a
ফাইল ছবি
জাপানি মা নাকানো এরিকো এবং বাংলাদেশি বাবা শরীফ ইমরান দুই শিশুকে নিয়ে গুলশানের ভাড়া করা একটি বাসায় উঠেছেন। বুধবার দুপুর ১টায় তারা এ বাসায় উঠেন। জাপানি মায়ের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গুলশানের ওই বাসায় শিশু দুটি বাবা-মাকে এক সঙ্গে পেয়ে বেজায় খুশি। চার রুমের এই ফ্লাটে আগামী ১৫ দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাবে পারবে তারা।
গতকাল হাইকোর্ট দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে মা নাকানো এরিকো ও বাবা শরীফ ইমরানকে এক বাসায় থাকার নির্দেশ দেন। ঢাকা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বাচ্চাসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে আদালত বলেন, বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণে রাখবেন। কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ উঠলে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
ছবি সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিনিধি: আগামীকাল সকালে তারেক রহমান-ইউনূসের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টির এখন লন্ডনের দিকে। সবার প্রত্যাশা সকল সমস্যার সমাধান হবে আলোচনার টেবিলেই। তাই সকল মত-পার্থক্য দূর করে ড. ইউনূস সরকারের অধীনেই যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী কমিটির একাধিক সদস্যরা জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ফলপ্রসূ হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি, প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ এবং জুলাই সনদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈঠকটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইতোমধ্যে লন্ডন পৌঁছেছেন।
জনাব আমির খসরু বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দলীয় প্রতিনিধিদলে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের মূল বৈঠকটি হবে ‘ওয়ান টু ওয়ান এবং রুদ্ধদ্বারেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ব্যাপারে বেশ উচ্ছ্বসিত এবং তিনি বলেন, বৈঠকটিতে রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, গোটা জাতি এখন লন্ডনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে। যৌক্তিক সময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্বাচনসহ সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আগামীকাল লন্ডনের হোটেলে ডোরচেস্টারে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকের আয়োজন মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ‘ওয়ান টু ওয়ান’ একটি বৈঠকের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনজন উপদেষ্টা যোগাযোগের চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের কর্মসূচি নির্ধারণের পর গত সোমবার মূলত বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে।
ঢাকা ও লন্ডনের সূত্রগুলো জানায়, তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির দিক থেকেও সাক্ষাৎ ও বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কারণে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এবিষয়ে গত সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীকালের এ বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৈঠকটিকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বড় একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে বিএনপিসহ অন্যান্য দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মতামত দিয়েছেন।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই ও হট্টগোলের ঘটনায় শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সজল, অ্যাডভোকেট মাহফুজ-বিন-ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম আক্তার জাকির, অ্যাডভোকেট মো. মনজুরুল আলম সুজন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোক্তার কবির খান, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান খান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ আইনজীবীকে। সূত্র: আমাদের সময়