a
ছবি সংগৃহীত
জোবাইদা রহমান এই নামটা উচ্চারণ করলেই যেন এক সৌম্য, নিরহংকার, শিক্ষিত, ভদ্র, এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারীর ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
যাঁর জীবনটা শুধুই তারেক রহমানের স্ত্রী হওয়ার পরিচয়ে সীমাবদ্ধ নয়—বরং তিনি নিজেই এক বিশাল পরিচয়ের অধিকারী।
তিনি এমন একজন নারী, যিনি সর্বোচ্চ শিক্ষিত হয়েও নিজের কৃতিত্ব নিয়ে কখনও অহংকার করেননি। নিজেকে সবসময় রেখেছেন প্রচারের আড়ালে, আড়ালে থেকেও ছুঁয়ে গেছেন অসংখ্য হৃদয়।
আজও তাঁর নামে নেই কোনো বিতর্ক, নেই কোনো কেলেঙ্কারি, নেই কোনো রাজনীতির রঙচঙে মোড়ক—তবুও তিনি হয়েছেন নোংরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার।
এক যুগেরও বেশি সময় তাঁকে থাকতে হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে দূরে, সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে নির্বাসনে কাটাতে হয়েছে কঠিন সময়।
নিজের হাতে স্বামীকে সুস্থ করে তুলেছেন, সন্তানকে গড়ে তুলেছেন শিক্ষায়, মূল্যবোধে।
যখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তারেক রহমানের সব ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়, তখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। ঠিক তখনই এক অসাধারণ উচ্চারণ করেছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান:
“প্রয়োজনে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও আমি আমার স্বামীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেব।”
এই একটি বাক্যেই ফুটে ওঠে একজন নারীর সাহস, ভালোবাসা, এবং আত্মত্যাগ। এমন একজন নারী শুধু সংসার করেন না—সংসার গড়ে তোলেন হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে।
ডা. জোবাইদা রহমান একজন মেধাবী চিকিৎসক:
• ১৯৯৫ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার।
• ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন, রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদকসহ।
একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান, পেশাদার এবং গভীর জ্ঞানের অধিকারী।
রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও তাঁর আলাদা সম্মান ও অবস্থান রয়েছে পেশাগত অঙ্গনে।
ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক শেকড় – ইতিহাস যাঁর রক্তে
পিতৃসূত্রে:
• প্রপিতামহ: ডা. খান বাহাদুর আজদার আলী খান – অবিভক্ত ভারতের বিহার ও আসামে মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
• দাদা: আহমেদ আলী খান – ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টারদের একজন, আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট।
• চাচা: জেনারেল এমএজি ওসমানী – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক।
মাতৃসূত্রে:
• বাবা: রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান – স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় নৌবাহিনী প্রধান।
• মা: সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু – স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক।
শ্বশুরবাড়ির উত্তরাধিকার – রাজনীতির বিশাল ছায়া
• শ্বশুর: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান – বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি।
• শাশুড়ি: বেগম খালেদা জিয়া – দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে আজও কেউ ভোটে হারাতে পারেনি।
আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেখানে চারদিকে কোলাহল, আত্মপ্রচার আর কৃত্রিমতা, সেখানে ডা. জোবাইদা রহমান নীরব থেকে গড়ে তুলেছেন এক আস্থা, এক সম্ভাবনার ছায়া।
তিনি সরাসরি রাজনীতিতে আসুন বা না আসুন—তাঁর সংযম, বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও রুচিবোধ তাঁকে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিকল্প নেতৃত্বের প্রতীক করে তুলেছে।
ডা. জোবাইদা রহমান কেবল একজন স্ত্রী নন, কেবল একজন চিকিৎসক নন—তিনি একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা।
তাঁর জীবন ত্যাগে গড়া, মেধায় গড়া, ঐতিহ্যে গড়া।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে এমন একজন মার্জিত, সাহসী, শিক্ষিত ও নৈতিকতায় উজ্জ্বল নারীর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আমাদের আশা জাগায়।
আমার হৃদয়ের গভীর থেকে বিশ্বাস—তিনি তাঁর প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে জনাব তারেক রহমানের আগামীর দিনগুলো এমনভাবে সাজাতে সাহায্য করবেন , যা একদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে সোনালি অধ্যায় হয়ে লেখা থাকবে।
লেখক: প্রিসিলা, নিউইয়র্ক
টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন
টঙ্গীর মিলগেট এলাকার কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটে বৃহস্পতিবার সকালে এক ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ টি তুলার গুদাম পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় উল্লেখিত এলাকার জনৈক মাসুদের তুলা ভাঙ্গানোর মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ওই গোডাউনসহ আশপাশের গোডাউনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরার ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এ সময় ওই এলাকায় পানি সংকট দেখা দিলে আশপাশের বিল্ডিং থেকে পানির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ততক্ষনে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, রক্ষিত মালামাল ও আসবাব পত্র পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্থ তুলা ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাত আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি।
এব্যাপারে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. ইকবাল হাসান জানান, তুলা ভাঙ্গানোর মেশিনে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আগামীকাল সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার পর সারাদেশে বিপণি-বিতান, মার্কেট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে একমত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে সমিতির নেতারা ঈদুল আজহার কারণে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করে। সূত্র: ইত্তেফাক