a দেশের জনগণের আশা আকাংখা সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ: জাকির হোসেন প্রধানিয়া
ঢাকা বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩২, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দেশের জনগণের আশা আকাংখা সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ: জাকির হোসেন প্রধানিয়া


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৬
দেশের জনগণের আশা আকাংখা সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ: জাকির হোসেন প্রধানিয়া

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে "বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি"। এই দলের মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত করা, একটি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির গৌরবজনক ইতিহাসকে সমুন্নত রাখাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দলের গঠনতন্ত্র, আদর্শ, কাঠামো, কার্যপ্রণালী এবং পরিচালনার রূপরেখা নির্দিষ্ট করে, যা দল পরিচালনায় একটি মৌলিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে। 

দলটির চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া এর নেতৃত্বে আজ (২৮ অক্টোবর ২০২৫, সকাল সাড়ে ১১ টায়) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক উৎসবমুখর পরিবেশে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষিত বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি ইংরেজিতে Bangladesh United Party।  সংক্ষেপে একে “বিইউপি” নামে অভিহিত হবে। বিইউপি একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল ।
বিইউপি দলের মূল ভিত্তি ৪টি : সততা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্ম।

উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিস্তারিত বলেন। 
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: 
১. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
২. জুলাই যোদ্ধা, চব্বিশের শহীদ ও আহতদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা। 
৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী বিচারালয় গড়ে তোলা। 
৪. এই জনপদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধারন, লালন করে আমাদের নিজস্ব জাতীয়তাকে বিকশিত করা। 
৫. দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সর্বদা অবিচল থাকা। 
৬. প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা ধারাকে সমুন্নত ও প্রতিষ্ঠিত করা।
৭. মানবাধিকার, বাক্ ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা । 
৮. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণ।
৯. আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
১০. দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করা ।
১১. দেশ পুণর্গঠনে নারীদের অংশগ্রহণ ও যথোপযুক্ত স্থানে যুক্ত করা, তৃনমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার সংরক্ষন করা।
১২. পরিবেশের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
১৩. যুব সমাজকে সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১৪. 'প্রবাসী সুরক্ষা নীতিমালা' প্রণয়ন, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের সুরক্ষা সহ তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৫. দেশের স্বার্থে বলিষ্ঠ বৈদেশিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা ।
১৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা।
১৭. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের সুরক্ষা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৮. কৃষক, শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের কল্যাণ ও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।

বিইউপি'র গঠণতন্ত্রের অঙ্গীকার রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতা বা পদায়নের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণ ও রাষ্ট্রীয় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেম, সততা, মানবতা, গণতন্ত্র স্তম্ভগুলোর জনগনের আকাংখা প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি, সময়ের সাথে সাথে প্রয়োজন অনুসারে গঠনতন্ত্র পরিমার্জিত হতে পারে, তবে দলের মৌলিক আদর্শ ও নৈতিক অবস্থান কখনোই পরিবর্তন হবে না। দলীয় ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উত্তরাধিকার তাদের সঠিক পথ দেখাবে, নৈতিক নেতৃত্ব গঠনে সহায়তা করবে এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের পথে অগ্রগামী করে তুলবে।
এই চূড়ান্ত দলিলের মাধ্যমে আমরা ঘোষণা করছি।
“বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি” একটি আন্দোলন, একটি দায়িত্ব, একটি স্বপ্ন কোনো একক ব্যক্তির নয়, সমগ্র জাতির জন্য।”
আসুন আমরা সকলেই দেশের স্বার্থে একতাবদ্ধ থেকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একসঙ্গে এগিয়ে চলি ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে ব্লকেডে ডাক আন্দোলনকারীদের


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১২:৩৯
 ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে ব্লকেডে ডাক আন্দোলনকারীদের

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবন ব্লকেডের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। মূল ফটক আটকে নতুন এই কর্মসূচির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এসে জড়ো হোন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ব্লকেডে আটকে গেছে পুরো নগরভবন এবং এখানকার সকল সেবা কার্যক্রম।

আজ সোমবার (১৯ মে) ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ডিএনসিসি নগরভবন ব্লকেড ঘোষণা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। নগরভবনে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ফলে নগরভবনের ভেতরে ঢুকতে পারছে না কোন লোকজন।

আজ সোমবার পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ আছে নগর ভবন। সব ধরনের সেবা কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বিগত কয়েকদিনের মতো।

উল্লেখ্য, নগরভনের মূল ফটকসহ অন্যান্য সকল বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইশরাকপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে আজও কোন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না নগরভবনে।
 
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করা সত্ত্বেও অর্ন্তবর্তী সরকারের এক উপদেষ্ঠার একগুয়েমীর কারণে শপথ অনুষ্ঠানটি বিলম্বিত করা হচ্ছে।  সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

পারস্য উপসাগরে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সহ্য করা হবেনা: ইরানি কমান্ডার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৫
পারস্য উপসাগরে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সহ্য করা হবেনা: ইরানি কমান্ডার

ফাইল ছবি

পারস্য উপসাগরে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সহ্য করা হবেনা। মার্কিনিরা, যারা সবসময় নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে আসে, তাদের এ অঞ্চলে কোনো জায়গা নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের ইসলামি রেভুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি।

গতকাল মঙ্গলবার ইরানের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। আলী রেজা তাংসিরি বলেন, আইআরজিসি পারস্য উপসাগরের কৌশলগত অঞ্চলে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বা সংঘর্ষ সহ্য করবে না। পারস্য উপসাগর অঞ্চলে আমাদের এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর বাসস্থান।

এ সময় ইরানি এ কামান্ডার ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলে আল কুদসের দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতি নিরাপত্তার সংকট তৈরি করছে। উল্লেখ্য, পারস্য উপসাগরে কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ তাড়া করেছে ইরান। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি