a
ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ স্থাপনে পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজের জন্য রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় আজ মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবেনা।
সোমবার (৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানায়, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ স্থাপনে পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য আজ সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টিটিপাড়া, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মুগদা, গোলাপবাগ, বেলতলা, মানিকনগর, অতীশ দীপঙ্কর রোড, আর কে মিশন রোড, গোপীবাগ, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও ধলপুর এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস আরো জানায়, উল্লিখিত এলাকাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাসের চাপ তুলনামূলক কম থাকবে।
ফাইল ছবি
জাতিসংঘ মিশনে (ইউএন) বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনার জন্য লিখিত এ প্রস্তাব দেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার।
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা জাতিসংঘ মিশনে কাজ করছেন। এ বিষয়ে আন্তবাহিনী সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনা শেষে এ প্রস্তাবের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম গণমাধ্যমকে বলেন, জাতিসংঘ মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে যে দেশে ইউএন মিশন যাবে এবং সেখানে ইউএনের তরফ থেকে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে। যেসব দেশের লোকজন ইউএন মিশনে বেশি কাজ করেন, সেসব দেশের লোকজন এ সুযোগ-সুবিধাগুলো পান বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
মির্জা আব্বাস । ফাইল ছবি
এম ইলিয়াস আলী ইস্যুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দেওয়া সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি দলটির হাইকমান্ড। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার অভিমত, মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন তার জন্য তিনি হাইকমান্ডের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা পেয়েছেন। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে, দলের কাছে সবাই গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেউই অপরিহার্য নয় এবং কেউ কাউকে ‘জমা-খরচ’ না দিয়ে চললেও দলের কাছে সবার জবাবদিহি করতে হবে।
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার নয় বছর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ‘ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পেছনে দলের (বিএনপি) একটা অংশ জড়িত। সরকার ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করেনি।’
তার এমন বক্তব্যে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। এরপর দলের পক্ষ থেকে চাপে পড়ে পরদিন (১৮ এপ্রিল) নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা আব্বাস। সেখানে তিনি দাবি করেন, মিডিয়ায় তার বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচার করা হয়েছে। যদিও হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে মির্জা আব্বাসকে একটি লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুধু ওই চিঠি পাঠ করবেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি তার ‘মনমতো’ বক্তব্য দেন বিধায় আরও নাখোশ হয় দলটির হাইকমান্ড।
এরপর গত ২২ এপ্রিল মির্জা আব্বাসকে ওই বক্তব্যের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে দলের পক্ষ থেকে আরেকটি চিঠি দেয়া হয়। ২৬ এপ্রিল আব্বাস চিঠির জবাব দেন।
দলীয় সূত্র মতে, চিঠির জবাবে মির্জা আব্বাস লিখেছেন, ‘আমার অনিচ্ছাকৃত বক্তব্যে যদি দলের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি, আমার এই পত্রের মাধ্যমে দলে ও দলের বাইরে চলমান সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’
তিনি লেখেন, ‘১৭ এপ্রিল যখন আমি ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখি ঠিক তার পরমুহূর্তে স্থায়ী কমিটির মিটিং ছিল। আমার বক্তব্য রাখার সময় বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার তাড়া আসে। তাই কথাগুলো যেভাবে বলতে চেয়েছি, সেভাবে বলতে পারিনি। বক্তব্য রাখার সময় এমন কিছু শব্দ চলে এসেছে সেগুলো ইচ্ছাকৃত নয়। আমি কোনো বক্তব্য দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বলিনি। এরপরও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত। সেদিন সময় পেলে এমনটা হতো না।’
১৮ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে জানিয়ে চিঠির শুরুতে মির্জা আব্বাস লেখেন, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছরের মধ্যে যা কখনো ঘটেনি, এমন একটি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেদনাদায়ক ঘটনার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়েছে এই চিঠির মাধ্যমে।
ব্যক্তিগত জীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে এসে আজ অবধি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দল ও জিয়া পরিবারের প্রতি আমার নিষ্ঠা ও কর্তব্য পালনে এবং রাজনৈতিক জীবনে কখনোই সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর কিছু করিনি।’
তিনি বলেন, ‘ওই দিনের বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি—ইলিয়াস আলী ও (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সালাহউদ্দিন আহমেদ গুম একই সূত্রে গাঁথা। সরকার বলছে তারা করেনি। আমি মূলত সরকারের বক্তব্য কটাক্ষ করতে চেয়েছি। আমার কটাক্ষ করা বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
মির্জা আব্বাসের ব্যাখ্যায় দল সন্তুষ্ট কি-না এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দলের ভেরি মাচ ইন্টার্নাল (খুবই অভ্যন্তরীণ বিষয়)।’ সূত্র: জাগো নিউজ