a
ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে কম মূ্ল্যে তেল আমদানি করছে ভারত।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবারই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। সবশেষ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চলতি ব্রাসেলস সফরে বিষয়টি ফের সামনে আসে। এ সময় রুশ অপরিশোধিত তেল থেকে ভারতীয় পরিশোধিত তেলজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান জোসেফ বোরেল। এরপরেই তার কড়া জবাব দিয়ে জয়শঙ্কর তাকে কার্যত ইউরোপীয় কাউন্সিলের নিয়মকানুনের পাঠ পড়িয়ে শুনান।
জোসেফ বোরেলের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিধানগুলো দেখুন। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রুশ অপরিশোধিত তেল তৃতীয় কোনো দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে আর রুশ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক হলেও আমদানি-রফতানির জন্য বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ ভারত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে রাশিয়া থেকে এই তেল আমদানির জন্যই। কারণ, কম বিদেশি মুদ্রা খরচে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাকে শোধন করে, একটা বড় অংশ বিদেশে রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানীতে এক বাণিজ্য-প্রযুক্তি আলোচনায় যোগ দেন জয়শঙ্কর। তার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোসেফ বোরেলও।
বৈঠকের আগেই এক সাক্ষাৎকারে বোরেল বলেছিলেন, ভারত রুশ তেল কেনে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা রুশ তেল থেকে তৈরি ডিজেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ইউরোপে বিক্রি করবে, এটা ঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর জবাব দেন জয়শঙ্কর। সেই সময়ে অবশ্য বোরেল ছিলেন না। তার জায়গায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত কমিটির কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বন্ধু। বন্ধু হিসেবে এই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পরস্পরকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।
এর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও আপত্তি তুলেছিল ইইউ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানোর জন্য নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তখনও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পক্ষে কঠোর যুক্তি দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকালে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে এক মাসে। ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি, সে সময় তথ্য পেশ করে দেখিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
নতুন সরকার গঠনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তালেবান। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হবে বলে তালেবানের বরাতে এই খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
তালেবানের মন্ত্রিসভায় কোনো নারী স্থান পাবেন না বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা শের মুহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই। এর প্রতিবাদে প্রায় ৫০ জন নারী হেরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা শিক্ষা, কাজ করার অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হন। এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে সরকারে নারীদের রাখার বিষয়ে আহ্বান জানান হয়।
মানবাধিকার রক্ষা ও ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী নারীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। এরই মধ্যে সব সরকারি কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। সংগঠনটির তরফ থেকে সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, দেশটিতে খাদ্যের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আর আগামী মাসের মধ্যেই দেশটিতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন পাননি বলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
নতুন তালেবান সরকারের জন্য এমন সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করা বেশ কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
ইসরায়েলের চারটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাজধানী বৈরুতের মাদি এলাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করে।
ইরাকের সাবেরিন নিউজ চ্যানেল জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরের দিক থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের মাদি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টাকালে চারটি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করে হিজবুল্লাহর সেনারা। এগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
ইসরায়েল মাঝে মধ্যেই লেবাননের জল, স্থল ও আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। আন্তর্জাতিক সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লেবাননের আকাশ ব্যবহার করে এর আগে সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
লেবানন সরকার সব সময় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি আগ্রাসন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করে আসছে।
২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত ১৭০১ নম্বর ইশতেহারে বলা হয়েছে, ইসরায়েল লেবাননের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষমূলক তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু ইসরায়েল কখনো কোনো আন্তর্জাতিক আইন ও ইশতেহারকে মেনে মানেনি। খবর-পার্সটুডে