a
ফাইল ছবি
জাপানি মা নাকানো এরিকো এবং বাংলাদেশি বাবা শরীফ ইমরান দুই শিশুকে নিয়ে গুলশানের ভাড়া করা একটি বাসায় উঠেছেন। বুধবার দুপুর ১টায় তারা এ বাসায় উঠেন। জাপানি মায়ের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গুলশানের ওই বাসায় শিশু দুটি বাবা-মাকে এক সঙ্গে পেয়ে বেজায় খুশি। চার রুমের এই ফ্লাটে আগামী ১৫ দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাবে পারবে তারা।
গতকাল হাইকোর্ট দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে মা নাকানো এরিকো ও বাবা শরীফ ইমরানকে এক বাসায় থাকার নির্দেশ দেন। ঢাকা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বাচ্চাসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে আদালত বলেন, বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণে রাখবেন। কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ উঠলে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪’র নির্বাচনের আগে চক্রান্ত করেছে, ২০১৮’র নির্বাচনের আগে করেছে আবার এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বুধবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যগণ সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রদত্ত ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ চতুর্দিক দিয়ে আসবে এবং আসছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপর দিকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ। তাই এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দুর্যোগও যেমন আসবে পাশাপাশি যেখানে রাসেলকে (১০ বছরের ছোট্ট) পর্যন্ত খুন করলো আর সেই পরিবার থেকে বেঁচে এসে সরকারে এলাম, সাফল্য এনে দিলাম, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিলাম- এটা অনেকেই পছন্দ করবে না। কাজেই তারা তৎপর আছে সারাক্ষণই। আমি জানি তাদের তৎপরতা অনেক বেশি। তাদের খবরও আমি রাখি, আমার তো অচেনা কেউ নাই। তারা তাদের চক্রান্ত করেই যাচ্ছে।
তিনি করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনকে কেন্দ্র করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃচ্ছতা সাধনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এই স্যাংশনের ফলেই প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে এবং আমি জানি না কারা লাভবান হচ্ছে এই যুদ্ধে। লাভবান হচ্ছে অস্ত্র প্রস্তুত ও সরবরাহকারীরা। আর মরছে সাধারণ মানুষ, ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে সাধারণের আজকে কি মানবেতর জীবন। সেটাই সবথেকে দুঃখজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে কার কি লাভ হবে জানি না, তবে বাংলাদেশের মানুষের তো ক্ষতিই হবে। কারণ, আমরা তো এক একটা জিনিস টার্গেট করে কাজ করছি। যেমন বলেছি একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা যে পদক্ষেপ শুরু করেছিলেন নোয়াখালি থেকে। আমি সেই দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি। এখন আরো ৫৬ হাজার ঘর আরো তৈরী হচ্ছে (বিনামূল্যে বিতরণের জন্য)। তাহলে এখানে আর কোনো ভূমিহীন থাকবে না।
দেশে ভূমিহীন-গৃহহীন খুঁজে বের করায় সরকারের পাশাপাশি তিনি তার দলের নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, তারপরেও আমি আলাদাভাবে খবর নিচ্ছি। রংপুরসহ বিভিন্ন বিভাগে আমাদের কৃষক লীগ এবং আওয়ামী লীগের যে নেতা-কর্মী রয়েছে তাদেরকে বলেছি- কোথায় কে ভূমিহীন-গৃহহীণ রয়েছে তাদের খোঁজ করে তালিকা করতে হবে। এক একটা এলাকা ধরে আমাকে তালিকা দিতে বলেছি যাতে কেউ বাদ না যায়। আমরা তাদের ঘর করে দেয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব। কেননা বাংলাদেশে একটা মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না।
এ সময় তার সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিলেও বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে বলেও উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কেবল আমরাই নয় এখন ইউরোপের দেশগুলো থেকে শুরু করে আমেরিকা পর্যন্ত জ্বালানি সাশ্রয় করছে। কাজেই আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি ভবিষ্যতে যেন বিপদে না পড়তে হয়। তাছাড়া, ১ কোটি মানুষকে আমরা স্বল্পমূল্যে খাবার দিচ্ছি অর্থাৎ কোনো মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সেটাই আমাদের চেষ্টা। সূত্র : বাসস
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: দেশের বর্তমান চলমান উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতিতে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত জনতার দল। আজ ২৪ মার্চ ২৫, সকাল ১১ ঘটিকায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস ছালাম হলে মূলত দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আইটেম-১। সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া প্রসংগে।
আইটেম-২। আর পি ও ১২(১)(চ) এর সংশোধনী প্রসংগে।
সংবাদ সম্মেলনের প্রথম বিষয়, সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া প্রসংগে জনতার দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান বলেন, ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার পতনের পরে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতির চরম অবনতি ঘটে। ক্রমান্বয়ে এ পরিস্হিতির সামান্য উন্নতি হলেও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়ছে। গত ০১ মাসে শিশুধর্ষণ এবং মব জাষ্টিসের ঘটনাগুলো প্রমান করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতির কতটা ভঙ্গুর! প্রায় ৬ মাস ধরে সশস্ত্রবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকা সত্বেও আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হচ্ছে না। তৃণমূল পর্যায়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের দখলদারী ও চাঁদাবাজী অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলাই বিপ- বের ছাত্র হত্যা মামলাকে পুঁজি করে সারাদেশে অসংখ্য মিথ্যা মামলা হয়েছে। সরকার, স্বরাষ্ট্রউপদেষ্টা, আইজিপিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে সতর্কতা বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি না করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারী করার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।
অনেক সাধারণ - নিরীহ মানুষ ঘরে ঘুমাতে পাচ্ছেন না। এলাকার পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি চরম প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। এ পরিস্হিতিতে সশস্ত্রবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দীর্ঘদিন মাঠে রাখার ফলে সশস্ত্রবাহিনীর ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যদি সরকার আম্ভরিক থাকে সশস্ত্রবাহিনীর বহুমাত্রিক ব্যবহার করে ১৫ দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতির অভূতপূর্ণ উন্নতি করা সম্ভব। এ বক্তব্যের আলোকে আমাদের দলীয় অবস্হান - হয় সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমাতার পূর্ণ/সদ্ব্যবহার করা হোক নতুবা সশস্ত্রবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে নেয়া হোক। এমন দীর্ঘ মোতায়েনের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী।
সংবাদ সম্মেলনের ২য় বিষয়, আর পি ও ১২(১)(চ) এর সংশোধনী প্রসংগে বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৭২ এর আর্টিকেল ১২(১) (চ) এর ধারামতে প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর ৩ বছর অতিবাহিত না হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২৩ সালে মোট ৪টি রীট পিটিশন করা হয় - যা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ফরমায়েশি আদেশে মহামান্য হাইকোর্টে খারিজ করেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিকেল ৬৬ (২) এ সংসদ নির্বাচনের অযোগ্যতার কারণসমূহ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধারাটি বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ১১, ১৯, ২৬-২৭ এবং ৬৬ এর সাথে সাংঘর্ষিক এবং এ-তে অবসারপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবীগণের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বিপ-বোত্তর সময়ে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্হা সংস্কার তাঁদের সুপারিশে আর পি ও'র এই ধারাটি বাতিলের সুপারিশ করেননি। এ ধারাটি নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে অর্ববর্তীকালীন সরকারকে বিনীত অনুরোধ করছি।