a
ফাইল ছবি: লিওনেল মেসি ও রোনালদো
বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা দুই তারকা ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তিদের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
শনিবার পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানের ফাইনালে স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে গোল করে ইউরোপীয় ফুটবলে সব থেকে বেশি গোল করার নজির গড়েছেন মেসি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসেবে সর্বোচ্চ গোলের নজির গড়েছেন মেসি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর ৪৯৫ গোলের নজির ভেঙে ফেললেন তিনি। রোনালদো এ নজির করেছিলেন ৬২৬ ম্যাচে। আর্জেন্টাইন তারকা রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন মাত্র ৫৭৭ ম্যাচেই।
শনিবার মেসির গোলে পিএসজির লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল। এটি পিএসজির রেকর্ড ১১তম শিরোপা। মেসি এর আগে ১০টি লা লিগা খেতাব জিতেন। ফলে এটি তার ১২তম লিগ শিরোপা।
পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানে দুই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ২২টি গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনায় ৫২০ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪৭৪ গোল; যা এক ক্লাবের হয়ে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ গোলের নজির। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
গত অক্টোবরে দুই দলের সবশেষ দেখায় প্রীতি ম্যাচে ইউক্রেনকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। আরেকটি বড় জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আাঁতোয়ান গ্রিজমান। তবে আরেকটি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে নিজেদের ভুলেই হোঁচট খেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হলো না ফ্রান্সের। অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। ইউক্রেনের আক্রমণের চাপে রুখতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপ শিরোপধারীরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুরুটা মোটেই ভালো হলো না গত বিশ্বকাপের বিজয়ী ফ্রান্সের। ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচে অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে ইউক্রেন।
ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পরও জয় পেলো না তারা। আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ইউক্রেন।
জাতীয় দলের হয়ে গ্রিজমানের গোল হলো ৩৪টি। দেশটির সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চারে থাকা দাভিদ ত্রেজেগেকে স্পর্শ করলেন তিনি। ওপরে আছেন মিশেল প্লাতিনি (৪১), জিরুদ (৪৪) ও থিয়েরি অঁরি (৫১)।
নিজেদের পরের দুই ম্যাচে আগামী রোববার কাজাখস্তান এবং এর তিন দিন পর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। একই রাতে ‘ডি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে ফিনল্যান্ডের মাঠে ২-২ গোলে তাদের রুখে দিয়েছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।
সংগৃহীত ছবি
ফাইজার বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়ার দুই থেকে তিন মাস পর থেকে শরীরের অ্যান্টবডির মাত্রা কমে আসতে পারে। এমনকি অ্যান্টিবডির মাত্রা ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সম্প্রতি জনপ্রিয় গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জি নিউজ।
জানা যায়, এ হারে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যেতে থাকলে টিকার প্রভাব কমে যেতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেমন প্রভাব রাখবে তা নিয়েই উদ্বেগ বেশি। কতো দ্রুত এমনটা হবে তা এখনই আন্দাজ করে বলা কঠিন।
গবেষণাটিতে আরও উঠে এসেছে, দুই ডোজ নেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তুলনায় ফাইজারের টিকায় মানবদেহে অধিক পরিমাণ অ্যান্টিবডির মাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ৬০০ জন মানুষের থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের বয়স, গুরুতর অসুস্থতা ও লিঙ্গভেদে গবেষণার ফলাফল একই ছিল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা দাবি করছেন, অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে আসা কেমন ভূমিকা রাখতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে ২১-৪১ দিনের মধ্যে অ্যাটিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে ৭৫০৬ ইউনিট করে কমতে থাকে, ৭০ দিন বা এর বেশি সময়ের মধ্যে প্রতি মিলিমিটারে ৩৩২০ ইউনিট করে কমে।
অন্যদিকে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকায় প্রথম ২০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে ১২০১ ইউনিট হ্রাস পায়, ৭০ বা তার বেশি দিনের মধ্যে এ পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে ১৯০ ইউনিট। অর্থাৎ প্রায় ৫ গুণ কমে যায়। সূত্র: ইত্তেফাক