a
ছবি সংগৃহীত: তুরিন আফরোজ
নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার ল্যাপটপ ও মোবাইল তল্লাশি করে সরকারবিরোধী পরিকল্পনার অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, উত্তরায় আব্দুল জব্বার (২১) নামের একজন ছাত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তুরিন আফরোজের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো চেক করে দেখা গেছে তার ফেসবুকে অনেক সরকারবিরোধী প্রচারণা রয়েছে।
সরকারবিরোধী প্রচারণার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বামী-স্ত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি আশরাফুল মোল্লা (৩৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইলের সদর উপজেলার শৈলপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গোপালগঞ্জ জেলার একটি টিম। গ্রেফতার আশরাফুল নড়াইল সদর উপজেলার মধ্যপল্লী এলাকার আকবর মোল্লার ছেলে।
পিবিআই গোপালগঞ্জ জেলার এসআই শেখ আল আমিন জানান, সম্প্রতি কৃষি কাজ করতে অপরিচিত কয়েকজন যুবক কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামে আসেন। ওই এলাকার কৃষকের মেয়ের দিকে খারাপ নজর পরে আশরাফুলের। এতে বাধা দেন কৃষক দম্পতি। তাই তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে আশরাফুল।
গত ৪ এপ্রিল প্রথম ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরে তার স্ত্রীকেও মোবাইলে ডেকে নিয়ে একইভাবে হত্যা করে আশরাফুল।
হত্যা ঘটনার পর কৃষক দম্পতিকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের নিখোঁজ দাবি করে কালকিনি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। নিখোঁজের চারদিন পর গত ৯ এপ্রিল রাজারচরের শুকিয়ে যাওয়া একটি খালের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। তথ্য-প্রযুক্তির সহয়তায় ঘটনার ১৩ দিন পর নড়াইল থেকে আশরাফুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় নিহত স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অপরাধ করেছে খুনি আশরাফুল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। কৃষক দম্পতিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় শুধুমাত্র তাদের মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য।
কৃষক দম্পতিকে হত্যার পর কৌশলে মেয়ের সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করে আশরাফুল এবং ভোরে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশরাফুল একাই জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্নে সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ ও সেখানে অনুষ্ঠেয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। তারপরও যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ তারিখের পরিবর্তে এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করেছেন। যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া সহজ কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি নির্বিঘ্নে সারা দেশে সমাবেশ করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দুপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ছিল। সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করত। সেই ছবিগুলো আপনারাই (সাংবাদিক) সংগ্রহ করেছেন এবং এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। তাদের আমলে আমাদের প্রয়াত নেতা মো. নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা ও জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল। আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি। এভাবে তাদের (বিএনপির) কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি। সরকার তাদের সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারা দেশে সমাবেশ করতে পারছে।
বিএনপির সমাবেশে জঙ্গি প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এ দেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি, তাদের কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সম্প্রতি জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছি এটির সঙ্গেও বিএনপির অপতৎপরতা একই সূত্রে গাথা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বিএনপির আমলে। বাংলা ভাইকে মাঠে নামিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাইকে পুলিশ প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন কিলিং কমান্ডার বাংলা ভাইয়ের নেপথ্যে গডফাদার ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আরও অনেকেই। এভাবেই জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল বিএনপি। তাদের সময়েই ৫শ জায়গায় বোমা ফাটিয়ে জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে, যার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর