বাংলাদেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনে দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের প্রথমার্ধে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে।
এছাড়া সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আম উপহার পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, গত বছরের মতো এবারও পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে তাজা পাকিস্তানি আম পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙা আম উপহার পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।