ঢাকা রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

নিরাপত্তা বাহিনীর রাজনৈতিক বিক্ষোভে বেশি বল প্রয়োগ নয়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪৮
নিরাপত্তা বাহিনীর রাজনৈতিক বিক্ষোভে বেশি বল প্রয়োগ নয়

ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ঠেকানো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ গতকাল সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের শুরুতে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে মেরুকরণের পরিবেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে তাদের কাজের জন্য প্রতিশোধ বা নিষেধাজ্ঞায় ফেলা উচিত হবে না। ’

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, সদ্যোবিদায়ি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত গত মাসে বাংলাদেশ সফরকালে সব ধরনের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অনলাইনে নিয়ন্ত্রণমূলক আইন বদলাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, মিশেল বাশেলেত গত মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব শেষ করেন। নতুন হাইকমিশনার নিয়োগপ্রক্রিয়া এখনো শেষ না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের উপহাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ গতকাল অধিবেশনের শুরুতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মানবাধিকার পরিষদকে অবহিত করেন। সেখানে অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসে।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার গত মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক হাইকমিশনার (মিশেল বাশেলেত) সব ধরনের উদ্বেগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের (বাংলাদেশ) সঙ্গে আলোচনা করেছেন। অনলাইনে মত প্রকাশ ঘিরে নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলো পর্যালোচনা করতে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের সহযোগিতা নেওয়ার প্রস্তাব দেন।’

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, সাবেক হাইকমিশনার আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত গত মাসে বাংলাদেশে চার দিনের সফর করেন। সফর শেষে গত ১৭ আগস্ট ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগগুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ওই অভিযোগগুলোর স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং নিরাপত্তা খাতের সংস্কার হওয়া দরকার।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ ‘ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফরম (ওটিটি)’ সংক্রান্ত বিধি-বিধান আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়াবিষয়ক ১০টি সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে। বর্তমান খসড়া আইনে পরিণত হলে মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কাও দেখছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার অত্যন্ত প্রশংসা করেছে। উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে জাতিসংঘ তার মন্তব্য জানিয়েছে।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা ওই আইনটির সংশোধিত সংস্করণ এবং এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ সূত্র: কালের কন্ঠ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আ.লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিরাজু জেলার দায়িত্বে ফরিদুল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ১১:৪০
আ.লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্তমান সহ-সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই দুই নেতা অতীতে মহেশখালী-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার-২) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৯৯৬ সালে সিরাজুল মোস্তফা এবং ২০০১ সালে ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রার্থী হন। সিরাজুল মোস্তফার বাড়ি দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে এবং ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি আরেক দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ওই দুই নেতা নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছেন। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক হিসেবে। বিগত ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেই কমিটিতে ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে সহ-সভাপতি করা হয়। এদিকে কক্সবাজার জেলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে আমরা জেলাবাসী গর্বিত। আশা করছি, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়ন আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম এ

শিক্ষা উপমন্ত্রী দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে যা বললেন


নিউজ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:৫৯
শিক্ষা উপমন্ত্রী দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে যা বললেন

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

একটি ফেসবুক পেজ থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ‘দ্বৈত নাগরিক’।

পেজটিতে আরও বলা হয়েছে যে, শিক্ষা উপমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করে বিবাহ সূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিক হয়ে গেছেন। বিষয়টি নওফেলের দৃষ্টিগোচর হলে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো জনমনে বিভ্রান্ত দূর করার জন্যে: 

‘একটি ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়েছে বিবাহ সূত্রে আমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব হয়ে গিয়েছে এবং তা সংবিধান লঙ্ঘন! এইসব উদ্ভট প্রচারকদের কারণে কেউ যদি বিভ্রান্তও হয়, তাই সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যতীত কোনো দেশের নাগরিক আমি কখনও ছিলাম না এখনও নেই!’
 
‘যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা করলেই বা ওই দেশের কারো সাথে বিবাহ হলেই সেখানের নাগরিক হওয়া যায় না। বৈবাহিক সূত্রে নাগরিক হতে হলেও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী হতে হয় এবং সর্বশেষ যা আমি শুনেছি প্রায় ছয় বছর সেখানে বিবাহ পরবর্তী নিয়মিত থাকতে হয়। সুতরাং, আমার অজ্ঞাতসারেও, বিবাহ সূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নাই!’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook