a
ফাইল ছবি
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করার পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
গতকাল রবিবার এ নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে নীতি-নির্ধারকরা অনির্ধারিত এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
অর্থনীতিবিদদের ধারণা, পতনের ঝুঁকি ত্বরান্বিত হতে পারে সুদের হার বাড়ালেই। কারণ, তার ফলে সরকারি বন্ড এবং মর্টগেজ-বন্দকীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সম্পদের মূল্য কমে যাবে। এতে আমানতকারিদের পক্ষে স্বাভাবিক লেন-দেন চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এসব কারণেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক সংকটে পড়ে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকের সম্পদের দাম একেবারে তলানিতে যাওয়ার ফলেই বীমাহীন আমানতকারিরা গচ্ছিত অর্থ দ্রুত সরিয়ে ফেলেন এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ১৮৬টি ব্যাংকও অনুরূপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা ঠেকাতে সঠিক নীতিমালার কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ এসব ব্যাংকের পতন ঠেকাতে বেল আউটের মতো প্রক্রিয়া অবলম্বন তথা ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলেছেন, ‘কোনো ব্যাংকের আমানতকারিরা যদি খুব দ্রুত তাদের জমানো অর্ধেক অর্থ উইথড্র করেন, তাহলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে পড়ে।’
রবিবার প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং জায়েন্ট ইউবিএস বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টালমাটাল অবস্থার অবসানের অভিপ্রায়ে নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি চুক্তির আওতায় প্রায় ৩.২৫ বিলিয়ন ডলারে কঠিন সংকটে পতিত ‘ক্রেডিট সুইস ব্যাংক’ কিনে নিচ্ছে। এটি ছিল ইউবিএসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভ এবং আরো ৫টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার থেকে শুরু হওয়া তাদের ডলারের ‘অদলবদল’ ব্যবস্থায় তারল্য বাড়ানোর জন্যে সমন্বিত পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
ফেডারেল ব্যাংক অব কানাডা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব জাপান, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারপারসন জেরমি পাওয়েল বুধবার সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। গত বছরের ৮ বার সুদের হার বৃদ্ধির মতো আরেক দফা পদক্ষেপ নেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত দেবেন।
জেরমি পাওয়েল ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রত্যাশিত ত্রৈমাসিক শতাংশের চেয়ে বেশি হার বাড়াতে পারেন। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস পাচ্ছে না। অপরদিকে শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়ে গেছে। তিনি সে ধারণা পোষণ করেছিলেন সিলিকন ভ্যালি এবং সিগন্যাচার ব্যাংক পতনের আগে।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ১১টি ব্যাংক থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের জরুরি ঋণ নিয়েছে, আর এটি করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যস্থতায়।
ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক কর্তপক্ষ দাবি করেছে যে, ঘনঘন সুদের হার বৃদ্ধি করায় ব্যাংকের সম্পদের মূল্য কমেছে। এতে করে আমানতকারিরা ভয় পেয়ে যায় এবং একাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ায় ব্যাংক পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে, বাইডেনের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বারবার দাবি করছেন যে, ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা দাবি করেন বাস্তবতা ভিন্ন। এর ফলে ছোট ও মাঝারি ধরনের সকল ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা আমানত উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ও দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ার পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকার কারণে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আটকে পড়ে শত শত বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
সে প্রেক্ষিতেই আজ ১৬০ বাংলাদেশি দেশি ফিরলো। বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ বুধবার (৫ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) ১৬০ বাংলাদেশিকে নিয়ে লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে আইওএম এর চার্টার্ড করা বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি আজ বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। আজকে ফেরত আসা যাত্রীদের ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃতদেহও দেশে আনা হয়েছে।
দেশে আসার সাথে সাথেই সরকার নির্ধারিত নিয়মঅনুযায়ী বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা সবাই নিজ ইচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছেন।
তারা অনেকেই সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল, পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিল কিন্তু করোনার কারনে তা সম্ভন হয়ে উঠছিল না। তাছাড়া লিবিয়ার বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা চিন্তা করে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশ সরকার অবহিত হলে সরকারের পক্ষ থেকে আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া সকল বাংলাদেশিদের একে একে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আটকে পড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এটি নবম ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত মোট ১৩৭৯ জন অভিবাসীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সংগৃহীত ছবি
ঠিক যেন সিনেমার মতো সন্তানকে অপহরণকারীদের কবল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এক মা। নিউ ইয়র্কের কুইন্সে হিলসাইড স্ট্রিটে এই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাস্তার পাশের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যস্ত রাস্তার পাশের ফুটপাতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি তার মাসহ কয়েকজনের সাথে ফুটপাতে হাঁটছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি লাফ দিয়ে শিশুটির সামনে এসে তাকে কোলে তুলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাখা গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে দেন। কিন্তু শিশুটির মা অপহরণকারীদের পিছু ধাওয়া করে পথচারীদের সহায়তায় গাড়ির পেছনের আসন থেকে শিশুটিকে বের করার চেষ্টা করেন। অপহরণকারীরা গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগেই শিশুটিকে বের করতে আনতে সক্ষম হন তারা।
শিশুটির মা ডলোরেস ডিয়াজ (৪৫) জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তিন সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
সেখানকার এক দোকানের মালিক জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের একজন ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই তার দোকান থেকে বিয়ার কিনেছিলেন।
তবে ওই ঘটনায় শিশুটি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ভিডিও লিংক: wo9OkcAYXJI