a বিএনপির যে কোন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন বাড়ে: বিএনপি
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিএনপির যে কোন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন বাড়ে: বিএনপি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৭:১৬
বিএনপির যে কোন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন বাড়ে: বিএনপি

ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ১০৭ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে দলটি।

আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, দুর্বল এবং ভীত যে তৃণমূলে বিএনপি কর্মসূচি দেওয়া মাত্রই তাদের হৃদকম্পন বেড়ে যায়। চলমান গণআন্দোলনে তারা নার্ভাসনেস-এ ভূগছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ১০ দফা এবং জনগণের জীবিকার বিভিন্ন সমস্যা ও সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা গণআন্দোলন নসাৎ করতে সরকার দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রাণি করে আন্দোলন কর্মসূচি বানচালের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় রাজধানীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তরের পদযাত্রা কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে গতকাল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ড. শেখ আকরাম আলী


কর্নেল(অব.) আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৩
আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ডক্টর শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনীতি একটি জাতির ভবিষ্যৎ ইতিহাস নির্ধারণ করে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করে। যে জাতি অতীতের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে শিক্ষা নেয়, সেই জাতিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন সমাজ গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়া কোনো জাতি সামনে এগোতে পারে না। সফলতা ও ব্যর্থতা—উভয়ই জাতীয় ইতিহাসের অংশ এবং সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।  

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা এমন একটি জাতি যারা ইতিহাস অধ্যয়ন পছন্দ করি না; বরং সেটিকে উপেক্ষা করে বারবার ভুল পথে হাঁটি। প্রতিবার ভুল করার সামর্থ্য কোনো জাতির থাকে না, কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে তা-ই করে আসছি, কারণ আমরা ইতিহাসের জ্ঞানকে গুরুত্ব দিইনি।  

ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা আধুনিক শিক্ষার অভাবে পিছিয়ে ছিল। স্যার সায়্যিদ আহমদ এগিয়ে এসে মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেন। একইভাবে স্যার সায়্যিদ আমীর আলী ও নবাব আবদুল লতিফ অবিভক্ত বাংলার মুসলমানদের জন্য কাজ করেন। কিন্তু পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, যতক্ষণ না পাকিস্তানের জন্ম হয়।  

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নতুন শিক্ষার সুযোগ পায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রদের জন্য উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এর ফলে এই অঞ্চলের ছাত্ররা পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক ক্যাডারে ও কেন্দ্রীয় সরকারে প্রবেশের সুযোগ পায়। মূলত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশের জন্ম সম্ভব করেছিল।  

পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত বাঙালি অভিজাত শ্রেণির দ্রুত উত্থান ঘটে, যা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ফলেই সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই ইতিহাস ভুলে গেছি এবং তাদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকার করিনি। এমনকি আমরা তাদের ন্যূনতম সম্মান জানাতেও ব্যর্থ হয়েছি।  

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের তেমন প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যদিও একসময় জগন্নাথ কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছিল, তা ব্যর্থ হয়। সম্ভবত রাজনীতিবিদরা তখন সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন এবং অতীতের সমাজ সংস্কারকদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন।  

কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের কাজটাই যেন সবচেয়ে আগে শুরু হয়। জিন্নাহ হলের নাম পরিবর্তন করে সূর্য সেন হল রাখা হয়, ইকবাল হলের পরিবর্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নামকরণ করা হয়। সারাদেশেই এমন নাম পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।  

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাঁচটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে এবং বেশিরভাগ হলের নতুন নামকরণ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যদের নামে করা হয়েছে। ইতিহাস বারবার ফিরে আসে, কিন্তু আমরা তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি না।  

একই ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির নজির আমরা দেখেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয় এবং বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু বছর পরেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে একই ধরনের প্রতিশোধমূলক রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছি।  

বাংলাদেশের সমাজে বিভাজনের বীজ বপন করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই এই বিভাজন দৃষ্টিগোচর হয়, যা পরবর্তীতে আরো গভীর হয়েছে। বিশেষ করে সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এটিকে প্রকাশ্যে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে সমাজকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত রাখার উদ্দেশ্যে।  

সংস্কৃতি ও শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ দুটি ক্ষেত্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এর জন্য ভারতীয় স্বার্থরক্ষাকারী স্থানীয় এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে এবং এখনো করছে।  

গত পাঁচ দশকে আমরা জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে চরমভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছি। আমাদের পেশাদার শ্রেণি আজকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ফলে আমরা ধীরে ধীরে মেধাহীন ও প্রতিভাহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। এটি মূলত ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির ফলাফল।  

উচ্চশিক্ষা থেকে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়াটা আমাদের সমাজের জন্য বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা করতে পারছে না, কারণ তাদের ইংরেজির দক্ষতা অত্যন্ত দুর্বল। এটি একমাত্র ফ্যাসিবাদী শাসকদের ভুল নীতির ফলাফল।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দেয়নি, বরং কখনো কখনো আমাদের হতাশ করেছে। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছে, এবং তারা যদি এই সুযোগ নষ্ট করে, তাহলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। তাদের কর্মকাণ্ডই ভবিষ্যৎ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।  

আমরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে পরিপক্ব ও বাস্তবমুখী রাজনীতি দেখতে পাবো। কারণ, আজকের রাজনীতি আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে উঠবে, এবং আমরা আর কোনো ভুল করার সুযোগ নিতে পারি না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জাতিসংঘের উদ্যোগে ইয়েমেনে ন্যায়পূর্ণ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে- ইরান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৮
জাতিসংঘের উদ্যোগে ইয়েমেনে ন্যায়পূর্ণ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে- ইরান

ফাইল ছবি

ইয়েমেন বিষয়ক শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা আলী আসগর খাজি। গতকাল সোমবার ইয়েমেনের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের প্রধান আলোচক মোহাম্মাদ আব্দুস সালামের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনি জনগণের বীরোচিত প্রতিরোধ অবশেষে সফল হতে যাচ্ছে এবং দেশটির ওপর থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন নিপীড়নমূলক অবরোধের অবসান শীঘ্রই হতে যাচ্ছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে ইয়েমেনে ন্যায়পূর্ণ ও টেকসই শান্তি শীঘ্রই প্রতিষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, আলোচনা দুই দেশের কূটনীতিক ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি মার্টিন গ্রিফিটস সাম্প্রতিক সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী আসগর খাজি। সূত্র: পার্সটুডে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - রাজনীতি