a
ছবি সংগৃহীত
ভণ্ডামি পরিবার ও সমাজ—উভয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এটি অসংখ্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন ব্যক্তিস্বার্থ সমাজের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে, তখন ভণ্ডামি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজের অবক্ষয় ডেকে আনে।
আমাদের সমাজে ভণ্ডামির চর্চা এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভ্যাসের শিকার। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী নীতি ও মূল্যবোধ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। সমাজের সামাজিক বন্ধনগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে এবং সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও পবিত্র কোরআনে ভণ্ডামিকে গুরুতর পাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু আমরা তা মানতে খুব একটা আগ্রহী নই।
সমাজের সর্বস্তরের নেতারাও এই ভণ্ডামির ভাইরাস থেকে মুক্ত নন। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নেতৃত্ব কাঠামো এতে আক্রান্ত হয়েছে, ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বেশিরভাগ নেতাই ভণ্ড, যাদের জনগণের স্বার্থের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ধন-সম্পদ উপার্জন, যা এখন সমাজের নেতৃত্ব কাঠামোর সাধারণ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। ভালো ও সৎ নেতা খুঁজে পাওয়া এখন বিরল ব্যাপার।
যদি একটি সমাজের নেতারা বিপুল সংখ্যায় ভণ্ডামিতে নিমজ্জিত হয়, তবে সেই সমাজের জন্য ভালো কিছু আশা করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের সমাজ এই ধরনের ভণ্ড নেতাদের শিকার হয়ে আসছে। স্বাধীনতার পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব বেশি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বয়ে আনেনি। শুরু থেকেই নেতারা জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও ছিল, যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যিনি জাতির সেবা করেছেন। গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে এ রকম ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত খুবই কম দেখা গেছে।
একটি সমাজ কখনোই উন্নতি করতে পারে না যদি তার নেতারা ভণ্ড ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। আমরা এই অসৎ নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং ভবিষ্যতেও এর ফল ভোগ করতে হবে। জাতির রক্ষক হিসেবে বিবেচিত শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা অত্যন্ত অসৎ, এবং তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে জনগণের অর্থ লুটপাট করেছে।
শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আমলা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যারা ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, তারা সবাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। গত ১৫ বছর ধরে এটিই ছিল সাধারণ চিত্র।
এখন এই ভাগ্যবান দুর্নীতিবাজদের অনেকেই নির্দোষ সাজতে চাচ্ছেন এবং জনগণের সহানুভূতি আদায় করে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা নিতে চাইছেন। যখন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন, তখন তা শুধু হাস্যকরই নয়, বরং আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি একটি প্রচলিত ধারণা হয়ে উঠেছে যে, "সর্বোত্তম বন্ধুর" অনুমোদন ছাড়া গত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কেউ জেনারেল হতে পারেননি।
আমরা ভাগ্যবান যে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু একইসঙ্গে দেশজুড়ে বিভ্রান্তিও বিরাজ করছে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো, রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি জাতির স্বার্থে ভবিষ্যতে ভণ্ডামি ছাড়া রাজনীতি করতে পারব? সময় এখনই, নয়তো কখনোই নয়।
লেখক: অধ্যাপক কর্নেল আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়ায় মাইনুদ্দীন হাওলাদার নামে ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। আজ রোজ শনিবার, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টারস এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী নিজেই।
মাইনুদ্দীন হাওলাদার উপস্থিত সকলকে যথাযথ সম্মানপূর্বক বলেন, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী মো: মাইনুদ্দীন হাওলাদার। পিতার নাম : মুজিবুল হক। মাতার নাম : ছকিনা খাতুন। বর্তমান ঠিকানা:- বাসা- নং- ৩৩৮/১, দক্ষিণ পাইকপাড়া, থানা- মিরপুর, জেলা- ঢাকা- ১২১৬। স্থায়ী ঠিকানা:- বাসা- নং- গ্রাম- ধনিয়া, পো: তুলাতলি বাজার, থানা- ভোলা সদর, জেলা- ভোলা। এনআইডি নং ৯৫৫ ২০৫ ৫৪১১। পেশা : ব্যবসা। ধর্ম- ইসলাম। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। জন্ম তারিখ- ০১/০২/১৯৭২ ইংরেজী।
গত ০৯/০৪/২০১৫ইং তারিখ একটি জাতীয় দৈনিকে আমাকে নিয়ে একটি মিথ্যা নিউজ প্রকাশিত হয়। যাহা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানি মূলক বটে। তথাকথিত পত্রিকায় আমাকে ঢাকা মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও থানা মৎস জীবী লীগের সহ-সভাপতি বানিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী উল্লেখ করা হয় এবং বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বিএনপি'কে মিডিয়া ট্রায়ালের মূখোমুখি দাড় করানোর চেষ্টা করা হয়।
উক্ত নিউজ প্রকাশ করার কারণে আমার এলাকায় (কল্যাণপুর) সামাজিক ও ব্যবসায়ীক হেও প্রতিপন্নসহ মান সম্মান ক্ষুণ্য হয়। আমি উক্ত প্রকাশিত নিউজের তিব্র প্রতিবাদ জনাচ্ছি এবং প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানি মূলক নিউজটি'র প্রতিবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।
সম্মানিত কলম সৈনিকেরা, আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত নই। আমি একজন কল্যাণপুর নতুন বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাজারের পাশের একটি মসজিদ/মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করে আসিতেছি। তবে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসে মসজিদ/মাদ্রাসায় দান খয়রাত ও কম্বল বিতরণ করতো আমি সভাপতি হিসেবে পাশে থাকতে হতো এবং সেখানে তাদের দলীয় লোক ও অন্যান্যরা ছবি তুলতো এ ছাড়া আমার জানা মতে আর কোন কিছুই নেই। ০৪ আগষ্ট ২০২৪ তারিখের ঘটনায় জড়িত থাকার অজুহাত দেখিয়ে আমাকে গত ০৮/০৪/২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় পুলিশ কল্যাণপুর নতুন বাজার এলাকা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত বাজারের ব্যবসায়ীরা ও উৎসুক জনতার বাধার মূখে পরে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে ০৯/০৪/২০২৫ ইং তারিখ পত্রিকা'র নিউজ থেকে আমি জানতে পারিয়ে, ছাত্র ০৪ আগষ্ট ২০২৪ ইং এর ছাত্র হত্যা মিরপুর থানার মামলা নং ১৯ (৮) ২৪ বাদী- লোকমান (৫০), পিতা- সিরাজ মিয়া কর্তৃক একটি মামলায় ২৩ নং আসামী করা হয়।
একই দিন কল্যাণপুর এলাকার জন মানুষ ও ভিকটিমের বোনের ডিভিসি টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার এর ফুটেজ থেকে জানা যায় যে, উক্ত ছাত্র টি ঢাকা বংশাল থানা এলাকায় ০৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং মারা যায়, মামলাটি বংশাল থানায় না করে মিরপুর করা হয়, মামলাটি ০৫ আগষ্ট ২৪ না দেখিয়ে ৪ আগষ্ট ২৪ দেখিয়ে ভূল ঘটনার স্থান দেখানো হয় যাহা মামলার মেরিট নষ্ট করে দেওয়া হয়। মামলার বাদীকে ভিকটিম এর পরিবার চিনেন না, মামলায় লাশ রিসিভ দেখানো হয় ঢাকা মেডিকেল অথচ ভিকটিম এর পরিবার লাশ রিসিভ করেন মিডফোর্ট হাসপাতাল থেকে, আর যারা মামলার আসামী তাদেরকে ভিকটিম এর পরিবার চিনেন না ইত্যাদি।
বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে আমি দেখতে ও শুনতে পেতাম কিছু পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কিছু অসাধু সদস্যরা গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা ও আয়না ঘর বানানোসহ এসব বে-আইনি কাজ করতেন। যার ফলে ঐ ফ্যাসিষ্ট সরকারকে পছন্দ করতাম না। পরবর্তীতে ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পর সারা দেশের মানুষের স্বস্থি ফিরে আসলো, সাথে আমারও ভালো লাগলো যে, এবার জনবান্ধব বা জন মানুষের সরকারের পুলিশ দেখতে পাবো কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি পরলো। এখন নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে যে, কি চাইলাম আর কি পেলাম, বর্তমানে আমার স্থানীয় ভাবে মান সম্মন সবই গেল।
আমি খুবই অসহায় জীবন যাপন করেতিছি। ০৪ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ আমি যে কল্যাণপুর নতুন বাজার উপস্থিত ছিলাম তার সিসি টিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা আছে। তবে আমি যদি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার তথ্য আপনি বা আপনারা খুঁজে পান তাহলে আপনাদের যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিব। যে কোন বিচারের কাঠ ঘড়ায় দাঁড়াতে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।
সম্মানিত কলমযোদ্ধা, আপনাদের লেখনির মধ্য দিয়ে আমার উপর এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিষয়টি কিছুটা হলেও লাঘব হবে। দয়া করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ সংবাদটি সবাই প্রকাশ করে জাতির কাছে এর সত্যতা তুলে ধরবেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় মালিবাগে বিএলডিপি কার্যালয়ে সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের এক মত বিনিময় সভা সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনডিপির চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মহিবউল্যা শান্তিপুরী,জাতীয় মুক্তি দলের চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মির্জা আজম, বাংলাদেশ জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ,বিএনডিপির চেয়াবম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব এডঃ সরোয়ার মিয়া,জাতীয় মুক্তি দলের মহাসচিব আব্দুল আহাদ নুর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় দেশ ও জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে সমমনা রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে শীঘ্রই "জাতীয় ঐক্য সমন্বয় পরিষদ" নামে একটি জোট আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বক্তারা বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের নবগঠিত রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা একবারই হয়।২৪ ' র বিপ্লব আর স্বাধীনতা নিয়ে দেশে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা দেশের জন্য অমঙল বয়ে আনবে।