a
ফাইল ছবি
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে ভারতের মেয়েদের হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে মারিয়া মান্ডার দল। পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট।
শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল।
খেলার অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেছেন শামসুন্নাহার সিনিয়র।
ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার পাশাপাশি ফাইনাল খেলার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল করল বাংলাদেশের মেয়েরা।
আগামী রবিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ফাইল ছবি
আজ সোমবার ২০২০ ইউরো কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। ২৪ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোসের। তাছাড়া ঘোষিত দলে নেই কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়।
করোনা কারনে যদিও ইউরোর জন্য সব দলকেই ২৬ জন করে ফুটবলার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এনরিকে আপাতত ২৪ জনের দলই ঘোষণা করেছেন।
দলে সুযোগ পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ৪ জন, বার্সেলোনা থেকে ৩ জন, ভিলারিয়াল / অ্যাটলেটিকো থেকে ২ জন করে, ব্রাইটন / চেলসি / লিডস/লিভারপুল / ম্যান ইউনাইটেড / উলভস / পিএসজি / আরবি লেইপজিগ / জুভেন্টাস / নাপোলি / অ্যাথলেটিক / রিয়েল সোসিয়েদাদ / ভ্যালেন্সিয়া থেকে সুযোগ হয়েছে করে নিয়েছে একজন করে খেলোয়াড়, এখনো স্পেনের হয়ে না খেলে প্রথমবার যায়গা পেয়েছে ২ জন।
পুরো মৌসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলা ২০ বছর বয়সী ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সেন্টার ব্যাক এরিক গার্সিয়া, গোটা মৌসুম ধরে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁকেও দলে রেখেছেন এনরিকে। আবার গার্সিয়ার সতীর্থ ম্যান সিটিরই আইমেরিক লাপোর্তে চোট সমস্যায় ভুগছেন তাও দলে যায়গা পেয়েছেন। তবুও তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জায়গা হয়নি রামোসের।
এনরিকে বলেছেন, ‘রামোসকে নিয়ে আমি যেই সিদ্ধান্ত নিতাম, তাতেই বিতর্ক হত। আমি জানি, আমি কী করেছি। আর সংবাদমাধ্যমের বিরোধীতার মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।
২০২০ ইউরোর জন্য স্পেনের ২৪ সদস্যের স্কোয়াড :
গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, দাভিদ দি গিয়া, রবার্ত সানচেজ।
ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জর্দি আলবা, পাউ তরেস, আইমেরিক লাপোর্তে, এরিক গার্সিয়া, দিয়েগো লোরেন্তে, সিজার আজপিলিকুয়েতা, মার্কোস লোরেন্তে।
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, রদ্রি, পেদ্রি, থিয়াগো, কোকে, ফ্যাবিয়ান রুইজ।
ফরোয়ার্ড: দানি ওলমো, মিকেল ওয়ারজাবল, আলভারো মোরাতা, জেরার্দ মোরেনো, ফেরান তরেস, অ্যাদামা ত্রাউরে, পাবলো সারাবিয়া।
ফাইল ছবি: মেসি
কী জানি কী হয়! উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা লিওনেল মেসির চোখে মুখে। পারবেন কি ইন্টার মায়ামিকে প্রথম শিরোপাটা এনে দিতে? কিছুই তখন তাঁর হাতে ছিল না। নিজের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে করেছেন নান্দনিক এক গোল। টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটটি নিয়েও করেছেন গোল।
এরপরই শুরু টেনশন! তবে মেসিকে নিরাশ করেননি তাঁর সতীর্থরা। ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ১০টি করে শট নিয়ে ফেলেছে, টাইব্রেকারে তখন ৯-৯ এ সমতায়। শট নিতে এলেন গোলরক্ষকেরা। দারুণ শটে গোল করলেন ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। এরপর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দলকে এনে দেন শিরোপাও। ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ১০-৯ গোলে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জিতে সপ্তম স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন মেসি। ফুটবল থেকে নিজের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই বলে নিজেই একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু নিজের জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তলানিতে থাকা ইন্টার মায়ামিকে ভালো কিছু উপহার দেবেন বলে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপেই সফল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। লিগস কাপের মধ্য দিয়ে মায়ামিকে এনে দিলেন প্রথম শিরোপা।
এদিন ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে শুরু থেকেই বল পায়ে রেখে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে ইন্টার মায়ামি। ৪ মিনিটের মাথায় লং বলে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন মেসি। যদিও সেই সুযোগ পরিণতি পায়নি। ইন্টার মায়ামি বলের দখল রেখে খেলায় ন্যাশভিলে এ সময় চেষ্টা করছিল প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরির।
দুই-একবার ওপরেও ওঠে এসেছিল তারা। যদিও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিপরীতে ইন্টার মায়ামিও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খুব একটা জায়গা পাচ্ছিল না। কড়া পাহারার কারণে হতাশ হতে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু কড়া পাহারায় কি আর মেসিকে আটকে রাখা যায়! ন্যাশভিলেও পারেনি।
২৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইন্টার মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসিই। ন্যাশভিলের ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গায় রবার্ত টেলরের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। কয়েক পা এগিয়ে শরীরের ঝাঁকুনিতে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করেন মেসি। মেসির সেই গোল তাঁর আশপাশে থাকা ন্যাশভিলের ৫ খেলোয়াড়ের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এ নিয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা ৭ ম্যাচে ১০ গোল করলেন মেসি।
বিরতির পরও ন্যাশভিলে চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামির চোখ ছিল ব্যবধান বাড়ানোয়। একাধিক আক্রমণ থেকে মেসিরা ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ন্যাশভিলে। দলকে গোল এনে দেন ফাফা পিকাল্ট। কর্নার থেকে আসা বলে নিচু করে হেড নেন ফাফা। বল লাইনে দাঁড়ানো বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির গায়ে লেগে ফিরে আসছিল। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গোলরক্ষকের গায়ে লেগে আবার জালে জড়ায় বল।
ম্যাচে সমতা ফেরার পর দুই পক্ষই এগিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আরেকটি ট্রেডমার্ক শটে দলকে প্রায়ই এগিয়েই দিয়েছিলেন মেসি! কিন্তু এবার মেসির মাটি কামড়ানো শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোল পোস্ট। ৭৭ মিনিটে স্যাম সারিডগে ইন্টার মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারকে ফাঁকি দিতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত ন্যাশভিলে।
শেষ দিকে আরও দুটি দারুণ সেভ করে ইন্টার মায়ামিকে বাঁচান ক্যালেন্ডার। যোগ করা সময়ে গোল পেতে পারত মায়ামিও। কিন্তু তারাও পারেনি বল জালে জড়াতে। এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছিল গোল আদায়ের। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে আসেন মেসিই। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে এরপর দুই দলই একটি করে পেনাল্টি মিস করে। ৫ শটের পর সমতা থাকে ৪-৪ এ। এরপর ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে জয় পায় মায়ামি। সূত্র: প্রথম আলো