a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করে পর্যাপ্ত সহায়তা করেছে জবিস্থ চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
শনিবার (৩০ জুলাই) গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে উক্ত ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি ও রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সহায়তা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের আসন পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য প্রদান করা হয়। হেল্প ডেস্কে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল গচ্ছিত রাখা হয়। এছাড়াও আগত পরীক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, কলম, পানি বিতরণ করা হয়, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে জবিস্থ চাদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। তাদের সাথে নিয়ে আসা জিনিসপত্র (ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল) সংগ্রহ করে আমাদের হেফাজতে রেখে তাদেরকে পরীক্ষা শেষে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে।’
সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, নিজ জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, কলম পানিসহ অন্যান্য সহায়ক দ্রব্যাদি বিতরণের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টায় ছিলাম আমরা। আমাদের এ আয়োজনে যারা পাশে ছিলো তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভবিষ্যতেও আমরা এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।
নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায় যে, সামনে আরো দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গুচ্ছভুক্ত ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয়বারের মত গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা।
ফাইল ছবি
দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ করাসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযীগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে রেজিস্ট্রার দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীগণ দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ করাসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ও বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা, এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় তাদেরকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হলো ।
১১ জন শিক্ষার্থীরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইব্রাহীম আলী। ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসরাফিল হোসেন। সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের আল মামুন রিপন ।
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মো : মেহেদী হাসান। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মো : রওসন উল ফেরদৌস। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মো : মেহেদী হাসান। বাংলা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত ।ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-২০১৮শিক্ষাবর্ষের মো: ফাহাদ হোসেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মো : ওবায়দুল ইসলাম। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মো : শাহিন ইসলাম । প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুর রহমান অলি।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ফাইল ছবি
প্রতিদিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং এই মুহূর্তে অন্তত ২৯টি জেলা করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহী ইত্যাদি। ঢাকায় সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে ৪৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের বলেন, গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংক্রমণের মাত্রা ‘খুব দ্রুত বাড়ছে’। তিনি বলেন, মার্চের ১৩ তারিখে সংক্রমণের মাত্রা উচ্চ ছিল ৬টি জেলায়, ২০ তারিখে দেখা গেছে ২০টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। আর মার্চের ২৪ তারিখে দেখা গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উচ্চ এমন জেলার সংখ্যা ২৯টি। তাই বোঝা যাচ্ছে, সংক্রমণের হার বাড়ছে দ্রুত।
করোনাভাইরাস থেকে ঝুঁকির মাত্রা প্রতি সপ্তাহেই বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্য, রোগীর সংখ্যা, সংক্রমণের মাত্রা- এসবের ওপর ভিত্তি করে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করে অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংক্রমণের উচ্চ হার সামাল দিতে এখন স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি জেলায় কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কমিটি রয়েছে এবং এসব কমিটি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মিলে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এক সঙ্গে কাজ করবে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আরটিপিসিআরের পাশাপাশি এখন হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। নমুনা সংগ্রহের যেসব বুথ বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলোও খুলে দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সরকারের সবচেয়ে বড় যে অস্ত্র, সেই টিকার ঘাটতি নিয়ে আলোচনা আছে। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বীকার করেন যে যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেবার মতো টিকার মজুদ বর্তমানে দেশে নেই। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের হাতে ৪২ লক্ষ টিকা মজুদ আছে। আর এপ্রিল মাসে কিছু টিকার চালান আসবে বলে সরকার আশা করছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে হাসপাতালগুলোতে ক্রমে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চেষ্টা করছে যে কভিড-ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা আরও বাড়ানোর। তবে রোগীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, নিজ নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে রোগীরা ঢাকায় চলে আসেন, যে কারণে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার সরকার ১৮ দফা নতুন নির্দেশনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম সীমিত করা। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার মতে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এই ১৮ দফা ‘স্ট্রিক্টলি’ অর্থাৎ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এই ১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে সরকার উচ্চসংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনাও রয়েছে এর মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, যেসব জেলায় উচ্চসংক্রমণ রয়েছে, প্রয়োজনে সেসব জেলার সঙ্গে আন্তজেলা যোগাযোগও সীমিত করা হবে। তবে সেটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন জেলার পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া, প্রয়োজন হলে স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপ করা হতে পারে। প্রত্যেক জেলার হাসপাতালে অক্সিজেনের সুবিধা এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত রয়েছে বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।