a
সংগৃহীত ছবি
আর্জেন্টিনা আলেহান্দ্রো গোমেসের শুরুর গোলে প্যারাগুয়েকে হারালো। এই জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে গ্রুপ 'এ'র ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। সব মিলিয়ে ৪ ম্যাচ পর প্যারাগুয়েকে হারানোর স্বাদ পেল আর্জেন্টাইনরা।
উরুগুয়ের বিপক্ষে যে একাদশ সাজিয়েছিলেন, আজ তাতে ৬টি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। রক্ষণে তাগলিয়াফিকো এবং পেজ্জেলাকে নামানো হয় ওতামেন্দি ও আকুনার জায়গায়। মিডফিল্ডে দে পল এবং লো সেলসোকে সরিয়ে আনা হয় গোমেস ও পারেদেসকে। আক্রমণে লাউতারো মার্তিনেস ও নিকোলাস গঞ্জালেসের জায়গায় নামেন দি মারিয়া ও সার্জিও আগুয়েরো।
খেলার শুরুর কয়েক মিনিট ছিল আর্জেন্টিনার দখলে। বেশকিছু আক্রমণ শানিয়েছিল দলটি। এর মধ্যে অষ্টম মিনিটে দারুণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সার্জিও আগুয়েরো। প্যারাগুয়ের দুই ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেস ও পিরিস দুজনেই একসঙ্গে লাফিয়ে হেড করতে চেয়ে মিস করে বসেন। তাদের ভুলে পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে যান আগুয়েরো। কিন্তু এত কাছ থেকে শট নিয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার।
তবে আগুয়েরোর গোল মিসের দুই মিনিট পরেই আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি এনে দেন গোমেস। আনহেল দি মারিয়ার থ্রো-বল পেনাল্টি বক্সে পেয়ে এগিয়ে আসা প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই সেভিয়া ফরোয়ার্ড।
অষ্টাদশ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে প্যারাগুয়ে। আর্জেন্টিনার রক্ষণে বেশ কয়েকবার হানা দিলেও অবশ্য গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে কঠিন কোনো কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দি মারিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি, উল্টো গোমেসের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন জুনিয়র আলোনসো। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা রক্ষণে জোর দিতে শুরু করে। ফলে প্যারাগুয়ে প্রচুর জায়গা পেয়ে যায়। এমনকি একবার তো টানা চারটি কর্নার পেয়ে যায় তারা। কিন্তু কোনোটাই অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি তারা। অপরদিকে আর্জেন্টিনাও নিজেদের জাল অক্ষত রাখায় মনোযোগ দিলে শেষ দিকে খেলায় তেমন কোনো উত্তেজনা থাকেনি।
এই ম্যাচে খেলতে নেমে দেশের হয়ে হাভিয়ের মাসচেরানোর সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করলেন মেসি। ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখার একটা সুযোগ শেষদিকে এসেছিল তার সামনে। কিন্তু বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক।
৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠলো আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা প্যারাগুয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চিলি আছে দুই নম্বরে। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উরুগুয়ে। এখনও জয়ের দেখা না পাওয়া বলিভিয়া আছে পাঁচে।
ফাইল ছবি
লা লিগার নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সোলোনা ছাড়তে বাধ্যই হলেন জীবন্ত কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। বার্সোলোনার সাথে ছিন্ন হলো ২১ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক। মেসির বিদায় উপলক্ষে আজ ক্যাম্প নূতে প্রেস কনফারেন্সে করেন লিওনেল মেসি সেখানে বার্সাকে বিদায় বলার সাথে সাথেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লিও বলেন "এই ক্লাব একজন ব্যক্তির থেকে বড়, ধীরে ধীরে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাবে তবে প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে সবার"
তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে সেটা জিজ্ঞাসা করতেই মেসি বলেন পিএসজির সম্ভাবনা বেশি, কথা বার্তা চলছে তবে এখনো কনফার্ম নয়, আমি অনেকগুলা অফার পেয়েছি পরশু থেকে।
অপর আরেক প্রশ্নে লিও বলেন “আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম আমি বেতন কমিয়েও এখানে থাকতে রাজি ছিলাম কিন্তু শেষ মূহুর্তে লা লিগা তা হতে দিলো না”
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রানুসারে মেসি পিএসজিতেই যাচ্ছেন।
একাধিক সুত্রে জানা যায় সেখানে মেসিকে নেইমারের থেকেও বেশি বেতন দেয়া হবে যা কমপক্ষে ৪০ মিলিয়ন এর আশপাশ। নেইমার তার ১০ নম্বর জার্সি মেসিকে অফার করলেও মেসি তার ক্যারিয়ারের শুরুতে ১৯ নম্বর জার্সি পড়ে খেলা সেই ১৯ নম্বর জার্সিতেই মাঠ মাতাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অস্থিরতার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। একদিকে শূন্যতার সুযোগ নেয়া, অন্যদিকে জিও পলিটিক্সে যে পরিবর্তন ঘটছে মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের অঞ্চলে, ওইদিকে ভারতবর্ষের মনিপুরে যে বিদ্রোহ, এসবগুলোকে যদি আপনি আনেন, জিওপলিটিক্সের এই ঘটনাগুলো ভেরি সিগনিফিকেন্ট বলে আমি মনে করি। যেহেতু এখন কমেন্ট করাটা ঠিক হবে না।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াকে শুরু করার চেষ্টা করা। অন্যদিকে শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, সেগুলো কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। তবে সেই কথাগুলো এখানে বড় ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে। বলা যায় যে, উদ্বিগ্ন হবার কারণ আছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর ঘেরাও, বিভিন্ন সংগঠনের নানা দাবি-দাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মব লিঞ্চিং’, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার বিভিন্ন ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, যেমন শুক্রবার মেইন ঘটনাটা ঘটছে। আমাদের দলে যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন দীপেন দেওয়ান, উনি আগে এমপি প্রার্থী ছিলেন, তিনি আমাকে ফোন করে বললেন যে, স্যার ইমিডিয়েটলি কারফিউ দিতে বলেন, কারফিউ ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন আমি জানার পরে যাদেরকে চিনি, তাদেরকে জানানোর পরে কারফিউ হয়নি, ১৪৪ ধারা দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক এফেক্টিভ কন্ট্রোল তারা করতে পারেনি, এর মধ্যে এটা (ঘটনা) বিস্তারলাভ করেছে। এই যে দেরি হচ্ছে, এই দেরিটা কিন্তু ক্ষতির ব্যাপার হচ্ছে। এটাতে আমি তাদেরকে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দোষারোপ করছি না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে সঠিকভাবে পরামর্শ দেয়া, এটা করা উচিত। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এক্ষেত্রে অনেকটা গ্যাপ আছে। সমস্যাটা ওই জায়গায়।
তিনি বলেন, এই সরকার খুবই সিরিয়াস, তারা করতে চান, তারা সব কিছু করতে পারেন। আমার কথা হচ্ছে, আমরা সহযোগিতা করি। ইতিমধ্যে তারা অনেক বড় বড় কাজে হাত দিয়েছেন- সেগুলো আমরা দেখি। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপির পরামর্শ কি জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে তো আমাদের চুক্তি আছে, এতো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা তা নয়, সামাজিক সমস্যা আছে। দীর্ঘকাল ধরে এসব সমস্যা সমাধান করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এতো কথা বলেছে, চুক্তি করেছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি। এসব কাজ একদিনে হবে না, ওদের সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে, বিষয়গুলোকে আলাপ-আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সূত্র: মানবজমিন