a
ফাইল ছবি
আসন্ন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দলে থাকছেন না টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেই বাদ পড়া মেন্ডিসের সাদা পোশাকে ফিরতে প্রমাণ করতে হবে অন্য ফরম্যাটে। ৪৭ টেস্টে ৩ হাজারের বেশি রান করা কুশল মেন্ডিসের আছে ৭ সেঞ্চুরির বিপরীতে ১১ ফিফটি।
তবে সর্বশেষ তিন টেস্টের ৬ ইনিংসে পারফরম্যান্স ছিল সাদামাটা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা এই ৬ ইনিংসে তার রান ছিল মোট ২৭, যার চারটিতে টানা ডাক মেরেছেন। যদিও এর আগের তিন ইনিংসে আছে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি ছিল।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে মেন্ডিসকে ছাড়াই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দল দিচ্ছে শ্রীলঙ্কান নির্বাচকরা। তাদের মতে, আবারও সাদা পোশাকে বিবেচিত হতে হলে ২৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে প্রমাণ দিতে হবে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে।
লঙ্কান গণমাধ্যমে প্রধান নির্বাচক প্রমোদ্য বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘সে আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, তবে ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে তার নাজেহাল পারফরম্যান্সের কারণে আমরা তাকে সরাসরি টেস্ট দলে সুযোগ দিতে পারছি না।
এদিকে মেন্ডিসের জন্য টেস্ট দলে জায়গাটা কিছুটা হলেও কঠিন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভিষেকে রঙিন পারফরম্যান্স করা তরুন ব্যাটসম্যান পাথুম নিসাঙ্কা। অভিষেক সিরিজেই হাঁকিয়েছে এক সেঞ্চুরির সাথে এক ফিফটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও রয়েছে তার অসাধারণ পরিসংখ্যান।
নিসাঙ্কার কারণে মেন্ডিসের দলে জায়গা পাওয়াটা কঠিন বলছেন নির্বাচকই, ‘তারপরেও (সাদা বলে প্রমাণের পর) টেস্ট দলে তার জায়গা পাওয়াটা সহজ হবে না। পাথুম একটি দুর্দান্ত সিরিজ কাটিয়েছে, এমনকি ওসাধা ফার্নান্দোও খুব ভালো খেলেছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজটি শুরু হচ্ছে ২১ এপ্রিল থেকে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট দিয়ে। ২৯ এপ্রিল একই ভেন্যুতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার টেস্ট স্কোয়াডঃ
দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক), লাহিরু থিরিমান্নে, ওশাদা ফার্নান্দো, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দীনেশ চান্দিমাল, পাথুম নিসাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা,রোশেন সিলভা, দাসুন শানাকা, নিরোশান ডিকওয়েলা, সুরাঙ্গা লাকমাল, লাহিরু কুমারা, বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, দিলশান মাদুশঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, রমেশ মেন্ডিস ও প্রাভিন জয়াবিক্রমা।
ফাইল ছবি
করোনার থাবায় শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে হলো আইপিএল ২০২১। বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজির স্টাফ খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়াতে শেষে আর কোন উপায় খুজে না পেয়ে সাময়িকভাবে আইপিএল বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবারের পর মঙ্গলবারও চেন্নাই বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র-র করোনা রিপোর্ট মঙ্গলবারই পজিটিভ আসে। তারপরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। একের পর এক ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়তেই দিল্লির ম্যাচ বাতিল করার দাবি উঠেছিল।
স্টার স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি, ব্রডকাস্ট এবং ওপারেশন টিম মুম্বইয়ে স্থানান্তর করার জোর দাবি ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী ফের খেলা আরম্ভের কথা ছিল ১০ মে'র পর।
বিসিসিআই বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা আইপিএলে বন্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, আপাতত আইপিএল বন্ধ করা হলো। সমস্ত দল, ব্রডকাস্টার এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হলো। পরের অবস্থা এবং সুযোগ বুঝে নতুন সূচি প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ থেকে করোনার কারনেই গ্যালারি ফাঁকা রেখে আইপিএলের ১৪তম শুরু করে বিসিসিআই। এর আগে আইপিএলের মাঝপথে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিছু অজি তারকা আইপিএল ছেড়ে দেশে পাড়ি জমান। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতার হয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান ও রাজাস্থান রয়েলসের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
ফাইল ছবি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১ হাজার ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
গতকাল বুধবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে টানা ২০ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর এই সময়ে ৮৭৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
এ নিয়ে দেশে এই পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৩৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় একই বছরের ১৮ মার্চ। সূত্র: ইত্তেফাক