ঢাকা রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

রুশ তেল নিয়ে ইইউ’র প্রশ্নের মুখে ভারতের কড়া জবাব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১০:০৭
রুশ তেল নিয়ে ইইউ’র প্রশ্নের মুখে ভারতের কড়া জবাব

ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে কম মূ্ল্যে তেল আমদানি করছে ভারত।

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবারই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। সবশেষ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চলতি ব্রাসেলস সফরে বিষয়টি ফের সামনে আসে। এ সময় রুশ অপরিশোধিত তেল থেকে ভারতীয় পরিশোধিত তেলজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান জোসেফ বোরেল। এরপরেই তার কড়া জবাব দিয়ে জয়শঙ্কর তাকে কার্যত ইউরোপীয় কাউন্সিলের নিয়মকানুনের পাঠ পড়িয়ে শুনান।

জোসেফ বোরেলের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিধানগুলো দেখুন। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রুশ অপরিশোধিত তেল তৃতীয় কোনো দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে আর রুশ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।

রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক হলেও আমদানি-রফতানির জন্য বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ ভারত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে রাশিয়া থেকে এই তেল আমদানির জন্যই। কারণ, কম বিদেশি মুদ্রা খরচে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাকে শোধন করে, একটা বড় অংশ বিদেশে রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হয়েছে।

বেলজিয়ামের রাজধানীতে এক বাণিজ্য-প্রযুক্তি আলোচনায় যোগ দেন জয়শঙ্কর। তার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।  ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোসেফ বোরেলও।

বৈঠকের আগেই এক সাক্ষাৎকারে বোরেল বলেছিলেন, ভারত রুশ তেল কেনে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা রুশ তেল থেকে তৈরি ডিজেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ইউরোপে বিক্রি করবে, এটা ঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর জবাব দেন জয়শঙ্কর। সেই সময়ে অবশ্য বোরেল ছিলেন না। তার জায়গায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত কমিটির কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বন্ধু। বন্ধু হিসেবে এই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পরস্পরকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।

এর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও আপত্তি তুলেছিল ইইউ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানোর জন্য নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তখনও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পক্ষে কঠোর যুক্তি দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকালে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে এক মাসে। ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি, সে সময় তথ্য পেশ করে দেখিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্র আটক করল জাহাজ, উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১, ০৭:১৬
যুক্তরাষ্ট্র আটক করল জাহাজ, উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি!

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে উত্তর কোরিয়ার একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার জাহাজ আটকের কথা ঘোষণা করে। 

এদিকে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজটি সিঙ্গাপুরের মালিকানাধীন এবং এটি তেলজাতীয় পণ্য নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছিল। উত্তর কোরিয়ার নামপো বন্দরে এই তেল খালাস করার কথা ছিল।

মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে মার্কিন সরকারের নির্দেশ অনুসারে কম্বোডিয়া কর্তৃপক্ষ জাহাজটি আটক করে এবং এতদিন ধরে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। গতকাল থেকে এ বিষয়ে মার্কিন ফেডারেল আদালতে বিচার শুরু হয়েছে এবং তখনই বিষয়টি জনসমক্ষে এনেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের যুদ্ধ-প্রস্তুতি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করবে। তার আগে কিম জং উন নিজের দেশের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিলেন। তবে এই নির্দেশের সঙ্গে জাহাজ আটকের ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে না।

উত্তর কোরিয়া পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ব্যবহার করে দেশটি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১ লাখ কোটি ডলারের খনিজ সম্পদ বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২০ আগষ্ট, ২০২১, ০৮:৪৭
১ লাখ কোটি ডলারের খনিজ সম্পদ বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে

সংগৃহীত ছবি

পৃথিবীর দরিদ্রতম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান। ৯০ ভাগ আফগানই দৈনিক দুই ডলারের কম আয়ে দৈনন্দিন জীবন চালান। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থল সেই আফগানিস্তানের মাটির নিচেই রয়েছে সারাবিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় এক লাখ কোটি ডলার (৮৪ লাখ কোটি টাকা) মূল্যের খনিজ সম্পদ।

২০১০ সালে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ও ভূতাত্ত্বিকদের প্রকাশিত এক জরিপে এই সম্পদের সন্ধান দেয়া হয়েছিল। জরিপে বলা হয়েছিলো, এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ আফগানিস্তানের অর্থনীতির গতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

দেশটির বিভিন্ন প্রদেশেই লোহা, কপার ও সোনাসহ বিপুল ধাতব খনিজ সম্পদ ছড়িয়ে আছে। পাশাপাশি ধারণা করা হচ্ছে, নবায়ন উপযোগী ব্যাটারির জন্য প্রয়োজনীয় কিন্তু দুর্লভ ধাতু লিথিয়ামের বৃহত্তম মজুদ আফগানিস্তানেই রয়েছে।

মার্কিন ইকোলজিক্যাল ফিউচার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রড স্কুনুভার বলেন, 'আফগানিস্তান নিশ্চিতভাবে ঐতিহ্যগত ধাতব সম্পদে সমৃদ্ধশালী একটি অঞ্চল। সাথে সাথে ২১ শতকে উদীয়মান অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় ধাতুও এখানে রয়েছে।'

গত মে মাসে আন্তর্জাতিক শক্তি কমিশন এক প্রতিবেদনে পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে লিথিয়াম, কপার, নিকেল, কোবাল্ট, মাটির বিরল মৌলসহ সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের লিথিয়াম, কোবাল্ট ও মাটির বিরল মৌলের বৈশ্বিক সরবরাহের ৭৫ ভাগই চীন, কঙ্গো ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আসে।

২০১০ সালে মার্কিন জিওলজ্যিকাল সার্ভের কর্মকর্তা সাইদ মীরজাদ সায়েন্স ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'যদি আফগানিস্তান অল্প কয়েক বছর শান্ত থাকে এবং এর খনিজ সম্পদ উন্নয়নের সুযোগ দেয়া হয়, তবে এক দশকের মধ্যেই এটি এই অঞ্চলের ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হবে।'

বর্তমানে আফগানিস্তানে খনিজ সম্পদ থেকে প্রতি বছর এক শ' কোটি ডলার (আট হাজার চার শ' কোটি টাকা) আয় হয়।

মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো মহসিন খানের মতে, খনিজ সম্পদ থেকে আয় হওয়া অর্থের ৩০-৪০ ভাগই দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৪০ বছরের যুদ্ধ-বিগ্রহে বর্তমানে আফগানিস্তান বিধ্বস্ত। সর্বশেষ দুই দশক মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধ চলেছে দেশটিতে। রোববার তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তানে আপাতত যুদ্ধ শেষ হয়েছে। পুরো আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশের উন্নয়নে এই খনিজ সম্পদ তালেবান ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

খনিজ সম্পদ উত্তোলনে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন কোনো দেশের উপস্থিতি বর্তমানে আফগানিস্তানে না থাকায় চীনের সুযোগ রয়েছে এই অঞ্চলে বিনিয়োগের। ইতোমধ্যেই তালেবানের সাথে চীনা কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ চীনকে আফগানিস্তানের মাটি দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। 

সূত্র: সিএনএন/যায় যায় দিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক