a
ফাইল ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার অভিযোগ, জাপান সাগরে তাদের জলসীমা অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। চীন ও রাশিয়ার যৌথ সেনা মহড়ার সময়ই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাশিয়া দাবি করে, জলসীমা অতিক্রম করে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ভিতরে ঢুকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বার বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ফিরে যেতে। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি এরপরও এলাকা ছাড়েনি। তখন রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ সেটির পিছু নেয়। শেষে মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি নিজের অভিমুখ বদলে রুশদের এলাকা ত্যাগ করে অন্যদিকে চলে যায়।
এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে রাশিয়ার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জাপান সাগরে রুটিন টহল দিচ্ছিল। সেই সময় চাফি নামের ওই যুদ্ধজাহাজটিকে দেখেই রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজটি সেদিকে এগিয়ে আসে।
এমনকি, সেটি মার্কিন জাহাজটির ৬৫ গজের মধ্যে চলে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।
একথা জানিয়ে আমেরিকার তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জারি করা বিবৃতি ভিত্তিহীন। দুই যুদ্ধজাহাজের মধ্যে কোনও টক্কর হয়নি। আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সর্বদা আকাশপথে, জলপথে সর্বত্র বিচরণ করে থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আরও তিক্ত হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক। আবারও তুঙ্গে উঠেছে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে দুটি দেশকে।
রাশিয়ার সাইবার হানার বিরুদ্ধে সর্বদায় সরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে নাক গলানো ও তার দেশে সাইবার হামলাসহ একাধিক শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। অপরদিকে পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা দেখা গেছে রাশিয়াকেও। সূত্র- জাপান টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো বে কারাগার
গুয়ানতানামো বে কারাগারের গোপন ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। কিউবার আমেরিকান ঘাঁটিতে অবস্থিত এই ইউনিট থেকে বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এ সংবাদ প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ
ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, ক্যাম্প-৭ থেকে বন্দিদের কাছের ক্যাম্প-৫-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কতজনকে সরানো হয়েছে এবং কবে সরানো হয়েছে তা জানা যায়নি। এই ক্যাম্পে ১৪ জন বন্দি ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
মিয়ামিভিত্তিক সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, গুয়ানতানামো বে কারাগারে ৪০ জন বন্দি ছিলেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ক্যাম্প-৭ খোলা হয়।
বহু বিতর্কের জন্ম দেয় এই গুয়ানতানামো বে কারাগার। অনেক দিন ধরেই এসব বন্দিশিবিরটি বন্ধ করার দাবি করে আসছিল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। মার্কিন সেনারা এসব বন্দিদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করে আসছিল বিশ্ব বিবেক। এমনকি কোনো কোনো শিবিরে অত্যন্ত চুপিসারে গোপনে বিভিন্ন কাজকর্ম হতো বলেও অভিযোগ ছিল।
মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো কিন্তু তারপরও মার্কিন প্রশাসন এসব বিষয়ে কর্ণপাত না করে এত বছর ধরে গুয়ানতানামোয় বন্দিশিবিরগুলো চালু রেখেছে। এই কারাগারে বিশ্বের সবচেয়ে অমানবিক কাজকর্মগুলো হতো বলে মানবিধার সংগঠনগুলোর অভিযোগ করায় বাইডেন প্রশাসন নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে এই কারাগার বন্ধ করে দেবেন।
সংগৃহীত ছবি
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলো হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমিকাম নুরকিন। সম্প্রতি স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জেনারেল আমিকাম নুরকিন জানান, মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলো। কারণ এ বিমানবন্দরগুলো হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যেই রয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান আরও জানান, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর যে পাল্লা রয়েছে তাতে খুব সহজেই সেগুলো ইসরায়েলের সামরিক বিমানবন্দরগুলোতে পৌঁছাতে সক্ষম। ফলে অনেক ঝুঁকিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরগুলো।
সাক্ষাৎকারে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সুসংহত অবস্থানের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
গত মাসে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বেসামরিক ভবন ও ঘরবাড়িতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ও মিশরের সহযোগিতায় যুদ্ধবিরতিতে আসতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ দুই শতাধিক ফিলিস্তিনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। অপরপক্ষে, ১২ জন ইসরায়েলের মৃত্যু ও আহত হয় অনেকে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ইসরায়েল সরাসরি তা প্রকাশ করেনি।