a
দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার সুবিধাদি সম্প্রসারন ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারী ইয়ার্ড এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করাসহ বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, ৪ লক্ষ টন টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বন্দরের উন্নয়নে ২০২১ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ২৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকাশ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ১টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩ টির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ আরো ৪ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বন্দর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, ৩টি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, ২টি রোটেটিং বিকন, ৬টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ।
এ ছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দরের আধুনিকায়ন, চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণ ও দক্ষতার সঙ্গে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদির সম্প্রসারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে মোংলা বন্দরে যেসব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে তাহলো জাহাজ হ্যান্ডলিং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ মিটার, ড্রাফট ৭ থেকে সাড়ে ৮ মিটার, কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন মে.টন, ও কন্টেইনার ৭০ হাজার টিইউজ। এছাড়া কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধার মধ্যে রয়েছে, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার ৫টি, ফর্কলিফট ৩১টি, রিচ স্ট্র্যাকার ২টি, মোবাইল ক্রেন ৫টি, ডকসাইট ক্রেন ৫টি, টার্মিনাল ট্রাক্টরে শেষ হবে। সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজও সমাপ্তির পথে। এ বছরেই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে মোংলাবাসী। এসবের বাইরে গত বছরের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১৯.৪৫ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই চ্যানেল দিয়ে ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হারবারিয়া পর্যন্ত হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধায় আনা হয়েছে। পোর্টের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম বর্তমানে চালু রয়েছে যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে হারবারিয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ খুব সহজেই ভিড়তে পারবে।
সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নি:সৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি'র আওতায় মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণও কাজ শেষ করা হবে ২০২২ সালের মধ্যে। চলমান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট ৭৭২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন করেছি এবং ৭৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে ইনারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরে কন্টেইনার জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজগুলো তুলনামুলকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে যে কয়টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
ফাইল ছবি
নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (TECN) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরামের ২০২৩-২৫ইং মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে Noakhali Textile Engineering College EX-Students Forum (ESF) কর্তৃক আয়োজিত Executive Committee For 2023-2025 কমিটির Charge Takeover-Handover অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নবনির্বাচিত কমিটিতে জনাব ইঞ্জি: মো: মিলনকে সভাপতি এবং ইঞ্জি: মো: কামরুল হাসান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ইঞ্জি: শাহাবুদ্দিন মাসুদ (বিদায়ী সভাপতি) সাহেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করছেন নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সন্মানিত প্রিন্সিপাল ইঞ্জি: মো: সাইফুর রহমানসহ উক্ত কলেজের সন্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, এ.টি.ই.টি এর সন্মানিত সভাপতি জনাব ইঞ্জি: মো: আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: এ.এস. এম সোহেল রানা।
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বর্তমান শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ছবি
বর্তমান ভাইরালের যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ নানা মাধ্যমে চোখ রাখলেই ভেসে আসে তার ছবি ও ভিডিও। দুর্বোধ্য ভাষার গান গাইছেন তিনি। যার একটি অর্থও জানা নেই। তবুও তার গানের ভিডিওতে মজেছে বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্ব।
ভারত, পাকিস্তানসহ আরও অনেক দেশেই পৌঁছে গেছে তার গানের এই ভিডিও। যেটি মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ওই গায়িকার গায়কীই মূলত তাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার বানিয়ে দিয়েছে। ‘মানিকে মাগে হিতে’ শিরোনামের গানটির এ গায়িকার নাম ইয়োহানি ডি সিলভা। তার বেড়ে উঠা শ্রীলঙ্কায়। তার বাবা একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা,তার মা একজন বিমান সেবিকা, ইয়োহানি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও তার আগ্রহ ছিল লজিস্টিক ম্যানেজমেন্টে।
তার গাওয়া সিংহালী ভাষার গানটি নিয়ে স্বয়ং প্রশংসা করেছেন বলিউড গ্রেট অমিতাভ বচ্চন এরইমধ্যে এই গানের তামিল, মালয় ও বাংলা সংস্করণও বের হয়েছে। সেগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ইয়োহানি ডি সিলভার বয়স মাত্র ১৮। জন্মসূত্রে তিনি শ্রীলংকান। নিজেই গান লেখেন, সুর করেন ও কণ্ঠ দেন। নিজের দেশে বেশ জনপ্রিয় ইয়োহানি। সেখানে নিয়মিত স্টেজ শো করেন। এর আগে তার গাওয়া আরেকটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
অনেক আগে থেকেই তিনি ইউটিউবে জনপ্রিয়। এছাড়া তার বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসাও রয়েছে। বিদেশি বাদ্যযন্ত্র আমদানি করে শ্রীলংকায় বিক্রি করেন, আবার সেখানকার স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র রফতানি করেন অন্য দেশে। ‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি তাকে নিজের দেশের বাইরেও তারকাখ্যাতি এনে দিলো। শ্রীলংকায় এখন তাকে ‘র্যাপ প্রিন্সেস’ বলা হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা। ইউটিউবের সাবস্ক্রিবশন সংখ্যাও রাতারাতি বেড়ে এখন আকাশচুম্বী। ‘মানিকে মাগে হিতে’ লাইনটির বাংলা অর্থ হলো ‘তুমি আমার চোখের মণি’।
এই গান প্রথমে গেয়েছিলেন শ্রীলংকার আরেক র্যাপার সথীশন রাথনায়কা। এরপর গত মে মাসে ইয়োহানির কণ্ঠে পুনরায় রেকর্ড করা হয়। এদিকে গানটি ভাইরাল হওয়ার পর বলিউড থেকেও নাকি ইয়োহানিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনই শ্রীলংকা ছেড়ে মুম্বাইতে আসছেন না। তিনি আপাতত র্যাপ গানেই মনোনিবেশ করতে চান।