a
ফাইল ছবি
চলমান সংকট নিরসনে কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার, তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেন ডা. দীপু মনি।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির ১৭তম জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত ‘শোক হোক শক্তি, কারিগরি শিক্ষাই মুক্তি’ শীর্ষক এ সেমিনারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।
সেমিনারে কারিগরি শিক্ষায় সরকারের বিভিন্ন নতুন কারিকুলাম ও প্রকল্পের কথা জানান ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি দক্ষতা অর্জনকে আমরা বিরাট গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে গড়ে উঠেছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের মানবিক, সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যেসব দিকে নজর দেওয়া দরকার, আমাদের সরকার সেদিকে নজর রাখছে।
এর আগে আমরা শিক্ষক নিয়োগ করতে পারিনি দীর্ঘদিন। তবে, সম্প্রতি আমরা ৫ হাজার কারিগরি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে ভাবছে সরকার। এর আগে, ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি দেওয়া হয়েছে ল্যাব ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান সে অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেনি। কাজেই বরাদ্দ দিলেই শুধু হবে না, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে সেটি কাজে লাগাতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় নির্দেশনা ধারাবাহিকভাবে না মানলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইডেন কলেজে ভবন উদ্বোধন ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মাদরাসাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমের বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি আছে। প্রতিদিন প্রতিবেদন সংগ্রহ করছি। স্থানীয় পর্যায়ে একটি নজরদারি আছে। তবে বিষয়টি যারা প্রতিষ্ঠান চালান তাদের ওপর নির্ভর করে।
আমরা অনেক নজরদারি করতে পারি, কিন্তু তারা যদি সচেতন না হন, নিয়ম না মানার প্রবণতা থাকে এবং ধারাবাহিকভাবে নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার কারণ হচ্ছে আমরা এ ঝুঁকি নেব না। একটা স্কুল বা মাদরাসায় ছড়ায় তাহলে সেটি কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকবে না সেটি কমিউনিটিতে ছড়াবে।
কারণ আমরা সেই ঝুঁকি নিতে পারি না। কাজেই সেই প্রতিষ্ঠান যে পর্যায়ের হোক মাদারাসা, কারিগরি প্রাথমিক মাধ্যমিক সেখানে যদি কোনো অবহেলা থাকে তাহলে সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করবো। কেউ যদি বারবার নিয়ম ভঙ্গ বা অবহেলা করে তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনও অনেক ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। এখানে বাংলা, ইংরেজি মাধ্যম ভাগ নেই। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি না খুলে থাকেন তাহলে আমাদের জানাবেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
একটি ফেসবুক পেজ থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ‘দ্বৈত নাগরিক’।
পেজটিতে আরও বলা হয়েছে যে, শিক্ষা উপমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করে বিবাহ সূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিক হয়ে গেছেন। বিষয়টি নওফেলের দৃষ্টিগোচর হলে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো জনমনে বিভ্রান্ত দূর করার জন্যে:
‘একটি ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়েছে বিবাহ সূত্রে আমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব হয়ে গিয়েছে এবং তা সংবিধান লঙ্ঘন! এইসব উদ্ভট প্রচারকদের কারণে কেউ যদি বিভ্রান্তও হয়, তাই সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যতীত কোনো দেশের নাগরিক আমি কখনও ছিলাম না এখনও নেই!’
‘যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা করলেই বা ওই দেশের কারো সাথে বিবাহ হলেই সেখানের নাগরিক হওয়া যায় না। বৈবাহিক সূত্রে নাগরিক হতে হলেও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী হতে হয় এবং সর্বশেষ যা আমি শুনেছি প্রায় ছয় বছর সেখানে বিবাহ পরবর্তী নিয়মিত থাকতে হয়। সুতরাং, আমার অজ্ঞাতসারেও, বিবাহ সূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নাই!’