a
সংগৃহীত ছবি
বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় সারাদেশে আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৩৮টি আন্তঃনগর ও ১৯টি লোকাল ও অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রুটসহ আন্তঃনগর ট্রেনের নাম:
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, ঢাকা- দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর- রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস।
ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে চলবে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন রুটে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রূপসা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ভাঙা রুটে মধুমতী এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোবরা রুটে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্দা এক্সপ্রেস এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন ঢাকা রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
রুটসহ মেইল ট্রেনের নাম:
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, ঢাকা-জারিয়া ঝাঞ্জাইল রুটে বলাকা কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে জামালপুর কমিউটার, ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল, ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া কমিউটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ঢাকা কমিউটার, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রকেট মেইল, খুলনা-রহনপুর-খুলনা-গোয়ালশ রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ, পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-বিরল রুটে বিরল কমিউটার, লালমনিরহাট-সান্তাহার-বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার কলেজ ট্রেন চলাচল করবে।
ফাইল ছবি
কয়লাসংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রটির ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। ত্রুটি সনাক্তের পরপরই উৎপাদন বন্ধ করে দেন প্রকৌশলীরা। বর্তমানে মেরামতকাজ চলছে। ঠিক হতে আরো তিন দিন সময় লাগতে পারে। এর আগেও বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়া এবং কুলিং হিটারে ছিদ্রসহ কিছু কারিগরি কারণে একাধিকবার কেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছে। তবে কয়লা নিয়ে আপাতত কোনো সংকট নেই।
সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল)। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সমান মালিকানা রয়েছে।
কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে সমান ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্বে গঠিত বিআইএফপিসিএল। এর নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল)। ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।
বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ জানান, ইন্সপেকশন ও মেইনটেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। ৪, ৫ অথবা ৬ জুনের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে।
বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ঐ দিনে গ্রিডে ৯১ দশমিক ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত কেন্দ্রটি। তবে বেশি দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন রাখা যায়নি। গত ২৪ অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। প্রায় এক মাসশেষে গত ২৪ নভেম্বর পুনরায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়।
ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) রিলায়েবিলিটি রান টেস্টের অনুমোদন দেয় ১১ ডিসেম্বরে। ১৭ ডিসেম্বরে এতে পূর্ণ সক্ষমতায় অর্থাত্ ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রথম উৎপাদিত হয়। কেন্দ্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারবে কি না তা যাচাইয়ের জন্য টানা ৭২ ঘণ্টা ফুল লোডে চালু রেখে যাচাই করার শর্ত ছিল। ১৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাত ৪টা পর্যন্ত পূর্ণ সক্ষমতায় টানা ৯০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কেন্দ্রটি। দ্বিতীয় ইউনিট এখনো উৎপাদনে আসেনি। সরকারের ফাস্ট ট্র্যাকে থাকা নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা সকাল থেকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালানে ভীড় করতে থাকেন। বিগত বছরের মতো এবারও তাজিয়া মিছিল না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত বছর হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন শিয়া সম্প্রদায়। তবে এবার নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সড়কে তাজিয়া মিছিল করেছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শত শত মানুষ হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে অনেকেই বের হয়ে সড়কেও মিছিল করেছেন। কোনও কোনও জায়গায় পুলিশ বাধা দিলেও তাদের উপেক্ষা করে মিছিল বের হয়। বিক্ষিপ্তভাবে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর এলাকায় মিছিল হয়েছে।
ইসলামি ইতিহাসে হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মুহররমের দশ তারিখকে আশুরার দিন বলা হয়। ৬১ হিজরি সালের এ দিনে মহানবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে বিশ্বে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা তাজিয়া মিছিল করে থাকেন।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষিত ছিল। হোসাইনি দালানে অনেকে ছিলেন মাস্ক ছাড়া। আর মানুষের ভিড় ছিল অনিয়ন্ত্রিত। শোকের স্মৃতি নিয়ে হোসাইনি দালানের সীমানার ভেতরেই হয় তাজিয়া মিছিল। বুক চাপড়ে মাতম করছেন তারা। বেশির ভাগ মানুষ কালো পোষাকে এসেছেন শোকের বহিঃপ্রকাশে।