a প্রবীণদের বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধিসহ আয়-উৎপাদন, ঋণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে- মো: সাইদুর রহমান খান
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রবীণদের বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধিসহ আয়-উৎপাদন, ঋণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে- মো: সাইদুর রহমান খান


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:২২
প্রবীণদের বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধিসহ আয়-উৎপাদন, ঋণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে- মো: সাই

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) আজ ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি র‍্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সাইদুর রহমান । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান এবং নারী সংষ্কার কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. হালিদা হানুম আখতার। এছাড়া বক্তাগণ জাতীয় পর্যায়ে প্রবীণ সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রবীণদের নেতৃত্ব, অংশগ্রহণ ও অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন ।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল হাসিব খান । প্রকল্প সমন্বয়কারী খন্দকার রিয়াজ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনেক অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 

বিশেষ অতিথি হিসাবে সমাজসেবা সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রবীণদের আয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা বাড়ানো ও উন্নয়নে প্রবীণ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ আমরা ইতিমধ্যেই নিয়েছি। প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি। যে সকল প্রবীণ সরকারি বয়স্ক ভাতার বাইরে আছেন তাদের জন্য আয়-উৎপাদন, ঋণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রবীণরা সামাজিক সুরক্ষা খাতের অংশ হিসেবে বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছে। এই খাতে ক্রমবর্ধমান হারে বরাদ্দ বাড়ানোসহ উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সকল অংশীজনদের সাথে রিক একযোগে কাজ করে চলেছে। এই বিষয়ে সচেতনতাসহ অন্যান্য উদ্যোগ বাড়ানোর জন্য রিক বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এজন্য আমাদের অধিদপ্তর দিকে রিককে বিশেষ অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণে যে সকল নীতিমালা হয়েছে, যেমন- জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা- ২০১৩, পিতামাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩, জাতীয় প্রবীণ কমিটি-২০১৭। এ সকল নীতিমালার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে যাতে প্রবীণদের জীবনে বিস্তৃত সুফল বয়ে আনে সেই লক্ষ্যে রিক বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একইসাথে, প্রবীণদের জন্য সমন্বিত সামাজিক-অর্থনৈতিক সুযোগ প্রসারিত করা ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যেন প্রবীণরা বাধাহীনভাবে যুক্ত হতে পারে তার জন্যও রিক কাজ করছে। এজন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের মন্ত্রণালয়ের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে এই বিষয়ে। 

আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল হাসিব খান বলেন- প্রবীণরা সমাজের এক অভিজ্ঞ জনগোষ্ঠী, যারা ইতিমধ্যেই সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, এখন সমাজ ও রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব হলো- দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। রিক মনে করে- প্রবীণ নারী-পুরুষসহ সকল বয়সীদের অংশগ্রহণে কেবলমাত্র একটি সম্মিলিত টেকসই সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব, যার ফলশ্রুতিতে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া প্রবীণ জনগোষ্ঠী আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বচ্ছল থাকবে, সময়মত সুচিকিৎসা পাবে এবং সর্বোপরি তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সফল বাস্তবায়ন ঘটবে।

০১ অক্টোবর, ২০২৫ জাতিসংঘের ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। প্রতি বছর প্রবীণদের বৈশ্বিক প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছরের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হল: ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডে প্রবীণরা মূল চালিকাশক্তি: আমাদের আকাঙ্খা, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের অধিকার'। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবীণ জনগোষ্ঠী আজ এমন এক বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যেখানে উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে, এমনকি তাদের অধিকারকেও যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের এবারের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি সময়োপযোগী। এতে করে বৈশ্বিকভাবে প্রবীণদের ভূমিকাকে স্বীকৃতিদান ও সহযোগিতা করা সম্ভব হবে। প্রবীণদের নিয়ে জাতিসংঘ ২০০২ সালের মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন (এমআইপিএএ) সম্মেলন থেকে গৃহীত আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রবীণদের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা করে আসছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ৮১টি রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে প্রবীণদের মানবাধিকারকে আন্তর্জাতিক আইনের অংশ হিসেবে প্রস্তাব গ্রহণ করে । বিশ্বের প্রায় ১.২ বিলিয়ন প্রবীণের জীবনে এই প্রস্তাবের প্রভাব পড়বে। বর্ধিষ্ণু প্রবীণ জনসংখ্যার অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রবীণদের ভূমিকা স্বীকৃত হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে।

রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বাংলাদেশে বিগত ৩৫ বছর ধরে প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়ভাবে প্রবীণ ইস্যুকে সরকারের নীতিমালায়, সুশীল সমাজের কর্মকান্ডে এবং পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার কাজে রিক সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করে আসছে। একই সাথে জাতীয় কর্মকান্ডের সাথে আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে। রিক নিজেদের প্রবীণ বিষয়ক কাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত সকল দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের শহর এবং গ্রামীণ প্রবীণদের নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করে থাকে। রিকের সম্পৃক্ততার কারণে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এই প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি আজ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নজরে এসেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যৌথ স্বার্থের ক্ষেত্রসমূহ: কর্নেল আকরাম


কর্নেল আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৩৪
বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যৌথ স্বার্থের ক্ষেত্রসমূহ: কর্নেল আকরাম

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক: সাধারণ স্বার্থ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য পথ নির্দেশ প্রদান করে। কোনো জাতি একা টিকে থাকতে পারে না; বরং অন্য দেশগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রয়োজন হয়। আন্ত:রাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি সাধারণ চর্চা। আধুনিক যুগে কোনো রাষ্ট্রই অন্য রাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকতে পারে না। অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এখন একটি বাস্তবতা, যা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রয়োজনের ওপর।  

দুই দেশের সাধারণ স্বার্থ পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং সম্পর্ক উন্নত করতে সরাসরি কাজ করে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয়ই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ, যাদের মধ্যে বিশ্বাস, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিশেষভাবে মিল রয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশই বিদ্যমান সম্পর্ককে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আরও উন্নত করার তাগিদ অনুভব করছে। উভয় দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য একে অপরকে সমর্থন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত মানুষে মানুষে সম্পর্ক, সরকার থেকে সরকারের মধ্যে সম্পর্ক নয়।  

সরকারি সম্পর্ক সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায়, কিন্তু মানুষের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করে। উভয় দেশের জনগণ নিকট ভবিষ্যতে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করছে।  

মানুষের সম্পর্ক গড়ে তুলতে গভীর এবং দূরদর্শী নীতিমালা প্রণয়ন ও আন্তরিকতার প্রয়োজন। এটি এমন এক আদর্শ সম্পর্ক, যা আমরা বহুদিন ধরে আকাঙ্ক্ষা করে আসছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কারণে এটি বাস্তবায়িত হয়নি, যদিও দুই দেশের জনগণ সর্বদা এর পক্ষে ছিল।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পুরো চিত্র বদলে দিয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে তৈরি হওয়া কৃত্রিম বাধাগুলো সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এখন আমরা এমন একটি কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ স্বাধীন, যা সব দিক থেকে আমাদের জন্য উপযুক্ত।  

সাধারণ স্বার্থের ক্ষেত্রগুলো দ্রুত চিহ্নিত করা উচিত, সময় নষ্ট না করে। সম্পর্কের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত স্থায়ী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।  

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়: শিক্ষা ও সংস্কৃতি হতে পারে আদর্শ ক্ষেত্র। উভয় দেশের সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান উৎসাহিত করা উচিত। দুই দেশের গবেষকদের বিভিন্ন সাধারণ স্বার্থের ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনায় পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত। লেখক এবং বুদ্ধিজীবীদের নিয়মিত সফর পরিচালনা করা প্রয়োজন।  

মিডিয়া ও সংবাদপত্র: মিডিয়া এবং সংবাদপত্র পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চমৎকার ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশের সংবাদ মাধ্যমের লোকজনের নিয়মিত সফর বিনিময় এবং এটি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।  

সংস্কৃতি: সংস্কৃতি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে উভয় দেশ একত্রে কাজ করতে পারে। উভয় দেশের মধ্যে ঘন ঘন সাংস্কৃতিক সফর শুরু করা উচিত। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বিনিময় দুই দেশের মধ্যে দ্রুত বন্ধন তৈরি করতে সহায়ক।  

স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্য খাতেও উভয় দেশ একত্রে কাজ করে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারে। উভয় দেশে আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।  

ক্রীড়া ও পর্যটন: ক্রীড়া ও পর্যটনের ক্ষেত্রেও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ঐতিহাসিক স্থানগুলোর শিক্ষামূলক দলভিত্তিক সফর যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত।  

বাণিজ্য ও শিল্প: বাণিজ্য ও শিল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। উভয় দেশের জনগণ ব্যাপক বাণিজ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। জুট ও টেক্সটাইল শিল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।  

প্রশাসন, বিচার ও পুলিশিং: উভয় দেশ নিজেদের প্রশাসনিক, বিচারিক এবং পুলিশিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এসব ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করতে পারে।  

জল সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্র: জল সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র সম্পদ শেয়ারিং উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে। নিরাপদ সমুদ্র নিশ্চিত করতে যৌথ শিপিং লাইন এবং জাহাজ নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।  

সর্বোপরি উভয় দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা উচিত। যে কোনো প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে দুই দেশের জনগণের মানসিক প্রস্তুতি থাকা জরুরি। সর্বোপরি, উভয় দেশের জনগণকে যে কোনো সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।  

আসুন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে একে অপরের প্রয়োজনে  সত্যিকারের ভ্রাতৃপ্রতীম বন্ধুত্ব গড়ে তুলি।


লেখক : সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল ও আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যে কোনো সাফল্যের পেছনে ঐক্য একান্তভাবে অপরিহার্য


কর্নেল আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৫৩
যে কোনো সাফল্যের পেছনে ঐক্য একান্তভাবে অপরিহার্য

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ঐক্য জীবনের প্রতিটি স্তরে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি এবং এটি একটি ক্লাব থেকে শুরু করে একটি জাতিরাষ্ট্র পর্যন্ত সাফল্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। যে কোনো সাফল্যের জন্য ঐক্য অপরিহার্য। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মধ্যে এক নতুন ঐক্যের জন্ম দিয়েছে। আমরা আবারও ১৯৭১ সালের মতো জাতীয় ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি এবং এটি জাতির জন্য মহান বিজয় এনেছে, যার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে।  

ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন সহজ ছিল না, কিন্তু জনগণ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামী শক্তি অত্যন্ত আন্তরিক ও সংকল্পবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।  

বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কখনোই ফ্যাসিস্ট সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছাড়া ছেড়ে দেয়নি এবং গত পনেরো বছরে তাদের অনেক নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ছিল এবং তারা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া হয়নি; বরং পুরো ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা বাড়িতে বন্দী থাকতে বাধ্য হয়েছেন। বিনা কারণে কয়েকজন শীর্ষ নেতা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন।  

হেফাজতে ইসলামের অনেক নেতা-কর্মীকে ফ্যাসিস্ট সরকার হত্যা করেছে। অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের আলেমগণও এই সময়ে অত্যন্ত কষ্ট ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।  

তবে কোনো কিছুই জনগণের মনোবল ধ্বংস করতে পারেনি এবং পুরো জাতি ধৈর্যের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের অপেক্ষায় ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে এটি সম্প্রতি ঘটেছে এবং তিনি আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছেন যাতে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং এটি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে গতি পায়। এরপর রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দেয় এবং ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়।  

আমরা জাতি হিসেবে সম্প্রতি অর্জিত জুলাই-আগস্ট বিজয়কে হারানোর সামর্থ্য রাখি না। বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র সমাজ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার— সকলের উচিত এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা, যা ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত এই বিজয়কে নষ্ট করতে পারে।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়া উচিত ছিল এবং সবকিছু সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা যেত। এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, এবং এখনই সময় নষ্ট না করে এটি করা উচিত।  

তবে এই ঘোষণা অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে হওয়া উচিত এবং জাতীয় সিদ্ধান্তে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।  

সমস্ত রাজনৈতিক বিষয় এবং সংস্কারের ব্যাপারগুলো পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। কারণ, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক শত্রুরা আমাদের ঐক্য ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় রয়েছে। ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য আমাদের নিজেদের ভুলের কারণে যেন ভবিষ্যতে নষ্ট না হয়।  

লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - মতামত