a
ছবি সংগৃহীত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নিহত ১
আজ ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ ০৫৫০ ঘটিকায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসময় ইউপিডিএফ (মূল) এর গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলে ইউপিডিএফ (মূল) এর একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং বেশ কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে, উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ০১ টি এ্যাসল্ট রাইফেল (এম-১৬), ০২ রাউন্ড এমজি/স্নাইপার এ্যমোনিশন, ৯০ রাউন্ড রাইফেল এ্যমোনিশন, ০১ টি ওয়াকি-টকি সেট ও ১২ টি মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনা অভিযান চলমান রয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ আর্মি
ফাইল ছবি: ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন অনুমতি ছাড়া মিডিয়াতে স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
এডিসি সানজিদা আফরিনের গণমাধ্যমের বক্তব্যের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সানজিদার সঙ্গে আমি কথা বলিনি। সানজিদা এ ধরণের কোনো স্টেটমেন্ট দিয়ে ঠিক করেননি। কারণ কমিশনারের অনুমতি ছাড়া তিনি এভাবে স্টেটমেন্ট দিতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এডিসি হারুন এবং ইন্সপেক্টর মোস্তফা দুজনই বাড়াবাড়ি করেছেন। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমাদের অফিসারদের কার কতটুকু দোষ সেই অনুসারে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে পুলিশ সদর দপ্তর বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ প্রেরণ করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারবো না।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বক্তব্যের বিষয়ে কমিশনার বলেন, হারুন এই কথা কোথায় পেয়েছেন এটা হারুন বলতে পারবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের স্টাইলক্রাফট নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকেরা আজ বুধবার সকালে ঢাকা–জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। সড়ক অবরোধের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বেলা ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকা–জয়দেবপুর সড়কে গাজীপুর মহানগরীর তিনসড়ক এলাকায় স্টাইলক্রাফট নামের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিকপক্ষের কাছে তাঁদের জুন ও জুলাই মাসের বেতন এবং কোরবানি ঈদের বোনাস পাওনা আছে।
এসব পাওনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে আগে থেকেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাঁদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাওনা আদায় না করে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকেরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে কারখানার সামনের রাস্তার উপরে আন্দোলন শুরু করেন।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, বেতন–ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন এবং ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কাজে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নামে। পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা জোগাড় করতে না পেরে তারা কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো