a মালয়েশিয়ায় বহু বাংলাদেশিসহ ৩২৮ শ্রমিক আটক
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মালয়েশিয়ায় বহু বাংলাদেশিসহ ৩২৮ শ্রমিক আটক


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ১১:৩৯
মালয়েশিয়ায় বহু বাংলাদেশিসহ ৩২৮ শ্রমিক আটক

ফাইল ফটো

সাময়িক ভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে মালয়েশিয়া সরকার হঠাৎ অভিযান শুরু করায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরের জালান ইম্বির নামক একটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৩২৮ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে আটক করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ২০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ান ১০৮ জন, মিয়ানমারের ৯ জন, ভারতের ৪ জন এবং অন্যান্য দেশের ৩ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে এবং বেশির ভাগই আশপাশের নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন।

দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল মোহাম্মদ সাইদ জানান, আটকদের বেশির ভাগই আগে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ধরা পড়েন এবং অনেকেই এক কোম্পানির ভিসা দিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করছেন। এই বিষয়টি অবিলম্বে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এ ছাড়াও যদি তদন্তে দেখা যায় যে বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নথিতে নিবন্ধিত কাজের বিপরীতে বিভিন্ন খাতে কাজ করছে, তাহলে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চর্তুমুখী সংকটে ব্রিটেন: দুই তিনটির বেশি শশা, টমেটো কেনা নিষেধ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:০৬
চর্তুমুখী সংকটে ব্রিটেন: দুই তিনটির বেশি শশা, টমেটো কেনা নিষেধ

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি ফল ও সবজির সংকট তীব্র ব্রিটেনে। বর্তমানে দেশটির সর্বত্র নাগরিকদের একসঙ্গে বেশি পরিমাণ সবজি কেনা নিষেধ রয়েছে। এই সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে টমেটো ও শসার ক্ষেত্রে।

ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়ন (এনএফইউ) সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আবহাওয়াজনিত কারণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কমেছে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায়। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিধিনিষেধ ও সরবরাহের নিম্নগতি ফেলেছে এর বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের সুপারমার্কেটগুলোতেও। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পরেছে সর্বত্রেই।

ব্র্যাডশ দেশে উৎপাদিত সবজির দিকে আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন। দেশের ভেতরে এতদিন যারা সবজি ও ফল চাষ করেছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষতির সম্ভাবনায় চাষ করেনি। বিষয়টি সরকারিভাবে নজর দেয়া উচিত ছিল বলে বিভিন্ন সংস্থাকে দায়ি করা হচ্ছে।

আবার অনেকে মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করারও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের বাজারে। কারণ আগে ইউরোপীয় বাজার থেকে বেশির ভাগ সবজি ও ফল সংগ্রহ করা হতো। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সবজি বাজারে বিরাট এক অংশ আসে মরক্কো ও স্পেন থেকে। সম্প্রতি বন্যা ও তুষারপাতে দেশ দুটিতে মারাত্মকভাবে ফসল সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

এদিকে ক্রেতাদের জন্য পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে আলদি, আসদা ও মরসিনের মতো স্টোরগুলো। টেস্কো ও আলদি দুটি করে শশা, তিনটি করে টমেটো, গোলমরিচ ও শসা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

অন্যদিকে লেটুস, সালাদ ব্যাগ, ব্রকোলি, ফুলকপি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আসদা। মরিসন মাত্র দুটি করে টমেটো, শসা, লেটুস ও গোলমরিচ কিনতে অনুমতি দিচ্ছে।

খারাপ আবহাওয়া ও পরিবহনজনিত কারণে প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সবজি ও ফলের বাজারেও। পরিবেশমন্ত্রী থেরেসা কফে দাবি করেন, “আমি জানি ভোক্তারা একটা বর্ষব্যাপী পরিকল্পনা চাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের সুপারমার্কেট ও খাদ্য সরবরাহকারীরা সেটাই করার চেষ্টা করছেন।”

পরিবেশমন্ত্রী জনগণকে পিঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে কমে এসেছে পিঁয়াজ সরবরাহও। এর মধ্যে বেশকিছু সুপারমার্কেট থেকে পিঁয়াজের ঘাটতির খবর ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জামানত ছাড়াই গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২২, ১১:১২
জামানত ছাড়াই গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ফাইল ছবি

জামানত ছাড়া কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে গুচ্ছভিত্তিক (ক্লাস্টার) ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য চলতি বছরেই এসএমই ঋণের ১০ শতাংশ ক্লাস্টার ঋণ হিসেবে দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নীতিমালা সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সিএমএসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে গুচ্ছভিত্তিক অর্থায়ন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ধারণা। সম্ভাবনাময় গুচ্ছগুলো যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। এ জন্য সিএমএসএমই খাতে গুচ্ছ ভিত্তিতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ নিশ্চিত করতে নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় ক্লাস্টারের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ কিলোমিটার সীমানায় অবস্থিত অনুরূপ, সমজাতীয় বা সম্পর্কযুক্ত পণ্য উৎপাদন বা সেবায় নিয়োজিত ৫০ বা ততোধিক উদ্যোগের সমষ্টিকে সামষ্টিকভাবে একটি ক্লাস্টার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে ক্লাস্টারের আওতায় অবস্থিত উদ্যোগগুলোর ব্যাবসায়িক শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি হবে একই ধরনের। এতে আরো বলা হয়, চলতি ২০২২ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ দেবে, তার ১০ শতাংশ গুচ্ছভিত্তিক হতে হবে। পরবর্তী সময়ে এ লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ প্রতি বছর কমপক্ষে ১ শতাংশ হারে বাড়িয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে এই লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করতে পারবে। ক্লাস্টারে যে ঋণ দেওয়া হবে, তার ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ক্লাস্টারে দিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ দিতে হবে অন্য ক্লাস্টারে।

ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন ও মেয়াদি উভয় ধরনের ঋণ দেওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। তবে ঋণ পরিশোধে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস। ঋণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, সামাজিক বা গ্রুপ জামানতকে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় ঋণ দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, সিএমএসএমই খাতে ঋণ বাড়াতে ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুদের হার সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এই তহবিলের ঋণে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিএমএসএমই খাতের প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নেওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনীয় সহায়ক জামানত দিতে সক্ষম হন না। এ জন্য তাদের ঋণের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। এ জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ঋণেও এই সুবিধা দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৯ সালে সিএসএমএই খাতের মাস্টার সাকুলারে ক্লাস্টারের কথা উল্লেখ থাকলেও এর ব্যাখ্যা বা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা ছিল না। ফলে কোন ঋণটি ক্লাস্টারের আওতায় পড়বে বা এর মানদণ্ডই বা কি হবে—তা নিয়ে ব্যাংকারদের মধ্যে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না।

এসব সমস্যা সমাধানে প্রথমবারের মতো ‘ক্লাস্টারভিত্তিক’ অর্থায়নে উত্সাহ দিতে এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জাতীয় শিল্প নীতিতে ক্লাস্টারের কোনো সংজ্ঞা নির্ধারণ করা নেই। সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ভবিষ্যতে ‘জাতীয় শিল্পনীতিতে নির্ধারণ করে দেওয়া সংজ্ঞাই ‘ক্লাস্টার’ এর সংজ্ঞা হিসেবে ধরা হবে। পণ্য ও সেবার ধরন অনুযায়ী ১৩টি খাতকে অগ্রাধিকার ও উচ্চ অগ্রাধিকার এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্লাস্টারসমূহের মধ্যে রয়েছে—কৃষি,খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্প, তৈরি পোশাক শিল্প, নিটওয়্যার, ডিজাইন ও সাজসজ্জা, আইসিটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্প, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত শিল্প।

অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক্স শিল্প, পর্যটন শিল্প, হোম টেক্সটাইলসামগ্রী, নবায়নযোগ্য শক্তি বা সোলার পাওয়ার, অটোমোবাইল প্রস্তুত ও মেরামতকারী শিল্প, তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্প, বিদ্যুত্সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি (এলইডি, সিএফএল বাল্ব উৎপাদন), ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্প/ইলেকট্রনিক ম্যারেটিরিয়াল উন্নয়ন শিল্প, জুয়েলারি শিল্প, খেলনা শিল্প, প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ শিল্প, আগর শিল্প, আসবাবপত্র শিল্প, মোবাইল/কম্পিউটার/টেলিভিশন সার্ভিসিং খাত। এর বাইরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও যে কোনো খাতকে ‘ক্লাস্টার’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তা অন্যান্য খাত হিসেবে দেখাতে পারবে। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - প্রবাস-জীবন