a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ত্বক ফর্সার নামে বিষ! বাজারে এখনও বিক্রি হচ্ছে মার্কারি যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী। ত্বক ফর্সাকারী পণ্যে মার্কারি নিয়ে ESDO ও BAN Toxics-এর উদ্বেগজনক অনুসন্ধান” নিয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো, ইউরোপীয় এনভায়রনমেন্টাল ব্যুরো (ইইবি)-এর সহযোগিতায় এবং ফিলিপাইন ভিত্তিক সংস্থা ব্যান টক্সিকস-এর পরীক্ষামূলক সহযোগিতায় আজ ১৯ জুন ২০২৫, ঢাকার লালমাটিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
এসডো, ইইবি এবং ব্যান টক্সিকস-এর পরিচালিত সাম্প্রতিক এক যুগান্তকারী গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বাংলাদেশে পরীক্ষিত ২৬টি ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের মধ্যে ২২টিতে পারদের মাত্রা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নিরাপত্তা সীমা ১ পার্ট পার মিলিয়ন (পিপিএম) থেকে বহুগুণ বেশি রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশিত এই ফলাফলগুলো ক্ষতিকারক সৌন্দর্যের প্রবণতা এবং বাজারে নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রি বন্ধ করার জন্য জরুরি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সিভিল সোসাইটি, এসডো, এবং ফিলিপাইনের ব্যান টক্সিকস বাংলাদেশে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্য বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে।
সাম্প্রতিক এই গবেষণায় সরাসরি শপিং মল, বাজার, দোকান, ও অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে সংগৃহীত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের পারদের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি ESDO-এর ২০১৭ সাল থেকে চলমান নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, BAN Toxics ফিলিপাইনে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স (XRF) মেশিন ব্যবহার করে গবেষকরা পরীক্ষিত পণ্যে অস্বাভাবিক উচ্চ মাত্রার মার্কারি উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। সর্বোচ্চ পারদসহ দুটি ব্র্যান্ড হলো ডিউ বিউটি ক্রিম (২৪,৮০০ পার্ট পার মিলিয়ন) এবং গোল্ডেন পার্ল বিউটি ক্রিম (২০,৭০০ পার্ট পার মিলিয়ন)। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, পারদ শনাক্ত হওয়া ২২টি পণ্যের মধ্যে তিনটি পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI) কর্তৃক নিষিদ্ধ। এই তিনটির মধ্যে রয়েছে উপরে উল্লেখিত দুটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং Goree Beauty Cream with Lycopene। তবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও এসব পণ্য এখনো স্থানীয় বাজার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও, বেশ কিছু ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: FEIQUE Herbal Extract Whitening Freckle Removing Cream 15,500 ppm, Parley Beauty Cream - 10,000 ppm, Kim Whitening Ginseng and Pearl Cream - ৭,৪০০ ppm। এইসব পণ্যের মধ্যে পারদের পরিমাণ আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাত্রা (১ ppm)-এর তুলনায় হাজার গুণ বেশি, যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
২০২৪ সালের পরীক্ষায় দেখা যায়, Jiaoli Whitening Night Cream-এ সর্বোচ্চ ৫,১৪০ ppm পারদ রয়েছে। Collagen Plus Vitamin E Night Cream, Jiaoli Day Cream, এবং আরও কয়েকটি পণ্যে উচ্চ মাত্রার পারদ পাওয়া গেছে। যদিও Thanaka 3 Collagen Plus Vitamin E Day Cream-এ পারদ শনাক্ত হয়নি, তবুও এই ফলাফলগুলো দেখায় যে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পারদযুক্ত কসমেটিকস এখনো বাজারে সহজলভ্য এবং যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি।
এসডো'র সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, “স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু অগ্রগতি হলেও এখনো বাজারে এসব পণ্য সহজলভ্য, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক”। এসডো'র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রভাব যেমন বিয়ে ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এসব কারণে নারীদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে ফর্সা হতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকার পরও ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এসডো'র সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “পারদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার, সিভিল সোসাইটি ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা মার্কারি অনেক সময় কোনো তাৎক্ষণিক উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি করে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, পারদ স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। আন্তর্জাতিক জোট Zero Mercury Working Group (ZMWG) অনুযায়ী, পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম দীর্ঘমেয়াদে চোখ, ফুসফুস, কিডনি, হজম ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। এসব পণ্যে থাকা পারদ শুধু ব্যবহারকারীর নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশু, নবজাতক ও গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য।
BAN Toxics-এর অ্যাডভোকেসি ও ক্যাম্পেইন অফিসার থনি ডিজন বলেছেন, পারদযুক্ত সৌন্দর্য পণ্যের অব্যাহত উপস্থিতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, এবং এর অবৈধ সীমান্ত পার বাণিজ্য বন্ধের জন্য জরুরি আন্তঃসরকারি সহযোগিতা ও পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পারদযুক্ত ১৮টি নমুনার ঘোষিত উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম।
“জোরালো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি এর মত আন্তর্জাতিক চুক্তির কঠোরভাবে পালন খুব জরুরি। দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করে এই বিষাক্ত পণ্যের উৎপাদন, বাণিজ্য ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।”
ডিজন আরও বলেন, ফিলিপাইনের অবস্থাও বাংলাদেশের মতোই। ফিলিপাইন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ১০০টির বেশি পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্য নিষিদ্ধ করলেও, এই পণ্যের ব্যাপক বিক্রির বিরুদ্ধে কার্যকর বাস্তবায়ন এখনও বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
২০১৭ সাল থেকে ESDO ও BAN Toxics অংশ নিচ্ছে ইউরোপীয় এনভায়রনমেন্টাল ব্যুরো এবং Zero Mercury Working Group (ZMWG) নেতৃত্বাধীন পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী পণ্যের বিরুদ্ধে চলমান বৈশ্বিক আন্দোলনে। যেখানে তারা দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে, বিশেষ করে শিশুদের পণ্যে, থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক নিয়ে গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে।
ছবি: সংগৃহী যুগান্তর ডেস্ক
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এস আই রেজাউল করিম নিজেকে ইন্সপেক্টর রবিউল পরিচয়ে টার্গেট ব্যক্তিদের ফোন করেন। তাদের বলেন, ‘আপনার নামে অভিযোগ আছে। আপনি মানি লন্ডারিং করেন।’ টার্গেট ব্যক্তিকে মালিবাগের সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে ডাকেন তিনি। অফিসে না আসলে ওই ব্যক্তিকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসেন। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। তার এসব কাজে সহায়তা করেন আবু সাঈদ নামে সিআইডির আরেক সদস্যসহ অপর ৩ ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। পুলিশের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তার এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এতদিন কেউ না জানলেও এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক হয়েছে। শর্ষের ভেতর ভূত। এ যেন সেই বইয়ের বাগধারাই বাস্তবতা। আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে মানুষকে জিম্মি করে অথবা তাদের কাছে বিভিন্ন আইনগত সুবিধা নিতে গেলে উল্টো তারাই প্রকারন্তরে ক্ষতিগ্রস্থ ও হেরাজমেন হন। আবার বিভাগীয় তদন্তে অনেকেই ছাড় পেয়ে যান, ফলে পরবর্তীতে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তবে এবার ভুক্তভোগী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান অনেকটা সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেছেন। তাতে উল্লেখ করেছেন, তাকে জিম্মি করে তার বাবার অপারেশনের জন্য জমি বিক্রির টাকা ও ব্লাংক চেকে সই নেয় সিআইডির ওই চক্রের সদস্যরা। এটি তিনি কোনভাবেই সহ্য করতে পারেননি। ওই মামলায় অভিযুক্ত সিআইডি এসআই রেজাউল করিম (৩৯), কনস্টেবল আবু সাঈদসহ (৩২) পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারও করেছে ডিবি পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন- বরিশালের উজিরপুরের মো. ইমন (২১), একই উপজেলার আব্দুল্লাহ আল ফাহিম (২১) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শরীফ হোসেন (২৬)। ফাহিম ও ইমনকে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। আর বাকি তিনজনকে রোববার গ্রেফতার করা হয়। সোমবার অনেকটা গোপনেই তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে ডিবি পুলিশ। অথচ অন্যান্য আসামিদের বেলায় ব্রিফিং করে আসামিদের ছবিসহ গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়। ভাটারা থানায় করা মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। টাকা নেওয়া ছাড়াও তার কাছ থেকে ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ওই এলাকার অনেকের কাছ থেকেই এই চক্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফন্দি আটিয়ে টাকা আদায় করেছে। এর আগে রংপুর থেকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় গিয়ে এক বাড়ি থেকে দুজনকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। সিআইডির ওই তিন সদস্যের মধ্যে একজন সহকারী পুলিশ সুপার, একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবল। সিআইডির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। অনেকে কারাগারেও গিয়েছেন কিন্তু পরবর্তীতে তাদের খবর অদৃশ্যই থেকে যায়। ৩১ অক্টোবর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগী মো. মোস্তাফিজুর রহমান উলেখ করেন, গত ৭ অক্টোবর আমাকে হোয়াটস-অ্যাপে ফোন করে এক ব্যক্তি বলেন, আমি সিআইডির ওসি রবিউল বলছি। আপনি আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মালিবাগ সিআইডি অফিসে এসে আমার সঙ্গে দেখা করবেন। তখন মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমি একটু ব্যস্ত আছি। আমি আগামীকাল দুপুরের পর আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারব।’ পরদিন সকালে ৪ জন হেলমেটধারী ব্যত্তি সিআইডির পোশাক ও আইডি কার্ডসহ আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রকাশ্যে চড়থাপ্পড় মারে। পরে আমাকে পূর্বাচলের নির্জন একটি লেকের পাড়ে নিয়ে মারধর করে। আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ইসলামী ব্যাংকের নিকুঞ্জ শাখায় আমাকে নিয়ে যায়। সেখানে আমার এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বুথ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে নেয় তারা। পরে নির্যাতন করে ইসলামী ব্যাংকের দুটি ব্লাংক চেকে সই নেয়। এমনকি তিনশ টাকার একটি ব্লাংক স্ট্যাম্প পেপারেও সই নেয় তারা। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’ এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে জানা গেছে, এসআই রেজাউল সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত। তার বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানি থানার চর বলেশ্বর বালিপাড়া। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলতাব হোসেন হাজী। আর কনস্টেবল আবু সাঈদও সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার শাহমিরপুর। বাবার নাম আব্দুল হামিদ। সোমবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে জানতে চান। তখন তিনি বলেন, ভাটারা থানায় চলতি বছরের আগস্ট মাসে এক ট্রাভেল ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী হিসাবে একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয় দিয়ে ফোন করে ধরে নিয়ে টাকা-পয়সা আদায় শেষে ফেলে যাওয়ার। ডিবি প্রধান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এমন বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) তদন্তের নামে। তদন্তের পর্যায়ে বরিশাল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপহরণ ও টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে। এই সময়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চক্রে একজন পরিদর্শক ও আরেকজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের দুই পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছে। যদিও পরে জানা যায়, যিনি নিজেকে পরিদর্শক রবিউল পরিচয় দিয়েছেন তিনি আসলে একজন এসআই। তারা নিজেদের ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করে থাকে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে দুজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় অপহরণ ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সিসিটিভি ফুটেজ, কল লিস্ট এবং লোকেশন ট্রাকিং করে নিশ্চিত হওয়ার পর সিআইডির দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হবে আর কেউ জাড়িত আছে কি না, অথবা বর্তমান ও সাবেক কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত আছে কি না। এদিকে, ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডিসি আ. আহাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়ে জয়েন কমিশনার নর্থকে প্রধান করে দুই সদস্যে কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান ডিবি প্রধান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৬০৮ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৮৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।