a
ফাইল ছবি
ইসরাইলের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন বলেছেন, সামরিক হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
তিনি মার্কিন একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এতে তিনি আরও বলেন, ইসরাইল যেভাবে ১৯৮১ সালে ইরাকের এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার পরমাণু স্থাপনা মাত্র একবার হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছিল, ইরানের পরমাণু স্থাপনা সেভাবে ধ্বংস করা যাবেনা। খবর সিএনবিসির।
ইসরাইলের এই সাবেক জেনারেল ও তেলআবিব ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির পার্থক্যসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী ও বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো-ছিটানো কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ।
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো বহু স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর বেশিরভাগ পাহাড়ের নিচে ভূগর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। ইসরাইলের বা পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক চিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
জেনারেল ইয়াদলিন বলেন, ইসরাইল আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১৯৮১ সালে ইরাকের সাদ্দাম সরকারকে এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারকে হতভম্ভ করে দিয়েছিল। কিন্তু ইরানের ক্ষেত্রে অনুরূপ ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ ইরান গত ২০ বছর যাবত এ রকম হামলা মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষম করে তুলেছে।
ইসরাইল বহুবার ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো বোমা মেরে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনাগুলো কীভাবে বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা দিয়ে ধ্বংস করা যায় সে সংক্রান্ত বহু বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিককালে সহিংসতায় ১৯টি পরিবারের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গণহত্যায় ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪১ জন শিশু ও ২৫ জন নারী। এ ছাড়া আটজন শিশু ও ৬ নারীসহ আল-কওলাক পরিবারের ২১ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আবু আউফ পরিবার এক শিশু ও ৫ নারীসহ তাদের নয় জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আল-তানানী পরিবারে এক নারী ও চার শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৬ জন। সবাই নিজ বাড়িতে ইসরায়েলের নির্মম বোমার আঘাতে নিহত হয়েছেন।
ফাইল ছবি
আজ যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা।
বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, কৃষি উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং ‘বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন’ ও খালেদা জিয়ার ‘নিঃশর্ত মুক্তি’সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে এ মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো।
সূত্র মতে, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের উল্টো দিকে ফার্স হোটেলের সামনে, ১২ দলীয় জোট বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন এলাকায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম বেলা ১১টায় মতিঝিল অফিস সামনে নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে থেকে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জোট বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এলডিপি দুপুর ৩টায় কাওরান বাজার এফডিসি সংলগ্ন অফিস সামনেসহ রাজধানীর আরও তিনটি স্থানে মানববন্ধন করবে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন