপ্রয়োজনীয় ছবি ভিডিও মুছে ফেলা যায়।
ক্যামেরা, ডাউনলোড, হোয়াটসঅ্যাপ ইমেজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছবিগুলো বিভিন্ন অ্যালবাম তৈরি করে রাখলে, তাতে অপ্রয়োজনীয় ছবিগুলো ডিলিট করা সহজ হবে। আর ছবিও খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
৪৪টি প্রযুক্তির মধ্যে ৩৭টিতেই চীনের আধিপত্য। জটিল প্রযুক্তিতে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। চীনের তুলনায় পশ্চিমারা বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা অগ্রগতির দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটিজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন বলছে, বিস্তৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মহাকাশ, রোবোটিক্স, শক্তি, পরিবেশ, জৈবপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে শীর্ষে থাকার মধ্য দিয়ে চীন বিশ্বের টেকনোলজি সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়েছে।
ড্রোন, যান্ত্রিক শিখন, ইলেকট্রিক ব্যাটারি, পারমাণবিক শক্তি, ফটোভোল্টাইকস, কোয়ান্টাম সেন্সর ও জটিল খনিজ নিষ্কাশন সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে চীন রাজত্ব করছে। বৃহস্পতিবার এমনটি জানিয়েছে ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ট্র্যাকার।
কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চীনেই অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটিজিক পলিসি ইনস্টিটিউট এমনটিই বলছে।
তুলনা করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জটিল প্রযুক্তির মাত্র সাতটি ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে মহাকাশ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটিজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের অর্থায়ন করে থাকে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। বেসরকারি প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এর অর্থায়ন করে থাকে। সূত্র : আলজাজিরা/
সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র সংঘাত বেড়ে গেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসব স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঘনঘটার মাঝেই কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হয়েছেন গোলাগুলির ঘটনায়।
গত ৭২ ঘণ্টায় রক্তাক্ত এই সহিংসতা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৪০০ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন।
গান ভায়োলেন্স দাবি করেছে, তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে সংগঠিত সহিংসতার তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে একাধিক রাজ্যের পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে রক্তাক্ত এই সংঘাতের ঘটনা ঘটলো।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, শুধু নিউইয়র্কেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২১ জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জন ভূক্তভোগী হয়েছেন। স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাই ১২ জায়গায় গোলাগুলি হয়েছে। এতে ১৩ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন।
গত বছর ২৫টি ঘটনায় গুলি করা হয় ৩০ জনকে। এ কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ। এর মধ্যে ৪ জুলাই ১২টি ঘটনায় গোলাগুলির শিকার হয়েছে ১৩ জন। গত বছর একই দিনে ৮টি ঘটনায় আক্রান্ত হয় ৮ ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব জায়গায় গোলাগুলি বেড়ে গেছে বলে জানা যায়।
পুলিশ বলছে, গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৪০ ভাগ সহিংসতা বেড়েছে। আর ৭৬৭টি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৫ জন।
শিকাগো পুলিশ সুপার ডেভিড ব্রাউনের মতে, ‘বছরের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সপ্তাহান্ত’ ছিল এবারের স্বাধীনতা দিবস। ৮৩ জন মানুষকে গুলি করা হয় এ সময়, যাদের মধ্যে নিহত হয় ১৪ জন। এর মধ্যে ৫ ও ৬ বয়সী মেয়ে শিশুও রয়েছে। আছে সেনা সদস্যও।
এ ছাড়া আটলান্টা, ভার্জিনিয়া, ডালাসসহ একাধিক এলাকায় সংগঠিত সহিংসতার তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।