a নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ এস আই ও সার্জেন্ট চাকুরীতে ফিরতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ এস আই ও সার্জেন্ট চাকুরীতে ফিরতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৫
নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ এস আই ও সার্জেন্ট চাকুরীতে ফিরতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা: সুপারিশকৃত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীদের চাকুরীতে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ পুলিশ এস আই ও সার্জেন্টবৃন্দ। আজ সকালে রাজধানীর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে কান্না বিজারিত এবং আবেগ ঘন মুহূর্ত নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এই সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য দিয়ে সকল সদস্যদের পক্ষে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, জনপ্রশাসন, পুলিশ সদর দপ্তর এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশকৃত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীদের চাকুরীতে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের দাবীতে আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমরা ২০০৬ সালে চূড়ান্ত নির্বাচিত ও ২০০৭ সালে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীগণ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

২০০৬ সালে চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫৩৬ জন এস.আই ও ২২১ জন সার্জেন্টকে তৎকালীন আই.জি.পি নূর মোহাম্মদ ও ডি.আই.জি বেনজির আহমেদ মহোদয় কোন প্রকার নোটিশ প্রজ্ঞাপন ব্যতিরেকে শুধুমাত্র একটি সাদা কাগজে নোটের মাধ্যমে শুধুমাত্র দলীয় ট্যাগে ঢালাওভাবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধভাবে বাতিল ঘোষণা করে।

তৎকালীন সময়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েও সুবিচার থেকে বঞ্চিত হই। সুদীর্ঘ ১৮ বছর তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট সরকার হাসিনার আমলেও আমরা কোন প্রকার সুবিচার পাইনি বরং নানাভাবে দমন-পীড়নের স্বীকার হয়েছি।

বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির আকাশে ঘনকালো মেঘ ভেদ করে নতুন ভোরে নতুন সূর্য উদীত হলে আবারও আমরা নতুন করে, নতুন আশার আলো দেখতে পাই। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বহালে উপস্থিত ৩৩০ জনের একটি তালিকাসহ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুপারিশক্রমে একটি আবেদন করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব(পুলিশ) যুগ্মসচিব (জনপ্রশাসন), যুগ্মসচিব (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়) এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডি.আই.জি (অ্যাডমিন) পদমর্যাদার উচ্চপর্যায়ের ৬ সদস্যের কমিটি তৎকালীন আই.জি.পি নুর মোহাম্মদ ও ডি.আই.জি বেনজির আহম্মেদ মহোদয়ের সাদা কাগজের বাতিল আদেশটি বাতিল করে আমাদের নিয়োগ পুনর্বহালের সুপারিশ গত ০৭/০৫/২০২৫ইং তারিখে প্রদান করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুল স্যারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সবদিক যাচাই-বাছাই করে, এই বিষয়ে একটি Legitimate Expectation তৈরী হয়েছে। সেকারণে, ২০০৬ সালের বাতিলকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা নিয়োগের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে বলে গত ২৩/০৪/২০২৫ইং তারিখে মতামত প্রদান করা হয়।

আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপটি ৬ মাস ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। অথচ আমরা ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার দ্বারা বিগত ১৮ বছর বৈষম্যের স্বীকার হয়ে এখনও বৈষম্যমুক্ত মানবিক নতুন বাংলাদেশে আমাদের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের অপেক্ষায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আমাদের দাবী, বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশে মানবিক সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আন্তরিক শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সহিত বলতে চাই-- ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ জন এস.আই সার্জেন্টদের জেষ্ঠতাসহ বয়স ট্রেনিংকালীন সময় প্রমার্জনা করে অনতিবিলম্বে চাকরিতে যোগদানের অনুমতি প্রদান করে দেশ তথা রাষ্ট্রীয় সেবায় অংশগ্রহণের আদেশ প্রদান করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ করছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরুর রিমান্ড নামঞ্জুর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৬:৪২
ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরুর রিমান্ড নামঞ্জুর

ছবি: ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে করা একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে এই আদেশ প্রদান করেন। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একইসঙ্গে তাদের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়।

সোমবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত উক্ত আদেশ প্রদান করেন। এইদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমোদন দেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বেনজীর সাহেব কিছুদিন সময় পেলে গোটা গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন: ব্যারিস্টার সুমন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:২৬
 বেনজীর সাহেব কিছুদিন সময় পেলে গোটা গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন: ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত


পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছেন জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন উনি। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এই আবেদন জমা দেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি পত্রিকা ঢাকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে। ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যা সন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।

আবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট আছে, প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের। উনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসছে পত্রিকায়। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকে এসেছি।

তিনি বলেন, আমি বলেছি এটা ইনকোয়ারি করা দরকার। কারণ যদি সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ থাকে, তাহলে পুলিশ ফোর্সের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন তারা খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। দুদক আমলে না নিলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিষ্কার হাইকোর্ট আছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে হাইকোর্ট যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে তিনি অবৈধ সম্পদ নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আইন