a প্ল্যাকার্ড হাতে একা দাঁড়িয়ে যৌন হয়রানির বিচার চাইলেন জবি শিক্ষার্থী
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্ল্যাকার্ড হাতে একা দাঁড়িয়ে যৌন হয়রানির বিচার চাইলেন জবি শিক্ষার্থী


মাহাদী সিয়াম, জবি প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেরুয়ারী, ২০২২, ০৭:৩৯
প্ল্যাকার্ড হাতে একা দাঁড়িয়ে যৌন হয়রানির বিচার চাইলেন জবি শিক্ষার্থী

ছবি:মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের-(জবি) ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৭-১৮ সেশনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা এই অভিযোগের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে বিচার দাবি করেন।

ফারজানা অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর শিক্ষক জনাব আবু শাহেদ ইমন নিকতনের ব্লক-এ এর দুই নাম্বার রোডের ৮২ নাম্বার বাসায় অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিস কার্যালয়ে তাকে ডেকে ফ্রেন্ডশিপের প্রস্তাব দিয়ে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।

ফারজানার ভাষায় শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন তার শরীরে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাকে দেখে তোমার কি কখনও কিছু অনুভব হয়নি? এ কথা বলতে বলতে তিনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার চেয়ারের পেছনে এসে যৌন অঙ্গভঙ্গিতে আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে মেসেজ করতে শুরু করেন। তিনি তার যৌন তাড়না প্রকাশ করে বলতে থাকেন ভয় পেয়ো না। এখানে কেউ দেখতে পাবে না, কেউ শুনতেও পাবে না। উনার আচরণে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং তৎক্ষণাৎ আমার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতেই আবারও আমাকে জোরপূর্বক শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। আমাকে তার সাথে নোংরা কাজে লিপ্ত হওয়ার জোর করেন। আমাকে নিজেকে রক্ষা করতে চিৎকার করে বলতে থাকি স্যার আপনি যা চাচ্ছেন আমি তা চাচ্ছিনা। আমি পুলিশ ডাকার ভয় দেখালে তিনি আমাকে ছাড়তে বাধ্য হোন।

ফারজানা আরোও বলেন, “আমি তার পরের দিন এক সহপাঠীসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে এই ঘটনা জানাই। তিনি জানান উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব না। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করলে তা প্রমাণ করতে না পারলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে।”

এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন তার পরবর্তীতে ক্লাসে লাঞ্চনা, এসাইনমেন্ট ও উপস্থিতির বৈষম্যের শিকার এবং পরীক্ষার স্বল্প মার্কসের ঘটনা ঘটলে ফারজানা ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে উপাচার্যের কাছে এই বিষয়ে বিচারের জন্যেক লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ অন্যান্য সহপাঠীদের প্রলোভন দেখিয়ে এবং কাউকে কাউকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি যৌন হয়রানির অভিযোগ সেলেও ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। সুপরিচিত হিসেবে পরিচিত এই শিক্ষক প্রশাসনের আস্থাভাজন হওয়ায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদেরকেও সংবাদ না করার চাপ দেয়া হয়। সর্বশেষ বাধ্য হয়ে একাই এই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করতে দাঁড়ান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির প্রতিরোধ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসা বলেন, এটি নিয়ে আমাদের সামনের সপ্তাহে মিটিং আছে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জবি'র ভর্তি পরীক্ষায় 'প্রক্সি' দিতে এসে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২২, ১০:১২
জবি'র ভর্তি পরীক্ষায় 'প্রক্সি' দিতে এসে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন আবির নামের একজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।

আটককৃত শিক্ষার্থীর মোবাইল ঘেটে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মোবাইল এর মেসেঞ্জার ঘেটে বিভিন্ন তথ্য পায় প্রক্টর অফিস।

ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেয়া প্রবেশপত্রে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায় সেজান মাহফুজ  (রোল ৩০৯৯৭৬) বাবা মোঃ আবদুল বারী, মাতা: মোসাম্মদ মাহফুজা বেগম।

শনিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি পরীক্ষা দায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র ছবির সাথে আটককৃত শিক্ষার্থীর চেহারা মিল না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে আবিরকে আটক করে।

প্রক্টর অফিসে  জেরা করার মাঝে একটি ফোন কল আসলে সবার উপস্থিতি জোরপূর্বক কথা বলতে হয় তাকে মোবাইলফোনে লাউড স্পিকারে শোনা যায় আরেক ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। বড় কোন চক্রের সাথে জড়িত আছে এই শিক্ষার্থী বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এসময় আবিরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্ড উদ্ধার করা হয়। ব্যাংক কার্ডে ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যা গত দুইদিনে অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করা হয়েছে।পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির একটি বড় চক্রের অংশ হিসেবে সে কাজ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজনের প্রক্সি দিয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,আমাদের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে, এটা সে স্বীকার ও করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিচার ও আদালত: প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪৮
বিচার ও আদালত প্রফেসর ড এস কে আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: বিচারালয় সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রধান মাধ্যম হলেও এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট সমাজের আইন, প্রথা এবং ঐতিহ্যের উপর। এছাড়াও, আইনজীবী ও বিচারকদের ভূমিকা বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচারের অন্যতম মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।  

বাংলাদেশে আদালত এবং বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, দিল্লি সুলতানাত ও মুঘল আমলে বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল। উভয় আমলে মুসলিম শাসকরা ন্যায়বিচারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে আজকের মতো পেশাদার আইনজীবী সেই সময়ে ছিল না।  

আমাদের বর্তমান বিচার ব্যবস্থা মূলত ব্রিটিশ শাসনের অবদান। ব্রিটিশদের থেকে আমরা দাপ্তরিকভাবে তাদের আইনি কাঠামো উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। সিভিল প্রসিডিউর কোড (CPC) এবং ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (CRPC) উভয়ই ব্রিটিশ প্রশাসক স্যার ম্যাকলে-এর একক অবদান, যিনি নিজে আইনজীবী ছিলেন না, বরং একজন ইতিহাসবিদ ছিলেন। ব্রিটিশরাই প্রথম আমাদের এখানে পেশাদার আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান চালু করেন।  

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই ব্রিটিশ ভারতের আইনি ও বিচার ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে। উভয় দেশই তাদের নিজ নিজ আইনি কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন অনুভব করেনি। পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠিত আইনের শাসন অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে।  

কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুরোনো আইনি কাঠামো থেকে সরে এসে সরকার-নির্ভর আদালত পরিচালনার চেষ্টা করে। প্রথমবারের মতো আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আদালতগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।  

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হয়। তিনি আদালতগুলোকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেন এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। তার পরবর্তী শাসক এরশাদও সেই কাঠামো অনুসরণ করেন।  

তবে এরশাদের পতনের পর থেকে বিচার ব্যবস্থায় অবনতি শুরু হয়, যদিও তা সাধারণ মানুষের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসনামলে।

আদালতগুলোকে আওয়ামী আদালত হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এ সময় বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং আদালতগুলো শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়। জনগণ এ সময় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বিচার ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা দেখা দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবে নিম্ন আদালত এখনো আওয়ামীপন্থী বিচারকদের প্রভাবমুক্ত নয়। নিম্ন আদালতে দলীয়করণ থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।  

আমরা আশা করি, শীঘ্রই আইনের শাসন পুরোপুরি ফিরে আসবে এবং বিচার ব্যবস্থা তার পবিত্র দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে এবং সামনের দিনগুলোতে আদালতগুলোতে একটি উজ্জ্বল দিন দেখা যাবে।  

 

সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস