a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ অনুষ্ঠিত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
আজ ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই দাবি এবং প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। কিন্তু পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করে ১২ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে “৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবুও ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে পরীক্ষার পূর্বের রাত ২টা ৬মিনিটে প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।
আমরা পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত অভিযোগ ও অনিয়মগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি:
অভিযোগসমূহ:
১. প্রশ্নফাঁস: পরীক্ষার পূর্বে ও চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে এসেছে, যা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার আগে ও পরে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
২. অবিভাগীয় প্রার্থীদের অংশগ্রহণঃ
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এতে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়েছে। এই পরীক্ষা কেবল বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য হলেও আবেদন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে বহিরাগত প্রার্থীরাও
উদাহরণস্বরূপ:
কেন্দ্র সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, রুম নং ৩১১, রোল: ১৩৬২০
কেন্দ্র। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রোল: ০০৪৭৭৪ (মহিলা)
৩. পূর্বে প্রাথমিক বিভাগে কর্মরত কিন্তু বর্তমানে অন্যত্র চাকরিরত প্রার্থীদের অংশগ্রহণ: ২৬/০৬/২০১৩ইং তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় অনেক বিভাগীয় প্রার্থী অন্য চাকরিতে চলে যায়। তাদের পূর্বে আবেদন করার সুযোগ থাকায় তারাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, ফলে বিভাগীয় প্রার্থীদের বাছাই জটিল হয়ে উঠেছে।
৪. প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি ও দুর্বল ব্যবস্থাপনা: পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত সিলেবাস অনুসরণ করা হয়নি। একাধিক প্রশ্নে ভুল, অস্পষ্ট ও অগোছালো ছিল। বিশেষ করে গোলাপি রঙের প্রশ্নপত্র ছিল ঝাপসা, ফন্ট সাইজ অত্যন্ত ছোট। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর বয়স ৪৫ বছরের কাছাকাছি হওয়ায় এই ব্যবস্থাপনা আরও অসুবিধা সৃষ্টি করেছে।
৫. প্রশ্নফাঁস চক্রের আর্থিক প্রলোভন: পরীক্ষার্থীদের ফোনে যোগাযোগ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আড়াই হাজার টাকা অগ্রিম এবং বাকিটা পরীক্ষার পর পরিশোধের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরীক্ষার পরও কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়ার অফার দেওয়া হয়েছে। লিখিত (রিটেন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ২০ হাজার টাকায় দেওয়ার চুক্তির কথোপকথনের স্ক্রিনশট আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
৬. প্রশ্ন কেনা ও উত্তরপত্র পূরণ সংক্রান্ত অভিযোগ: ঈশ্বরদী উপজেলার সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ (৩৭ নং সলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোল: ২০৪৭২) জানিয়েছেন, তার উপজেলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রশ্ন কিনে ৯০-এর বেশি নম্বর নিশ্চিত করেছেন। আরেকজন পরীক্ষার্থী জানান, তার পাশের পরীক্ষার্থী প্রশ্ন পাওয়ার আগেই এডমিট কার্ডে লেখা উত্তর OMR শিটে পূরণ করে মাত্র ৩০ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করেন। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর আগে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ATEO পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর পরীক্ষায় যে অনিয়ম, প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা, ন্যায়বিচার ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অতএব, আমরা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃপরীক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার ফলাফল অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নতুন প্রশ্নপত্রে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষা দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার স্বার্থে মাননীয় পিএসসি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ফাইল ছবি
আগামী ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ ঘণ্টা ও পূর্ণ নম্বরে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি আগামী বছরের (২০২৪) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী বছরের (২০২৪ সাল) এইচএসসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয় ও পত্রে তিন ঘণ্টা সময়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল নির্ধারণ হয়। পরের দুই বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে শেষ হল মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্য দিয়ে শেষ হল দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।
এরপরই রাতভর ফাকা গুলি ছুড়ে উল্লাস শুরু করে তালেবান। গোটা দেশ এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।
পেন্টাগন বলছে, ১৫ আগস্টের পর থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তারা উদ্ধার করেছে ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি নাগরিককে।
গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর সময় প্রাণ দিতে হয়েছে ২৪শ’ মার্কিন সেনাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, এখনই তালেবানের সাথে কাজ করবে না ওয়াশিংটন। প্রথমে তালেবানকে বৈধতা অর্জন করতে হবে বলে তিনি জানান।